• facebook
  • twitter
Saturday, 14 June, 2025

সবুজ-মেরুন শিবিরের ১১ গোল

৯ জনই গোল করেছে প্রতিপক্ষ মহমেডানের বিরুদ্ধে

নিজস্ব চিত্র

কি ছোটরা, কি বড়রা! সবুজ-মেরুন শিবিরের দাপট দেখে সমর্থকরা উল্লসিত। মোহনবাগানের ছোটরা যেভাবে একের পর এক শুধু ম্যাচ জেতা নয়, ডার্বি ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল ও মহমেডান স্পোর্টিংকে হারিয়ে চলেছে। মোহনবাগানের সিনিয়র ফুটবলাররা আইএসএল ফুটবলে লিগ-শিল্ড জয়ের একেবারে দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। আগামী শনিবার কেরল ব্লাস্টার্সকে হারাতে পারলেই মোহনবাগান নতুন ইতিহাস রচনা করবে আইএসএল ফুটবলের ইতিহাসে। পরপর দু’বার কোনও দল এখনও পর্যন্ত আইএসএলের লিগ-শিল্ড জয় করতে পারেনি। সেই কারণেই আগামী শনিবারের ম্যাচটা কোচ হোসে মোলিনার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা দিয়েছে।

বলতে দ্বিধা নেই, কোচ মোলিনা যেভাবে সিনিয়র ফুটবলারদের সমন্বয় গড়ে তুলেছেন, তা প্রশংসা করার মতো। যদি কোনও দলে সমন্বয় না থাকে, তাহলে সাফল্য আসাটা খুব কঠিন হয়ে যায়। হয়তো সেই কারণেই অন্য দুই প্রধান ইস্টবেঙ্গল ও মহমেডান স্পোর্টিং তাদের ছন্দ হারিয়ে ফেলেছে। সেই কারণেই অনেক খেলাতেই তাদের জয় অধরা থেকে যাচ্ছে। এমনকি সহজ খেলাতেও তাদের হারের মুখে পড়তে হচ্ছে। এদিকে বুধবার মোহনবাগানের ছোটরা জুনিয়র লিগে দুরন্ত পারফরম্যান্স করল। অনুর্ধ্ব-১৩ সাব জুনিয়র ফুটবল লিগে ১১-০ গোলে উড়িয়ে দিল মহমেডান স্পোর্টিংয়ের নতুন দলকে। বাঁশবেড়িয়ার কিশোর সংঘের মাঠে এই খেলায় সবুজ-মেরুন ফুটবলাররা খেলার শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে একেবারে কোণঠাসা করে রেখে দেয় সাদা-কালো শিবিরকে। মহমেডান স্পোর্টিং কোনও সময়ের জন্যই মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি। একের পর এক গোল হজম করতে হয়েছে তাদের।

খেলার প্রথমার্ধেই ছ’টি গোল পেয়ে যায় মোহনবাগান। বাকি পাঁচটি গোল আসে দ্বিতীয় পর্বে। মোহনবাগানের হয়ে ন’জন ফুটবলার গোল করেছে। নীরব রায় ও রাজ মুদি জোড়া গোল করেছে। সিধু সোরেন, অনুব্রত বাউল দাস, কার্তিক হেমব্রম, সৈয়দ বশির আনোয়ার, জিয়ন হাঁসদা, সাগ্নিক কুন্ডু ও অর্চিষ্মান পাল একটি করে গোল করে মোহনবাগানের জয়কে নিশ্চিত করে দেয়। সাগ্নিক মাঠে নামলে গোল করে দলকে এগিয়ে রাখছে। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধেও জয়সূয়ক গোলটি করে সাগ্নিক। এই মুহূর্তে সাব-জুনিয়র লিগে পয়েন্টের তালিকায় সবার উপরে জায়গা করে নিয়েছে মোহনবাগান। এদিন একের পর এক সবুজ-মেরুনের আক্রমণে মহমেডান স্পোর্টিংয়ের দুর্গ ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। প্রতিপক্ষ দলের রক্ষণভাগ বলতে যা বোঝায়, তা কোনও সময়ের জন্য চোখে পড়েনি। প্রতিরোধ গড়ে তোলার মতো কোনও পরিকল্পনাই ছিল না। অন্য ম্যাচে বিধাননগর মিউনিসিপ্যাল স্পোর্টস অ্যাকাডেমি ও বেঙ্গল ফুটবল অ্যাকাডেমির খেলাটি ১-১ গোলে শেষ হয়।