মোহনবাগান ক্লাবের নির্বাচন নিয়ে কিছুদিন ধরেই যে উত্তাপ তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে সদস্যদের মধ্যে আলোড়ন তৈরি হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারে বর্তমান শাসক গোষ্ঠী এবং বিরোধী পক্ষ থেকে কাদা ছোড়াছুড়ি চলছে। তাই এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোটেও খুশি নন বলেও খবর। বরং কালীঘাটের ঘনিষ্ঠ সূত্রের মতে, দিদি মনে করছেন, শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবের ঐতিহ্য ও গরিমার সঙ্গে এই চাপানউতোর ঠিক মানাচ্ছে না।
শাসক দল ও মোহনবাগান ক্লাব সূত্রে খবর, দিদির দেওয়া ফর্মুলা নিয়ে এখন মাঠে নেমেছেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও মোহনবাগানের কর্মকর্তা কুণাল ঘোষ। তাঁরা নির্বাচনে না গিয়ে সমঝোতার জন্য এগিয়ে আসতে চাইছেন। আসল কথা, ভোটাভুটি ও কাদা ছোড়াছুড়ি এড়িয়ে সৃঞ্জয় বসুকে সচিব পদে মেনে নেওয়া হোক আর দেবাশিস দত্তকে দেওয়া হোক ক্লাব সভাপতি পদের দায়িত্ব। মোহনবাগান ক্লাবের নির্বাচনে ভোটের দিন তারিখ ঘোষণা এখনও ঘোষণা করা হয়নি। তবে মনোনয়নপত্র তোলা ও জমা দেওয়ার কাজ চলছে জোর গতিতে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৯ জুন।
Advertisement
কালীঘাটের ঘনিষ্ঠ মহলের মতে, দেবাশিস দত্তের উচিত সমঝোতার পথে হাঁটা। এর আগে ক্লাব বহির্ভূত কারণে সৃঞ্জয় বসু ভোটাভুটি থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। গত ভোটে সৃঞ্জয় কোনও প্যানেলও দেননি। ফলে অনায়াসে সচিব হয়ে তিন বছর কাটিয়েছেন দেবাশিস। ক্লাব চালাতে কখনও কোনও বাধার মুখে পড়তে হয়নি। দেবাশিসের উচিত সেটাও মাথায় রাখা। এও মাথায় রাখতে হবে, মোহনবাগানের আর্থিক সংকটের দিনে এই বসু পরিবারই ছিল একমাত্র মধুসূদন।
Advertisement
এই বিষয়ে দেবাশিস দত্ত জানান, ‘মনোনয়ন পেশ করার করার আগে আমি কিছু বলতে চাই না। আগে মনোনয়ন পেশ করব, তার পর যা বলার বলব।‘ অর্থাৎ দেবাশিস এখনও অনড় নির্বাচনে দাঁড়াতে।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি মোহনবাগান ক্লাবের নির্বাচনে মাথা গলাতে চান না। তবে তিনি অবশ্যই চান ময়দানের ভাল হোক। সাম্প্রতিক অতীতে যতবারই মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল বা মহামেডানের সমস্যা হয়েছে, তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের যথাসাধ্য সাহায্য করার চেষ্টা করেছেন। এ বারও তাঁর বার্তাকে সেই প্রেক্ষাপটে দেখা যেতে পারে।
Advertisement



