ভারতের পয়লা নম্বর শাটলার পি ভি সিন্ধুর সময়টা কিছুতেই ভালো যাচ্ছে না। বিয়ের পরে কোর্টে পিরে এসে পি ভি সিন্ধু নিজেকে লড়াকু ভূমিকা নিয়ে লড়াই করতে পারছেন না প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। প্রথমদিকে কিছুটা ভালো খেলার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত তা ধরে রাখতে পারছেন না। যার ফলে হারের লজ্জায় বারবার আঘাত পেতে হচ্ছে সিন্ধুকে।
কিছুদিন আগেই অল ইংল্যান্ড ব্যাডমিন্টনে খারাপ পারফরম্যান্সের পরে এবারে সুইস ওপেনে প্রথম রাউন্ডেই বিদায় নিতে হল তাঁকে। অনেকেই সিন্ধুর এই ফলাফলে হতাশ হয়েছেন। আবার নিজেও এই হারের কারণে মনের মধ্যে রাগ চেপে রাখতে পারছেন না। তাই তো খেলার শেষে কোর্টের মধ্যেই র্যা কেট আছড়ে ফেলে দিয়ে নিজের প্রতি হতাশার প্রতিফলন ঘটাচ্ছেন। সুইৎজারল্যান্ডের বাসেলে এই সুপার-৩০০ প্রতিযোগিতার প্রথম রাউন্ডেই হেরে বিদায় নিতে হল সিন্ধুকে। তিনি হেরে গেলেন ডেনমার্কের জুলি ডাওয়াল জেকবসেনের কাছে। বিশ্ব র্যা ঙ্কিংয়ে অনেকটা নিচে থাকা ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় জুলির কাছে সরাসরি তিনটি গেমেই হারতে হল তাঁকে। শেষ পয়েন্টটি নষ্ট করার পরেই সিন্ধু নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলেন না।
মেজাজ এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল, তার প্রতিফলন ঘটল র্যা কেট ভেঙে দিয়ে কোর্টের মধ্যে। কিন্তু খেলোয়াড়িচিত মনোভাবে জুলির সঙ্গে করমর্দন করতে তিনি পিছিয়ে থাকেননি।
পি ভি সিন্ধু একটা সময় ৮-৬-য়ে এগিয়ে থেকেও শেষ রক্ষা করতে পারেননি। বরঞ্চ প্রতিপক্ষ জুলি ঠান্ডা মাথায় যেভাবে পি ভি সিন্ধুকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে একের পর এক পয়েন্ট নিজের দখলে নিয়ে নিচ্ছিলেন, তা অবাক করার মতো। মানসিক দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়তেই সিন্ধু আর ফিরে আসতে পারেননি খেলায়। দ্বিতীয় গেমটিও হারেন ১৭-২১ পয়েন্টে। তবে তৃতীয় গেমে প্রায় প্রথম থেকেই পিছিয়ে পড়েছিলেন জুলির কাছে। একটা সময় মনে হয়েছিল সিন্ধু হয়তো খেলায় ফিরে আসতে পারবেন। দেখা যায় জুলি ১৬-৯ পয়েন্টে এগিয়ে গিয়েছিলেন। সেই সময় সিন্ধু ঘুরে দাঁড়িয়ে খেলায় সমতা ফিরিয়ে আনেন ১৭-১৭ পয়েন্টে। শেষ পর্যন্ত তৃতীয় গেমটিও হাতছাড়া হয়ে যায়। সিন্ধু হারেন ১৯-২১ পয়েন্টে।
স্বাভাবিকভাবে তৃতীয় সেটের খেলার প্রয়োজন হয়নি। পরপর দুটো গেম যদি নিজের ঝুলিতে নিয়ে যাওয়ার পরে তার জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, ২০২৫ সালে জানুয়ারি মাস থেকে তিনি যে কটা প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন, সেই প্রতিযোগিতায় ভালো ফলাফল করতে ব্যর্থ হয়ছেন সিন্ধু। ইন্ডিয়া ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে প্রথম রাউন্ডেই সিন্ধুকে বিদায় নিতে হয়েছিল। বর্তমানে তিনি ইন্দোনেশিয়ায় অনুশীলন করে থাকেন। কিন্তু তাঁর পারফরম্যান্সে কোনও উন্নতি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। যার ফলে সিন্ধুর সমর্থকরা যে আশা নিয়ে খেলা দেখতে ছুটে আসেন, তাঁরা পুরোপুরি হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।