• facebook
  • twitter
Tuesday, 23 December, 2025

হ্যাটট্রিক রিম্পা হালদারের, রেলওয়েজকেও সাত গোল বাংলার

গ্রুপ ডি-র প্রথম ম্যাচে মেঘালয়কে সাত গোলে পর্যদস্ত করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে রেলওয়েজকেও সাত গোল দিলেন বাংলার সুলঞ্জনা রাউল, রিম্পা হালদাররা।

মহিলাদের সিনিয়র ন্যাশনাল ফুটবলে রাজমাতা জিজাবাই ট্রফিতে বাংলা দলের জয়যাত্রা অব্যাহত। গ্রুপ ডি-র প্রথম ম্যাচে মেঘালয়কে সাত গোলে পর্যদস্ত করার পর সোমবার দ্বিতীয় ম্যাচে রেলওয়েজকেও সাত গোল দিলেন বাংলার সুলঞ্জনা রাউল, রিম্পা হালদাররা। এদিন, কৃষ্ণনগরের দ্বিজেন্দ্রলাল রায় স্টেডিয়ামে তাঁরা জিতলেন ৭-০ গোলের ব্যবধানে। দলের হয়ে হ্যাটট্রিক করলেন রিম্পা হালদার। এই ম্যাচে রেলওয়েজের রক্ষণকে রীতিমতো ছেলেখেলা করলেন দোলা মুখ্যোপাধ্যায়ের মেয়েরা। খেলার শুরু থেকেই আধিপত্য ছিল বাংলার। মৌসুমী মূর্মু, সঙ্গীতা বাসফোরদের দাপটে একেবারে দিশেহারা হয়ে যায় রেলের রক্ষণভাগ। ম্যাচের শুরু থেকেই বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল বাংলা।

যার ফলস্বরূপ, খেলা শুরুর ৬ মিনিটের মধ্যেই ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় তাঁরা। ৩ মিনিটে বাংলার হয়ে প্রথম গোল করেন রিম্পা। পরের মিনিটেই ব্যবধান ২-০ করে যান মৌসুমী মূর্মু। শুরুতেই দুই গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর আক্রমণের চাপ আরও বাড়ায় বাংলার ফুটবলাররা। সেই আক্রমণ থেকেই ১৮ মিনিটে ফের গোল করে ব্যবধান ৩-০ করেন রিম্পা। দু’মিনিট পর বাংলার হয়ে চতুর্থ গোলটি করে যান সুলঞ্জনা রাউল। ৪-০ গোলে পিছিয়ে পরে ম্যাচ থেকেই কার্যত হারিয়ে যান রেলওয়েজ। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে খেলার ৩৭ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় ও দলের হয়ে পঞ্চম গোলটি করেন সেই সুলঞ্জনা। গোল করে গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রয়াত দিয়োগো জোতাকে বিশেষ সম্মান জানালেন তিনি।

Advertisement

এই প্রসঙ্গে বলা যায়, গত ম্যাচে মেঘালয়ের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিকের পর এই ম্যাচেও বাংলার হয়ে জোড়া গোল এলো তাঁর পা থেকে। এরপর, ম্যাচের ৪০ মিনিটে বাংলার হয়ে ব্যবধান ৬-০ করেন অধিনায়ক সঙ্গীতা বাসফোর। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে (৪৫+৩) মিনিটে ম্যাচের সপ্তম গোলটি করেন রিম্পা হালদার। হ্যাটট্রিক করে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর অনুকরণে সেলিব্রেশন করতে দেখা যায় রিম্পাকে। বাংলার চূড়ান্ত দাপটে প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় ৭-০ গোলে। দ্বিতীয়ার্ধে বাংলার মেয়েরা সেইভাবে আক্রমণের গতি না বাড়িয়ে প্রতিপক্ষ দলকে চাপে রাখার চেষ্টা করেন। গোল করার মতো সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ হয়েছেন। তবে রেলওয়ে দল কোনও সময়ের জন্যই বাংলাকে ভয় দেখাতে পারেনি। আসলে সাত গোলে পিছিয়ে যাওয়ার পরেই মানসিকভাবে তারা বিধ্বস্ত হয়ে যায়।

Advertisement

Advertisement