প্রথম ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল বড় ব্যবধানে জেতার পরেই আত্মবিশ্বাসে ভরপুর হয়ে উঠেছিল। এমনকি বিনো জর্জের তরুণ ব্রিগেড হয়তো ভেবেছিল পরবর্তী ম্যাচগুলোতে প্রতিপক্ষ দলকে খুব সহজেই উড়িয়ে দিতে পারবে। কিন্তু শুক্রবার দ্বিতীয় ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলকে হোঁচট খেতে হল। ১০ জনের সুরুচি সংঘকে পেয়েও জিততে পারল না লাল হলুদ ব্রিগেড।
খেলা শেষ হল ১-১ গোলে। নৈহাটি স্টেডিয়ামে বৃষ্টি ভেজা মাঠে দুই দলের খেলোয়াড়রা সেইভাবে ছন্দ খুঁজে পাননি। বিশেষ করে ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা যেভাবে খেলা শুরু করেছিল তাতে কখনওই মনে হয়নি। জেতার জন্যে তারা দুরন্ত ভূমিকা নিতে পারবে।
গত মরশুমে কলকাতা লিগের প্রিমিয়র ডিভিশনে এই সুরুচি সংঘকেই ৫-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। সুরুচির বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গল অনেক বেশি এগিয়ে ছিল দল গঠনে।কিন্তু সেই উদ্যম, সেই আত্মবিশ্বাস দেখতে পাওয়া যায়নি লাল হলুদ ফুটবলারদের। লাল-হলুদ শিবিরের হয়ে বিরতির ঠিক আগে গুইতে গোল করেন।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হওয়ার ২ মিনিটের মধ্যে সুরুচি সংঘ সমতায় ফেরে। গোল শোধ করেন পরিবর্ত খেলোয়াড় বনসল। সমতায় ফিরে আসার পরে বেশ কয়েকবার গোল করার মতো জায়গায় পৌঁছালেও ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা গোল করতে পারেননি।
সুযোগও আসে, কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারেননি ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা। খেলার ৭০ মিনিটের মাথায় সুরুচি সংঘের বাবলু ওরাং লাল কার্ড দেখেন। ১০ জনের সুরুচি সংঘকে পেয়েও ইস্টবেঙ্গল জিততে পারল না।
অপ্রতিরোধ্য ইস্টবেঙ্গলের বিজয়রথ থামিয়ে দিয়ে চমক দিল সুরুচি সংঘ। অবশ্য এদিন মনোতোষ মাজি এবং জেসিন টি কে না থাকায় ইস্টবেঙ্গল অনেকটাই নিস্প্রভ হয়ে গিয়েছিল।