• facebook
  • twitter
Tuesday, 22 April, 2025

লজ্জার হারে রিয়াল মাদ্রিদ

হারের পাশাপাশি শেষ দিকে বড় ধাক্কা খান রিয়ালের কোচ কার্লো আন্সেলোত্তি। সংযুক্তি সময়ে (৯৪ মিনিটে) লাল কার্ড দেখেন দলের গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার কামাভিঙ্গা।

ফাইল চিত্র

১৫ বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী দল রিয়াল মাদ্রিদ এবারে তাদের ফর্ম নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়ে চলছে। লা লিগার অনেক খেলাতেই অবিশ্বাস্য সব কামব্যাক করলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম পর্বের ম্যাচে আর্সেনাল গুড়িয়ে দিল বেলিংহ্যামদের। মঙ্গলবার ৩-০ গোলে হারতে হলো রিয়াল মাদ্রিদকে, আর্সেনালের ঘরের মাঠ এমিরেটস স্টেডিয়ামে। ১৭ মিনিটের ঝরে আর্সেনালের মাঝমাঠ তাদের দাপট দেখালো আন্সেলোত্তির দলকে। অপর ম্যাচে বায়ার্ন মিউনিখকে তাদের ঘরের মাঠেই ২-১ গোলে হারিয়ে নিজেদের এগিয়ে রাখলো ইন্টার মিলান।

দিনটা একেবারেই ভাল গেল না ১৫ বারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগজয়ী ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের। লন্ডনের এমিরেটস স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই দাপট ছিল আর্সেনালের। কয়েকটা বিচ্ছিন্ন আক্রমণে গোলের দরজা খুলে গেলেও, রিয়াল মাদ্রিদ সেই সহজ সুযোগ গুলো হাতছাড়া করে। কিন্তু সুযোগের স্বদব্যবহার না করলে তার মাশুল চোকাতে হয়। আর তাই করতে হলো রিয়াল মাদ্রিদকেও। প্রথমার্ধের খেলায় রিয়াল কোনো গোল হজম করেনি, যদিও তার সমস্ত কৃতিত্ব গোলকিপার থিবাউ কুর্তোয়ার। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে মাত্র ১৭ মিনিটের ঝড়ে বেসামাল হয়ে গেল লস ব্ল্যাঙ্কোসরা।

দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হলে ৫৮ মিনিটে আর্সেনালের হয়ে প্রথম গোল করেন ডেকলান রাইস। অবিশ্বাস্য ফ্রি কিকে বল জালে জড়িয়ে দেন রাইস। রিয়াল ডিফেন্ডারদের দেওয়ালের পাশ দিয়ে তাঁর ফ্রি-কিক জালে জড়িয়ে যায়। ৭০ মিনিটে যেন সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি, শুধু এবার আরও একটু দূর থেকে। এবারও সেই ‘সেট-পিস্’ থেকেই ফ্রি-কিকে গোল করেন রাইস। তাঁর বাঁক খাওয়ানো শট রিয়াল গোলকিপার কুর্তোয়া শরীর ছুড়েও নাগাল পেলেন না। খেলা দেখতে এমিরেটস স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন রিয়ালের ‘লেজেন্ড’ রবার্তো কার্লোস। রাইস পরপর দুটি ফ্রি-কিক থেকে গোল করলে ক্যামেরা সটান কার্লোসের দিকে গিয়ে থামে। মনে পরে যায় ব্রাজিলের হয়ে ১৯৯৭ সালের রবার্তো কার্লোসের সেই বিখ্যাত ফ্রি-কিক, ফ্রান্সের বিরুদ্ধে। দলের পারফরম্যান্সে কোথাও গিয়ে নিরাশ দেখায় কার্লোসকেও। কিন্তু এরপরেও যেন আর্সেনালের আঁশ মেটেনি। ক্রমাগতই রিয়ালের ওপর আঘাত আনতে থাকেন ওডেগার্ডরা। তার সুফল ও পায় আর্সেনাল, ঠিক পাঁচ মিনিট পরেই। ৭৫ মিনিটে বাঁ পায়ের জোরালো শটে রিয়ালের কফিনে শেষ পেরেকটি পোঁতেন মিকেল মেরিনো।

হারের পাশাপাশি শেষ দিকে বড় ধাক্কা খান রিয়ালের কোচ কার্লো আন্সেলোত্তি। সংযুক্তি সময়ে (৯৪ মিনিটে) লাল কার্ড দেখেন দলের গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার কামাভিঙ্গা। ফলে ফিরতি পর্বের ম্যাচে তাঁকে পাবে না রিয়াল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের অন্য খেলায় ইন্টারের কাছে হেরে চাপ বাড়ল বায়ার্নের। ঘরের মাঠে ১-২ গোলে হারল জার্মানির দল।