বুধবার দিল্লি ক্যাপিটালস বনাম রাজস্থান রয়্যালসের খেলা দেখে হয়তো সব থেকে বেশি হাত কামড়াচ্ছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। অস্ট্রেলিয়ার তারকা পেসার মিচেল স্টার্ককে এবার আর রিটেন করেনি কেকেআর। নিলামে দিল্লি ক্যাপিটালস তুলে নেয় তাঁকে। দিল্লি দলের এই সিদ্ধান্ত কতটা সঠিক ছিল, সেটা বুধবার বোঝা গেল।
এদিন দিল্লি বনাম রাজস্থানের খেলায় শেষ তিন ওভারে জয়ের জন্য রাজস্থান রয়্যালসের দরকার ছিল মাত্র ৩১ রান।হাতে ছিল সাতটি উইকেট। এ হেন অবস্থায় রান তারা করা কোনও কঠিন বিষয়ই নয়। কিন্তু এখান থেকেই রাজস্থানের জয়ের কাঁটা হয়ে দাঁড়ালেন স্টার্ক। আঠারোতম ওভারে বল করতে এসে স্টার্ক দিলেন মাত্র আট রান। শেষ ওভারে রাজস্থানের প্রয়োজন ছিল মাত্র ৯ রান। ক্রিজে ছিলেন সিমরন হেটমেয়ারের মতো বিগহিটার। শেষ ওভার করতে এসে স্টার্ক যেন একাই বুঝে নিলেন রাজস্থানকে। আঠারো নম্বর ওভার এবং শেষ ওভার করতে এসে স্টার্ক সবকটা বলই ইয়র্কার দেন। এই ১২ বলে ১২টি ইয়র্কার করে রাজস্থানের ব্যাটসম্যানদের কালঘাম ছুটিয়ে দিয়েছেন স্টার্ক। শেষ ওভারে দিলেন মাত্র ৮ রান এবং খেলা নিয়ে গেলেন সুপার ওভারে। চলতি আইপিএলে এই প্রথম দেখা গেল সুপার ওভার।
Advertisement
সুপার ওভারে রাজস্থান নামায় শিমরন হেটমায়ার এবং রিয়ান পরাগকে। মূলত বাঁ-হাতি ডান-হাতি কম্বিনেশনের কথা ভেবেই এই পরিকল্পনা। আর দিল্লি তরফ থেকে বল করতে পাঠানো হয় তাদের বিশ্বস্ত সৈনিক স্টার্ককেই। কিন্তু ম্যাচে ভাল খেলেছিলেন রাজস্থানের নীতীশ রানা। ২৮ বলে ৫১ রান করেছিলেন তিনি। নীতীশের পরিবর্তে হেটমায়ারকে নামানো নিয়ে যদিও এখন চারিদিক থেকে প্রশ্ন উঠছে।
Advertisement
খেলা শেষ হলে, হেটমায়ারকে নামাতে দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন দিল্লির অধিনায়ক অক্ষর পটেলও। বলেছেন, ‘হেটমায়ারের তো ম্যাচেই ব্যাটে-বলে হচ্ছিল না। আমি ভেবেছিলাম যশস্বী আর রিয়ান খেলতে নামবে। তবে আমাদেরই সুবিধা হয়েছে।’ স্টার্ক সাধারণত বাঁ-হাতিদের বিরুদ্ধে ভালো বল করেন। তিনিও অবাক রাজস্থানের পরিকল্পনা দেখে। বলেছেন, ‘আমার বল ভেতর দিকে ঢুকছে দেখেও কেন ওরা বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান নামাল সেটা বুঝলাম না। একটা নো-বল করে ভুল করেছি। কিন্তু আমার দলের ব্যাটিং গভীরতা যা, তাতে রানটা তুলে দেওয়া কঠিন ছিল না।’
মিচেল স্টার্ককে সামলে রাজস্থান কোনওমতে তুলল ১১ রান, যা খুব সহজেই তুলে দিলেন কেএল রাহুল আর ট্রিস্টান স্টাবস। অথচ একটা সময় মনে হচ্ছিল রাজস্থান অনায়াসেই খেলাটি জিতবে। বলতে গেলে রাজস্থানের মুখ থেকে জয় ছিনিয়ে নিয়ে এলেন স্টার্ক। তিনি আবারও প্রমাণ করে দিলেন যে কেন তাঁকে আকাশছোঁয়া দাম দিয়ে কিনতে চায় যে কোনও দল।
Advertisement



