নিজস্ব প্রতিনিধি- আগামী শনিবার ঘুরে দাঁড়ানোর শপথে মোহনবাগান মুখোমুখি হচ্ছে শিলং লাজং এর সঙ্গে। বৃহস্পতিবার শিলংয়ে পৌঁছেই মোহনবাগানের ফুটবলাররা হালকা অনুশীলন করেছেন।
ওই অনুশীলনের মধ্যে দিয়ে কোচ শংকরলাল চক্রবর্তী বোঝানোর চেষ্টা করেছেন পাহাড়ে খেলতে এসে গত দুই বছরে শিলং লাজং এর সঙ্গে জয়ের মুখ দেখা যায়নি। তাই এবারে লড়াইটা একটু অন্য রকমই হবে। পোলো টার্ফ গ্রাউন্ডে অনুশীলন চলাকালীন বেশ কিছু উৎসাহী দর্শককে দেখতে পাওয়া গেল।
বিশেষ করে নেপালের ফুটবলার বিমলকে ঘিরে উৎসাহ চোখে পড়েছে। আর পাশাপাশি ইউটাকে নিয়েও উদ্দীপনার অভার ছিল না। তবে এক ঘন্টা অনুশীলন শেষে খেলোয়াড়দের কোনরকম যোগাযোগ করতে দেওয়া হয়নি সাংবাদিকদের সঙ্গে। এমনকি কোচ শংকরলালও সেইভাবে কারোর সাথে কথা বলতে আগ্রহ প্রকাশ করেননি। তবে কোচের শরীরী ভাষায় স্পষ্ট হয়েছে সবুজমেরুন শিবির আত্মবিশ্বাসে ভরপুর ম্যাচ জেতার জন্য। আর ম্যাচ জেতার জন্য কারোর সঙ্গে আপোষ করা চলবে না।
তবে নেপালের ফুটবলার বিমল মনে করেন, তিনি যদি প্রথম একাদশে জায়গা পান সেক্ষেত্রে সেরা খেলাটা উপহার দেবেন অভিষেক ম্যাচে। জাপানি ফুটবলার ইউটা অপেক্ষায় রয়েছেন মাঠে নামার জন্য। তবে এদিন দিপান্ডা ডিকা অনুশীলনের সময় খুব একটা ছোটাছুটি করেননি। যদি বিশ্রামে তাঁর চোট কিছুটা নিরাময় হয়, তাহলে দলের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়বেন তিনি।
এই মূহুর্তে দলের নির্ভরযোগ্য ফুটবলার নিখিল কদমের মতে মোহনবাগান এখনও আই লিগ খেতাবের দোড় থেকে ছিটকে যায়নি। সামনের সব ম্যাচগুলো জিততে হবে ডু অর ডাই ভেবে, তবেই লিগ খেতাব আমাদের হাতের মুঠোয় আসতে পারে। না আসাটা অবাক হওয়ার কোনও কথা নয়।