ছোটো ও যুব ফুটবলে মোহনবাগান ক্লাবের জয়ের রথ যেভাবে ছুটছিল তা দেখে সবাই ভেবে নিয়েছিলেন এই অশ্বমেধের ঘোড়াকে থমকে দেওয়া যাবে না। কিন্তু মঙ্গলবার অঘটন ঘটে গেল। থমকে গেল জয়ের রথের চাকা। অবশেষে মোহনবাগানকে হারতে হল প্রতিপক্ষ ইস্টবেঙ্গলের কাছে। অনুর্ধ্ব ২১ বছর বয়সী ফুটবলে মোহনবাগান ধারাবাহিক ভাবে সাফল্য পেয়ে আসছিল। তবে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন ডেভেলপমেন্ট লিগের ডার্বিতে সেই ধারা বদলে গেল। জয় পেল লাল হলুদ শিবির।
রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন ডেভেলপমেন্ট লিগের আঞ্চলিক পর্বের ফিরতি ডার্বিতে মোহনবাগান হার স্বীকার করল ১-২ গোলে ইস্টবেঙ্গলের কাছে। কয়েকদিন আগেই এই আঞ্চলিক ডার্বিতে নৈহাটি স্টেডিয়ামে ইস্টবেঙ্গলকে ১-০ গোলে হারায় সবুজ মেরুন ব্রিগেড। এদিন সেই হারের মধুর বদলা নিলেন শ্যামল বেসরারা। খেলার শুরুতে ইস্টবেঙ্গল সেইভাবে ভালো খেলা উপহার দিতে পারেনি। তবে খেলার ১১ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি পায় মোহনবাগান। কিন্তু টাইসনের আদায় করা সেই পেনাল্টি কাজে লাগাতে পারেনি সবুজ-মেরুন শিবির। পেনাল্টি থেকে গোল না পাওয়াটা মোহনবাগানের কাছে তখনই হতাশার ছবি আঁকা হয়ে যায়। তারপর থেকেই খেলায় দাপট দেখাতে থাকে ইস্টবেঙ্গল। লাল-হলুদের হয়ে ৩৪ মিনিটে প্রথম গোলটি করেন আরোমল পি।
Advertisement
প্রথমার্ধে ম্যাচে আর কোনও গোল হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে ইস্টবেঙ্গল দাপটের সঙ্গে খেলতে থাকে। আক্রমণের তীব্রতায় সবুজ শিবিরে রক্ষণভাগ বেশ চিন্তায় পড়ে যায়। খেলার ৭১ মিনিটে আরও একটি গোল পেয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। দলের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন শ্যামল বেসরা। মোহনবাগানের রক্ষণভাগের ভুলে তাঁদের এই গোলটি হজম করতে হয়। ২ গোলে পিছিয়ে থেকেও মোহনবাগান আক্রমণ থেকে সড়ে দাঁড়ায়নি। ৭৭ মিনিটের মাথায় মোহনবাগান একটি গোল পেয়ে যায়। মোহনবাগানের হয়ে গোলের ব্যবধান কমান পাসাং দোরজি তামাং। তবে শেষ পর্যন্ত খেলার ফলাফলে কোনও পরিবর্তন হয়নি। চলতি মরশুমে এই নিয়ে তৃতীয় ডার্বিতে হার মেনে নিতে হলো মোহনবাগানকে। সব মিলিয়ে বিভিন্ন স্তরের ১৩টি ম্যাচ খেলেছে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান। তার মধ্যে ৯টি ম্যাচই জিতেছে মোহনবাগান।
Advertisement
Advertisement



