চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি ফাইনালে বার্সিলােনার মুখােমুখি হল লিভারপুল

চ্যাম্পিয়নস লিগ ফুটবলের সেমি ফাইনালে প্রত্যাশা মতােই বার্সিলােনার মুখােমুখি হল লিভারপুল। কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ২-০ গােলে জেতার পর দ্বিতীয় লেগে তারা পর্তুগালের চ্যাম্পিয়ন দল এফসি পাের্তোকে ৪-১ গােলে হারিয়ে দেওয়ায় মােট ৬১ গােলের গড়ে জিতে শেষ চারে গেল।

Written by SNS Portugal | April 19, 2019 10:26 am

(Photo: Instagram@liverpoolfc)

চ্যাম্পিয়নস লিগ ফুটবলের সেমি ফাইনালে প্রত্যাশা মতােই বার্সিলােনার মুখােমুখি হল লিভারপুল। কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ২-০ গােলে জেতার পর দ্বিতীয় লেগে তারা পর্তুগালের চ্যাম্পিয়ন দল এফসি পাের্তোকে ৪-১ গােলে হারিয়ে দেওয়ায় মােট ৬১ গােলের গড়ে জিতে শেষ চারে গেল। লিভারপুলের আক্রমণভাগের তিনজন সুপারস্টারই এই ম্যাচে গােল পেয়েছেন। এস্টাডিও ডাে ড্রাগাওতে লিভারপুল প্রথম ২৫ মিনিট পর্তুগালের দলটির আক্রমণের ঝড় সামলে নেওয়ার পর পাল্টা আক্রমণে গিয়ে প্রথম চেষ্টাতেই গােল পেয়ে যায়। যদিও স্যাডিও মেনে-এর করা এই গােল নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে ভিডিও অ্যাসিস্টেন্ট রেফারি পর্যালােচনার পর গােলের সংকেত দেন। গত সপ্তাহে অ্যানফিল্ডে প্রথম লেগের ২-০ গােলে জেতার পরই লিভারপুলের সেমি ফাইনালে ওঠা প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে স্যাডিও মেন ছাড়াও মহম্মদ সালাহ পরিবর্ত ফুটবলার রবার্টো ফার্মিনাে এবং ভার্জিল ভ্যান ডিক লিভারপুলের হয়ে গােল করেছেন।

পাের্তোর পক্ষে খেলা শেষ হওয়ার ২১ মিনিট আগে এডার মিনিটাও একটিমাত্র গােল শােধ। করেছেন। একবছর আগে এই মাঠে পাের্তো লিভারপুলের কাছে ৫-০ গােলে হেরেছিল। বার্সিলােনার সঙ্গে চ্যাম্পিয়নস লিগে লিভারপুলের শেষ দেখা হয়েছিল ২০০৬-০৭ সালে প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে। সেই ম্যাচে অ্যাওয়ে গােলে লিভারপুল জিতে যায়। প্রায় এক যুগ বা তার বেশি সময় পরে এই দুটি দল এবার সেমি ফাইনালে মুখােমুখি হচ্ছে যেটাকে চ্যাম্পিয়নস লিগের সবচেয়ে আকর্ষণীয় এবং মুখােরােচক ম্যাচ বলে বর্ণনা করা হয়েছে। লিভারপুল এবং তার সমর্থকদের কাছে এখনও একই বছরে চ্যাম্পিয়নস লিগ এবং ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ জিতে দ্বিমুকুট লাভের স্বপ্ন টিকে রয়েছে। ডৌড়ো নদীর ধারে পাের্তোর বিরুদ্ধে সেমি ফাইনালে বিশ্রি আবহাওয়ার মধ্যে খেলতে হলেও লিভারপুলের স্পিরিট যে এতটুকু কমেনি, চারটি গােলই তার প্রমাণ। এই নিয়ে লিভারপুল সতেরােটি ম্যাচ খেললাে অপরাজিত থেকে, যারমধ্যে টানা অষ্টম জয় পেল। যদিও জুর্গেন ক্লপ এবং লিভারপুল খুব ভাল করে জানে বার্সিলােনা পাের্তোর যে অনেক কঠিন প্রতিপক্ষ। তাই তাদের ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে কিনা কেউ জানে না।

এক পক্ষকালের মধ্যে লিভারপুলকে বার্সিলােনার বিরুদ্ধে প্রথম লেগের ম্যাচ খেলতে হবে। এই সময়টুকুর মধ্যে লিভারপুল ইংলিশ প্রিমিয়ার ফুটবলের দিকেই ফোকাস করতে চাইছে কারণ সেখানে তাদের কার্ডিফ সিটি এবং হাডার্সফিল্ডের বিরুদ্ধে দুটি ম্যাচ খেলতে হবে। আডভানটেজ লিভারপুল এমন একটা পরিস্থিতিতেও পাের্তোর বিরুদ্ধে ম্যাচের জন্যে কোচ জুর্গেন ক্লপ দলে তিনটি পরিবর্তন করে দল নামিয়েছিলেন। গত রবিবার যে দলটি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে চেলসিকে হারিয়েছিল ২-০ গােলে, সেই দল থেকে রবার্টো ফারমিনাে, ন্যাবি কেইটা এবং জর্ডান হেনডারসনকে বসিয়ে ক্লপ দল নামান। পাের্তোর বিরুদ্ধে প্রথম লেগে ফারমিনাে এবং ন্যাবি কেইটা লিভারপুলের হয়ে দুটি গােল করেছিলেন। যদিও যিভােক ওরিজিকে চ্যাম্পিয়নস লিগে তার অভিষেকের সুযােগ করে দিলেও ক্লপ বিরতির সময় বেলজিয়ামের ওই ফুটবলারকে তুলে নিয়ে রবার্টো ফারমিনােকে নামিয়েছিলেন।

পাের্তো দলটি ম্যাচের প্রথম ২৫ মিনিটে তেরাে বার লিভারপুলের গােলে শট নিলেও একটিও গােল করতে পারেননি। পাের্তো জানতাে চ্যাম্পিয়নস লিগে তাদের আশা এবং সুযােগ দুটোই প্রথম লেগের ম্যাচের সঙ্গে শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই লিভারপুলের মহম্মদ সালাহ বল ধরা মাত্রই পাের্তোর সমর্থকরা চিৎকার করে তাকে উৎসাহিত করেছে। বস্তুত এই ম্যাচে খেলা হয়েছে শুধু দ্বিতীয়ার্ধটুকুই। ম্যাচের ৬৫ মিনিটে লিভারপুলের ট্রেন্ড আলেকজান্ডার আরনল্ড মহম্মদ সালাহকে লক্ষ্য করে বল বাড়িয়ে দিলে সালাহ স্প্রিন্ট টেনে বক্সের মধ্যে ঢুকে প্রবীণ গােলরক্ষক আইকার ক্যাসিলাসকে হার মানান। ম্যাচের ৭৭ মিনিটে স্যাডিও মেন পাের্তোর গােলরক্ষক ক্যাসিলাসকে এক চক্কর ঘুরে গিয়েও গােল করতে পারেননি। কিন্তু হেন্ডারসন রবার্টে ফারমিনােকে লক্ষ্য করে ফ্লোটার পাঠালে ফার্মিনাে লিভারপুলের তৃতীয় গােলটি করেন। লিভারপুলের শেষ গােল আসে ভার্জিল ভ্যান ডি’কের একটি হেড থেকে। কর্নারের পর উড়ে আসা বল ক্যাসিলাস ধরার আগেই ডিক হেড করে বল জালে পাঠান।