আইপিএল ক্রিকেটের ফাইনালে মুখোমুখি পাঞ্জাব কিংস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। দুই দলের কাছেই চ্যালেঞ্জ ছিল খেতাব জয়ের লক্ষ্যে। এবারে নতুন খেতাব জয়ী দলকে দেখতে পাওয়া গেল। প্রথম থেকেই উত্তেজনায় গ্যালারি টগবগ করে ফুটছিল। পাঞ্জাবের অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন। বেঙ্গালুরু দলের ফিল সল্ট ও বড় ভরসা বিরাট কোহলি ওপেন করতে আসেন। প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ভূমিকায় খেলতে থাকেন ফিল সল্ট। জেমিসনের একটি বল ছক্কা মারতে গিয়ে ফিল সল্ট ১৬ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরত যান। সল্টের ক্যাচটি তালুবন্দি করেন শ্রেয়স। দ্বিতীয় উইকেটে কোহলির সঙ্গে জুটি বাঁধেন মায়ঙ্ক আগরওয়াল। বেশ স্বচ্ছন্দে খেলছিলেন মায়ঙ্ক।
কিন্তু চাহালের বলে পুশ করতে গিয়ে আর্শদীপের হাতে ক্যাচ দিয়ে ২৪ রানে ফেরত যান ড্রেসিং রুমে। তৃতীয় উইকেট জুটিতে কোহলির সঙ্গী হন অধিনায়ক রজত পাটিদার। নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া করে খেলছিলেন অধিনায়ক পাটিদার। জেমিসনের বলে এলবিডব্লু হয়ে আউট হন রজত পাটিদার। তখন স্কোর বোর্ডে ৯৬ রান। নিজে করলেন ২৬ রান। বিরাট কোহলি বেশ স্বচ্ছন্দে খেলছিলেন। কোহলি আজিমাতুল্লার বল খেলতে গিয়ে সরাসরি তারই হাতে ক্যাচ তুলে দেন। কোহলি আউট ৪৩ রানের মাথায়। তিনি ৩৫ বল ৪৩ রান যোগ করেন। তার মধ্যে তিনটি বাউন্ডারি। কোহলি আউট হওয়ার পরেই চাপে পড়ে যায় বেঙ্গালুরু দল।
লিভিংস্টন ২৫ রানে আউট হন এলবিডব্লু হয়ে জেমিসনের বলে। জিতেশ শর্মা যেভাবে ঝোড়ো ব্যাটিং শুরু করেছিলেন তাতে বেঙ্গালুরু দলকে আশা জুগিয়েছিলেন। কিন্তু বিজয় কুমারের বলে জিতেশ সরাসরি বোল্ড আউট হয়ে যান। তাঁর ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান। তিনি দু’টি ছক্কা ও দু’টি বাউন্ডারি মারেন। শেফার্ড ও ক্রুনাল পাণ্ডিয়া সপ্তম উইকেট জুটিতে ধীরেসুস্থে খেলতে থাকেন। স্কোরবোর্ডে রানের সংখ্যা বাড়াতে শেফার্ড ১৭ রানে আউট হয়ে যান। ক্রুনাল পাণ্ডিয়া আর্শদীপের বলে শ্রেয়স আইয়ারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান। ক্রুনালের নামের পাশে ৪ রান লেখা হয়। ভুবনেশ্বর কুমার ও জশ দয়াল ১ রান করে রান আউট থাকেন। নির্দিষ্ট ২০ ওভার শেষে বেঙ্গালুরু ৯ উইকেট হারিয়ে ১৯০ রান করে। পাঞ্জাব দল ১৯১ রানের টার্গেট নিয়ে মাঠে নামে।