একের পর এক হারের লজ্জায় ভারতকে মুখ লুকাতে হলো। ৬ ওভারের ক্রিকেটে ভারত প্রথমে কুয়েতের কাছে হার স্বীকার করে। তারপরে নেপালের কাছেও হেরে যায়। আর তৃতীয় ম্যাচে আরব আমিরশাহী দলের কাছে হেরে গেল। ভারত হারের হ্যাটট্রিকে নাম লেখালো। তবে প্রথম ম্যাচে ভারত জয় পেয়েছিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করে। তারপরেই শনিবার হতশ্রী ভারতের খেলা দেখতে পাওয়া গেল।
এদিন কুয়েত, আরব আমিরশাহী এবং নেপালের বিরুদ্ধে ম্যাচ ছিল ভারতের। দুর্ভাগ্যবশত তিন ম্যাচেই লজ্জার হার স্বীকার করতে হল কার্তিকদের। প্রথমে ব্যাটিং করে ৬ ওভারে কুয়েত তোলে ১০৬ রান। অভিমন্যু মিঠুন ২টি উইকেট পান। স্টুয়ার্ট বিনি ও শাহবাজ নাদিমরা একটি উইকেট পেলেও বেধড়ক মার খেলেন। এই ম্যাচে বল করলেন দীনেশ কার্তিক। একটি উইকেট শিকার করলেও ওভারে ২৩ রান বিলিয়ে দিলেন। সবচেয়ে করুণ অবস্থা হল প্রিয়াঙ্ক পাঞ্চালের। ওভারে ৩২ রান দিলেন। ভারতের সামনে বড় লক্ষ্যমাত্রা রাখল কুয়েত।
জবাবে ব্যাটিং বিপর্যয়ের সামনে পড়ে ভারত। রানের খাতা না খুলেই সাজঘরে ফেরেন উথাপ্পা। ব্যর্থ হন দীনেশ কার্তিক (৮), স্টুয়াট বিনি (২)। প্রিয়াঙ্কও পাঞ্চাল ১৭ রানের বেশি করতে পারলেন না। শেষের দিকে মিঠুন (২৬) এবং নাদিম (১৯) ভদ্রস্থ জায়গায় ভারতকে নিয়ে গেলেও ম্যাচ জেতাতে পারেননি। ভারতের ইনিংস শেষ হয় ৭৯ রানে। কুয়েত জেতে ২৭ রানে। ১৪ বলে ৫৮ রান এবং ৩ উইকেটে ২৩ রান দিয়ে ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন কুয়েতের ইয়াসিন প্যাটেল।
Advertisement
আরব আমিরশাহীর ম্যাচটি অবশ্য বেশ হাড্ডাহাড্ডি হয়। যদিও প্রথমে ব্যাটিং করতে নামা ভারতের শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি। ১২ রানে তিন উইকেট খুইয়ে চাপে পড়ে যায় ভারত। ভারত চিপলি (৪), প্রিয়াঙ্ক পাঞ্চাল (০), স্টুয়ার্ট বিনি (০) ব্যর্থ। সেখান থেকে অভিমন্যু মিঠুন ১৬ বলে ৫০ রান করেন অবসৃত হন।
Advertisement
দীনেশ কার্তিক অধিনায়কোচিত ইনিংস উপহার দেন। তাঁর নামের পাশে অপরাজিত ১৪ বলে ৪২ রান। ১০৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দাপুটে শুরু করেন আমিরশাহী ওপেনাররা। ১৪ বলে ৫০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খালিদ শাহর। ১১ বলে ৩১ করেন শাঘির খান। ভারতের দেওয়ার লক্ষ্য ৫.৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে পূরণ করে নেয় আমিরশাহী। ১১ রানে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হন আরবের নীলাংশ কেশওয়ানি।
এরপর নেপালের সঙ্গেও হেরে বসে ভারত। মেন ইন ব্লুর বোলারদের ব্যর্থতায় ৬ ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়ে ১৩৭ রানের পাহাড় গড়ে নেপাল। জবাবে ৩ ওভারে ৪৫ রান করে অলআউট হয়ে যায় ভারত। ব্যর্থ হয় গোটা ব্যাটিং ইউনিট। ১৭ বলে ৫৫ রান এবং ৭ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হন নেপালের রশিদ খান।
Advertisement



