• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

সতীর্থকে চড় মেরে লাল কার্ড ইদ্রিসার, এভার্টনের কাছে হার ম্যান ইউর

গুয়ের ওই ব্যাক পাস থেকে গোলের সুযোগ চলে এসেছিল ম্যান ইউ'র কাছে। তবে, ব্রুনো ফের্নান্দেসের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় কোনও বিপদ ঘটেনি।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

দীর্ঘ বারো বছর পর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ঘরের মাঠ ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে জয় পেল এভার্টন। সোমবার রাতে ম্যান ইউকে ১-০ গোলে হারালো তারা। এদিন তাদের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন কিয়েরনান ডিউসবেরি। খেলার ২৯ মিনিট নাগাদ এভার্টনকে এগিয়ে দেন তিনি। পুরো দ্বিতীয়ার্ধ জুড়ে দশজনের এভার্টনকে পেয়েও যা আর শোধ করতে পারেনি ইউনাইটেডের ফুটবলারররা।

এজন্য, বিশেষ কৃতিত্ব দিতে হবে এভার্টন গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ডকে। পুরো ম্যাচ জুড়ে ম্যান ইউ’র একাধিক গোলমুখী শট আটকে দিলেন তিনি। তবে, এভার্টনের এই জয়কে ছাপিয়ে গিয়েছে মিডফিল্ডার ইদ্রিসা গুয়ের লালকার্ড। খেলার ১৩ মিনিট নাগাদ সতীর্থ খেলোয়াড়কে চড় মেরে লাল কার্ড দেখেন তিনি। ঘটনার সূত্রপাত, খেলার ১৩ মিনিট নাগাদ। সেইসময় নিজেদের বক্সে একটি বল বিপন্মুক্ত করেন গুয়ে। কিন্তু তারপরই বিপজ্জনক ব্যাক পাস করে বসেন তিনি। সামনে থাকলেও বল ধরার কোনওরকম চেষ্টা করেননি এভার্টনের আর এক খেলোয়াড় মাইকেল কিন।

Advertisement

গুয়ের ওই ব্যাক পাস থেকে গোলের সুযোগ চলে এসেছিল ম্যান ইউ’র কাছে। তবে, ব্রুনো ফের্নান্দেসের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় কোনও বিপদ ঘটেনি। এরপরেই গুয়ের সঙ্গে বচসা বাধে কিনের। কেন সামনে থাকলেও বল ধরতে এগিয়ে আসেননি কিন, তা নিয়ে চিৎকার শুরু করে দেন গুয়ে। তারপর আচমকাই কিনকে চড় মেরে বসেন সেনেগালের এই ফুটবলারটি। পাল্টা কিনও তাঁকে মারতে যান।

Advertisement

রেফারি টনি হ্যারিংটন ‘বিপজ্জনক আচরণের’ জন্য সঙ্গে সঙ্গে লাল কার্ড দেখান গুয়েকে। কিন্তু, লাল কার্ড দেখার পরেও কিছুতেই মাঠ ছাড়তে চাইছিলেন না তিনি। কোনোক্রমে সতীর্থ খেলোয়াড়রা বুঝিয়ে তাঁকে মাঠ ছাড়া করেন। যদিও, প্রথমার্ধের খেলা শেষে এই ঘটনার জন্য কিন ও বাকি সতীর্থদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন গুয়ে। এই প্রসঙ্গে বলা যায়, ২০০৮ সালের পর ইপিএলে এই প্রথম কেউ নিজের দলের ফুটবলারকে মেরে
লাল কার্ড দেখলেন।

Advertisement