• facebook
  • twitter
Monday, 4 August, 2025

কলকাতা ফুটবল লিগে চরম অব্যবস্থা সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের দ্বিতীয় জয়

আজ ইস্টবেঙ্গল নামছে বিএসএস স্পোর্টিং ক্লাবের বিরুদ্ধে

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

কলকাতা ফুটবল লিগের প্রিমিয়ার ডিভিশনের খেলায় বারাকপুর স্টেডিয়ামে সোমবার মুখোমুখি হয় মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস ও রেলওয়ে এফসি দল। এদিন সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছিল। সেই কারণে মাঠের অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না। যার ফলে চড়া মেজাজে খেলা শুরু হয় দু’দলের মধ্যে। এমনকি শক্তি প্রয়োগ করে খেলার প্রবণতা দুই দলের ফুটবলারদের মধ্যে চোখে পড়ে। মোহনবাগান পরপর দু’টি ম্যাচে জয় পায়। এদিন সবুজ-মেরুন ব্রিগেড ২-০ গোলে রেলওয়ে এফসি’কে হারিয়ে ৩ পয়েন্ট ঘরে তুলেছে। প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়ার পরে দ্বিতীয় সাক্ষাৎকারে মোহনবাগান ৪-০ গোলে কালীঘাট স্পোর্টস লাভার্স অ্যাসোসিয়েশনকে হারিয়ে দেয়। তবে এই ম্যাচকে ঘিরে বেশকিছু ঘটনা ঘটেছে, তা মেনে নেওয়া যায় না। দেখতে পাওয়া গেল পরিচালনার অব্যবস্থা। রেফারি হিমশিম খেয়েছেন খেলা পরিচালনা করার ক্ষেত্রে।

খেলার প্রথম মিনিট থেকেই আক্রমণ গড়ে তোলে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। খেলার পাঁচ মিনিটে অধিনায়ক সন্দীপ মালিকের গেলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস। তবে দ্বিতীয় গোলটি পাওয়ার জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় মোহনবাগানকে। খেলার ৩৫ মিনিটের মাথায় মোহনবাগানের কার্তিক কিস্কুর সংঘর্ষে গুরুতর চোট পান রেলের উদীয়মান ফুটবলার তারক হেমব্রেম। মাঠে শুয়ে পড়েন তারক। যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু হলেও সেইভাবে পরিষেবা পৌঁছতে পারেনি। তাঁর পায়ে ব্যান্ডেজ বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয় অ্যাম্বুলেন্স করে হাসপাতালে। দেখা গেল দুটো ছাতা দিয়ে তাঁকে সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, ফুটবলারের গুরুতর চোটের ক্ষেত্রে ছাতা দিয়ে ব্যান্ডেজ বেঁধে পরিচর্যা! কলকাতা লিগে এই চরম অব্যবস্থা দেখে সবাই ক্ষুব্ধ। খবর পাওয়া গেছে তারককে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চোট গুরুতর হলেও অবস্থা স্থিতিশীল।

আবার খেলার ৬৩ মিনিটে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে গন্ডগোল বাঁধে। বল দখলকে কেন্দ্র করে কার্যত হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দুই দলের ফুটবলাররা। যার পরিপ্রেক্ষিতে রেফারি লাল কার্ড দেখান মোহনবাগানের সালাউদ্দিন ও রেলওয়ের গোলকিপার সুদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে শিবম মুন্ডা গোল করে ব্যবধান বাড়ান। এদিন দ্বিতীয় পর্বে ৯ মিনিট সংযুক্ত সময় দেন রেফারি। মোহনবাগান আরও বেশি গোলে জিততে পারত। বেশ কয়েকটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন শিবম। তিন ম্যাচে মোহনবাগানের পয়েন্ট ৬।

এদিকে মঙ্গলবার জয়ের সরণিতে ফিরতে চাইছে ইস্টবেঙ্গল। বারাকপুর স্টেডিয়ামে লাল-হলুদ ব্রিগেড খেলতে নামবে বিএসএস স্পোর্টিং ক্লাবের বিরুদ্ধে। গত ম্যাচে সুরুচি সংঘের সঙ্গে খেলা অমীমাংসিত ভাবে শেষ করে। এমনকি সুরুচি সংঘের ১০ জন খেলোয়াড়কে পেয়েও কোচ বিনো জর্জের ইস্টবেঙ্গল জয়ের মুখ দেখতে পায়নি। এই মুহূর্তে লিগ টেবলে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। গত বছর ইস্টবেঙ্গল ১-১ গোলে খেলা শেষ করেছিল বিএসএস দলের সঙ্গে। সেই কারণেই এবার অত্যন্ত সতর্ক হয়ে মাঠে নামতে চান ইস্টবেঙ্গলের খেলোয়াড়রা। প্রতিপক্ষ বেশ ভালো দল গড়েছে। তাদের ফরোয়ার্ড লাইন অনেক সক্রিয়। তারা শেষ মিনিট পর্যন্ত লড়াই করতে জানে। বিশেষ করে তরুণ স্ট্রাইকার সৌরভ মণ্ডল সবার নজর কেড়ে নিয়েছে। ইস্টবেঙ্গল জয় ছাড়া অন্য কোনও কথা ভাবছে না। আবার বিএসএস স্পোর্টিং ক্লাব নিজেদের মর্যাদায় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়ার জন্য
তৈরি রয়েছে।