আল আহলির সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে ক্লাব বিশ্বকাপে অভিযান শুরু ইন্টার মিয়ামির। শনিবার মিয়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেও গোলের দেখা পেলো না কোনো দলই। তবে, এক্ষেত্রে বিশেষ প্রশংসা প্রাপ্য আল আহলির গোলরক্ষক মোহাম্মদ এল শেনাউইয়ের । ম্যাচে অন্তত পাঁচবার দলের নিশ্চিত পতন রোধ করলেন তিনি।
এই ম্যাচে শুরু থেকেই যথেষ্ট দাপট ছিল মিশরের ক্লাব আল আহলির। একের পর এক আক্রমণে মিয়ামির ডিফেন্সে কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়েছিলেন তাঁরা। সেইসময় মিয়ামির হয়ে একপ্রকার অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিলেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক অস্কার উস্তারি। দলের হয়ে অন্তত সাতবার নিশ্চিত পতন রোধ করেন তিনি। তারমধ্যে প্রথমার্ধের ৪৩ মিনিটে আহলির ত্রেজেগুয়ের নেওয়া পেনাল্টি শটকে ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঁচান তিনি। নাহলে, তখনই এগিয়ে যেতে পারত মিশরের এই ক্লাবটি। এই প্রসঙ্গে বলা যায়, ২০০৫ সালে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টিনা দলের গোলরক্ষক ছিলেন তিনি। দেশের জার্সি গায়ে সেটাই ছিল মেসির প্রথম ট্রফি। তবে, শুধু তাই নয়, পরবর্তীকালে ২০০৮ সালে অলিম্পিক্স সোনাজয়ী দলেও ছিলেন দু’জনে।
Advertisement
তবে, শুধু মিয়ামির গোলরক্ষক একাই নন, পুরো ম্যাচ জুড়ে যথেষ্ট ব্যস্ত থাকতে হলো আহলির গোলরক্ষক মোহাম্মদ এল শেনাউইয়কেও। দলের হয়ে বেশকিছু দুরন্ত সেভ করলেন তিনিও। মেসির একটি দুরন্ত শট সেভ করার পাশাপাশি, ম্যাচের ৬ মিনিটে লুইস সুয়ারেজের একটি শটও আটকে দেন তিনি। তার মিনিট দুয়েক আগে মেসির একটি শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। নাহলে তখনই এগিয়ে যেতে পারত মিয়ামি। তবে, গ্রুপ-এ’র প্রথম ম্যাচে ড্র করায় দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার রাস্তাটা কিছুটা হলেও কঠিন হল মিয়ামির জন্য। পাশাপাশি, এই টুর্নামেন্ট নিয়ে ফিফা’র উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মত। তবে, প্রথম ম্যাচ কিন্তু যথেষ্টই নিরাশ করবে তাদের তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
Advertisement
Advertisement



