কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপে সংশয়ের পাহাড়ের সামনে দাঁড়িয়ে গেল ইন্টার মায়ামি। প্রথম লেগের সেমিফাইনালে মেসি ও সুয়ারেজরা হেরে বসলেন। ভ্যাঙ্কুভার ২-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছে ইন্টার মায়ামিকে। প্রথম সেমিফাইনালে হেরে যাওয়ায় ইন্টার মায়ামির সমর্থকরা আশঙ্কায় ভুগতে শুরু করেছেন। তাহলে কি ফাইনালে ওঠা আর সম্ভব নয়! ভরসা জোগাচ্ছে কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ। লস অ্যাঞ্জেলসের সঙ্গে কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে প্রথম লেগের খেলায় হেরে গিয়েছিল মায়ামি। কিন্তু পরবর্তী রাউন্ডের খেলায় জিতে যান মেসিরা। ভ্যাঙ্কুভার সমস্যায় ফেলে দিয়েছে ২-০ গোলে জিতে যাওয়ায়। লস অঞ্জেলস জিতেছিল ১-০ গোলে।
ভ্যাঙ্কুভারের বিরুদ্ধে মোটেই সুবিধে করতে পারেননি মেসি। তাই তাঁর পথ ধরেই সুয়ারেজ, সের্জিও বুসকেতসরাও কেমন যেন ঝিমিয়ে ছিলেন। আক্রমণ আর প্রতি-আক্রমণে খেলা বেশ জমজমাট হয়ে ওঠে। গোলের সুযোগ পাচ্ছিল দুটি দলই। কিন্তু কেউই শেষ লক্ষ্যে পৌছতে পারেননি। বিশেষ করে মেসি যখন ভ্যাঙ্কুভারের সীমানায় ঢুকে গিয়েছেন তখনই চলেছে প্রবল উল্লাস। ফেটে পড়েছেন মেসি ভক্তরা। ২৪ মিনিটে দুরন্ত এক ক্রস থেকে হেডে গোল করে ভ্যাঙ্কুভারকে এগিয়ে দেন মার্কিন স্ট্রাইকার ব্রায়ান হোয়াইট। তারপর গোল পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল মায়ামি।
সুবিধে করতে পারেনি। বিরতির আগে ম্যাচের রাশ পুরোপুরি নিয়ে ফেলেছিল মায়ামি। তবু গোল পায়নি। বিরতির পরও মেসিরা মরিয়া মনোভাব নিয়ে ঝাঁপিয়ে ছিলেন। তাই বলে পিছিয়ে পড়েনি ভ্যাঙ্কুভারও। ভ্যাঙ্কুভারের রক্ষণভাগকে অবশ্যই প্রশংসা করতে হবে। তারা মেসি, সুয়ারেজদের কোনও সময়ের জন্য গোল করতে দেয়নি। ফ্রি-কিক থেকে শুরু করে, বিপক্ষের সীমানায় ঢুকে তেমন সুবিধে করতে পারছেন না মেসিরা তখন-ই কফিনে শেষ পেরেকটি পুতে দেয় ভ্যাঙ্কুভার। ৮৫ মিনিটে দুরন্ত আক্রমণ থেকে দলকে দ্বিতীয় গোলটি এনে দেন সেবাস্তিয়ান বেরহাল্টার। তখন মায়ামির সমর্থকরা বুঝে গিয়েছেন, আজ তাঁদের দিন নয়। ১ মে মায়ামির মাঠ চেজ স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে ফের মুখোমুখি হবে দু-দল। এখন সেইদিকে তাকিয়ে আছেন মেসিরা।