ভারতীয় ফুটবল দলের কোচের দায়িত্ব নিয়ে খালিদ জামিল বেশ কিছু বদল আনতে চাইছেন। চলতি আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু হতে চলেছে সেন্ট্রাল এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন নেশনস কাপ ফুটবল। তারপরে ভারতকে মুখোমুখি হতে হবে আগামী অক্টোবর মাসে এএফসি এশিয়ান কাপ বছাই পর্বের খেলায় সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে। সেই কারণে কোচ খালিদ জামিলের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। সেই কারণে কোচ খালিদের দর্শন অনুযায়ী ভারতীয় দলে তিনটি ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন আসতে পারে।
কোচ খালিদের চিন্তাভাবনায় প্রথম জায়গা পাবে দলের রক্ষণভাগ। রক্ষণভাগকে কীভাবে আরও শক্তিশালী করা যায় সেদিকে বিশেষ নজর দিতে চাইবেন। সেই কারণে রক্ষণভাগকে শক্ত করতে চাইলে মজবুত লাইন আপ তৈরি করেতে নজর দেবেন। কৌশলে প্রতিপক্ষ দলের আক্রণ রুখে দেওয়ার জন্যে সেইভাবে ব্যারিকেড তৈরি করবেন। প্রয়োজনে মাঝমাঠ থেকে এক বা দুজনকে সেই মুহূর্তে রক্ষণে টেনে নিয়ে সেই আক্রমণকে ভোঁতা করে দেওয়া। তাই কোচ খালিদ লক্ষ্য রাখবেন দলকে প্রথমে রক্ষা করা। তারপরে আক্রমণে শান দেওয়া।
Advertisement
তারপরে আক্রমণ গড়ে তুলতে দুই প্রান্তের ফুটবলারদের তৈরি করা। ওই দুই ফুটবলার বল তুলে দিতে চেষ্টা করবেন ওয়াইড পজিশনে বল তুলে দেওয়া। সেই বল টেনে নিয়ে অন্য খেলোয়াড়রা গোল করার চেষ্টায় চাপে ফেলে দেবেন প্রতিপকক্ষ দলকে। অর্থাৎ দুই প্রান্তের ফুটবলারকে বেশি সক্রিয় করে আক্রমণ গড়ে তোলার কৌশলটা কাজে লাগাবেন।
Advertisement
তৃতীয়ত: কোচ খালিদ চাইলে শারীরিক শক্তিকে প্রাধান্য দিয়ে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা। সেই কারণে একটু শক্তিশালী চেহারা ফুটবলারদের দলে রাখতে চাইবেন। প্রয়োজনে তাঁরা টাফ ফুটবল খেলে প্রতিপক্ষ দলকে কোনঠাসা করতে চাইবেন। বিপক্ষদলের খেলোয়াড় সহজে বল নিতে পারেন, সেই দিকটা দেখা হবে। আগ্রাসী মনোভাব না থাকলে প্রতিপক্ষ দল চাপ সৃষ্টি করে খেলবার চেষ্টা করবে। সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। অর্থাৎ সামিদ চাইবেন, কৌশলগত দৃঢ়তা, বাস্তববাদী দৃষ্টিভঙ্গি ও দেশীয় ফুটবলের প্রতি আন্তরিকতা।
Advertisement



