এই তো কয়েকদিন আগে এবারের আইপিএল ক্রিকেটের সমাপ্তি ঘটল। এবারের এই প্রতিযোগিতায় রাজস্থান রয়্যালস দলের অধিনায়ক ছিলেন সঞ্জু স্যামসন। হঠাৎই সঞ্জু রাজস্থান ছেড়ে দক্ষিণ ভারতের কোনও একটি দলে যোগ দেওয়ার কথা সমর্থকদের কাছে তুলে ধরেছেন। এই নিয়ে ক্রিকেট মহলে বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কেরলের এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান সঞ্জু স্যামসনকে নিয়েজল্পনা তৈরি হয়েছে আইপিএল ক্রিকেট চলার সময়। ২০২১ সালে রাজস্থান দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সঞ্জু। এমনকি তাঁরই নেতৃত্বে ২০২২ সালে রাজস্থান দল ফাইনালে খেলার ছাড়পত্র পেয়েছিল।
আবার ২০২৪ সালে প্লে-অফ ম্যাচে খেলার সুযোগ পেয়েছিল সঞ্জুর নেতৃত্বে রাজস্থান রয়্যালস। তবে, বাংলাদেশে খেলতে গিয়ে আঙুলে চোট পেয়েছিলেন তিনি। সেই কারণে এবারে আইপিএল ক্রিকেটে প্রথম কয়েকটি ম্যাচে খেলতে পারেননি। সেই সময় রাজস্থান রয়্যালসকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সহ অধিনায়ক রিয়ান পরাগ। অবশ্য সঞ্জু ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন। পরে পাঁচটি ম্যাচে রিয়ানই দলকে নেতৃত্ব দেন। তখন থেকেই একটা জল্পনা তৈরি হয়েছিল, তিনি আর রাজস্থান দলে থাকবেন না। আসলে দলের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সঞ্জুর মনোমালিন্য দেখা যায়। সেই কারণে আইপিএল শেষ হওয়ার পরেই সঞ্জু যে বার্তা দিয়েছেন, তাতে স্পষ্ট হয়ে উঠেছেন, তিনি রাজস্থান ছাড়ছেন।
শোনা যাচ্ছে, রাজস্থান ছেড়ে তিনি চেন্নাই সুপার কিংসে যোগ দিতে পারেন। চেন্নাই দলে আগামী মরশুমে একজন ভালো উইকেট রক্ষকের প্রয়োজন রয়েছে। মহেন্দ্র সিং ধোনি অবসর ঘোষণা করলে চেন্নাই দলের কাছে এই ভাবনাটাই দেখা দিয়েছে। সেই কারণেই একজন অভিজ্ঞ ভারতীয় দলের উইকেটরক্ষক হিসেবে তুলে নিতে চাইছেন চেন্নাই দল। সেক্ষেত্রে সঞ্জুর নামটা প্রথম পছন্দের তালিকায় থাকতেই পারে। তাই আগামী বছরের জন্য মেগা নিলামে চেন্নাই দলের লক্ষ্য থাকবে সঞ্জু স্যামসনের উপর।
২০১২ সালে আইপিএল ক্রিকেটে সঞ্জু স্যামসন খেলতে নেমেছিলেন। তখন তিনি কলকাতা নাইটরাইডার্স দলের ক্রিকেটার। সঞ্জু অবশ্য সেই সময় খেলার সুযোগই পাননি। ২০১৩ সালে রাজস্থান দলের সঙ্গে যুক্ত হন। ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি সেখানেই খেলেছেন। তারপরে ২০১৬ ও ১৭ সালে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে সঞ্জু মাঠে নামেন। ২০১৮ সালে আবার রাজস্থান তাঁকে কিনে নেয়। তখন থেকেই রাজস্থান দলের অন্যতম মুখ হিসেবে সঞ্জু স্যামসনকে ফোকাস করা হত। আট বছর বাদে রাজস্থানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চলেছেন সঞ্জু স্যামসন।