মোহনবাগান ক্লাবের নির্বাচনের ঝোড়ো হাওয়ায় শাসক ও বিরোধীপক্ষ মেতে উঠেছে। দুই পক্ষই প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন প্রান্তে সভা করে বলতে চেষ্টা করছে, কেন তাদের সদস্যরা ভোট দেবেন। শাসক পক্ষের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, গত তিন বছরে যেভাবে মোহনবাগান সাফল্যের আলোয় উদ্ভাসিত হয়েছে, তা ভাবা যায়নি। শুধু আইএসএল ফুটবলে নয়, যুব ফুটবল থেকে শুরু করে বয়সভিত্তিক ফুটবলেও বাজিমাত করেছে মোহনবাগান। চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কলকাতা হকিতে।
ক্রিকেটেও সাফল্য এসেছে। রাজ্য অ্যাথলেটিকসে মোহনবাগানর জয়জয়কার। সব মিলিয়ে সাফল্যের খতিয়ানে শাসক গোষ্ঠী যে এগিয়ে, তা বলা যেতেই পারে। বর্তমান সচিব দেবাশিস দত্ত একের পর এক সভায় সাফল্যের খতিয়ান দিতে গিয়ে আগামী দিনে কী করতে চলেছেন, তারও ভাবনা প্রকাশ করেছেন। আবার কখনও দেখা গিয়েছে, দুই পক্ষের মধ্যে রাজনৈতিক নেতাদের অনুপ্রবেশ। এই সপ্তাহে যে সমস্ত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের বিরোধী পক্ষের সভায় দেখতে পাওয়া গিয়েছিল, তাঁদের মধ্যে অনেকেই দলছুট হয়ে শাসক গোষ্ঠীর হয়ে বক্তব্য রাখছেন। পাশাপাশি, প্রাক্তন ফুটবলাররাও দুই পক্ষে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন সভায় বক্তব্য রাখছেন। মোহনবাগান ক্লাবের নির্বাচনী সভা নিয়ে এইরকম আবহাওয়া অতীতে দেখতে পাওয়া যায়নি। মাঝেমধ্যেই ব্যক্তিগত ব্যবহার নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে সমালোচনায় মুখর হচ্ছে।
এদিকে শনিবার নির্বাচনী প্রচারে বিরোধীপক্ষের সচিব পদপ্রার্থী সৃঞ্জয় বোস বর্ধমানে গিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন প্রাক্তন ফুটবলার শিশির ঘোষ ও শিল্টন পাল। বর্ধমানের সভায় সৃঞ্জয় বোস বলেন, ক্ষমতায় আমরা যদি আসি, তাহলে বর্ধমানে একটি ফুটবল অ্যাকাডেমি গঠন করা হবে। দু’পক্ষ থেকেই বার বার বলা হচ্ছে মোহনবাগান এবারে মহিলাদের ফুটবল দল তৈরি করবে। সৃঞ্জয় বোস আশাবাদী এবারের নির্বাচনে এগিয়ে থাকবেন। সচিব দেবাশিস দত্ত বলছেন, জেতার লক্ষ্যে তিনি আত্মবিশ্বাসী।