অর্জুন পুরষ্কারের জন্যে সামির নাম সুপারিশ করে নিজেরাই ফ্যাসাদে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড

এ বছরের অর্জুন পুরস্কারের জন্য মহম্মদ সামিকে নিয়ে চারজন ক্রিকেটারের নাম সুপারিশ করে ফ্যাসাদে পড়ে গেল ভারতীয় ক্রিকেট বাের্ড। সামি ভারতের পেশ বােলিংয়ের বর্তমানে সেরা অস্ত্র হিসেবে এই পুরস্কার পাওয়ার যােগ্য অধিকারী কিন্তু সামির ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে টালমাটাল চলতে থাকায় তাকে এই পুরস্কার দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।

Written by SNS Mumbai | May 2, 2019 11:30 am

মহম্মদ সামি (Photo: AFP)

এ বছরের অর্জুন পুরস্কারের জন্য মহম্মদ সামিকে নিয়ে চারজন ক্রিকেটারের নাম সুপারিশ করে ফ্যাসাদে পড়ে গেল ভারতীয় ক্রিকেট বাের্ড। পুনম যাদব, যশপ্রীত বুমরা এবং রবীন্দ্র জাদেজার সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেট বাের্ডের প্রশাসকদের কমিটি মহম্মদ সামির নামও সুপারিশ করেছে। যদিও সামি ভারতের পেশ বােলিংয়ের বর্তমানে সেরা অস্ত্র হিসেবে এই পুরস্কার পাওয়ার যােগ্য অধিকারী কিন্তু সামির ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে টালমাটাল চলতে থাকায় তাকে এই পুরস্কার দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।

গতবছর মার্চ মাসে মহম্মদ সামির বিরুদ্ধে বিবাহের সময় পণ নিয়ে ঝামেলা এবং যৌন নিগ্রহের অভিযােগ ওঠে। কলকাতা পুলিশ সামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিটও দেয়। সামির স্ত্রী হাসিন জাহান আলিপুর আদালতে একটি পিটিশন করে সামির বিরুদ্ধে ঘরােয়া সংঘাতের অভিযােগ আনা ছাড়াও ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রতি মাসে সাত কোটি টাকা দাবি করেন।

এই দীর্ঘমেয়াদী ঝামেলায় হাসিন জাহান একবছর আগে তার স্বামীর বিরুদ্ধে একটি এফআইআর করেন পুলিশের কাছে যাতে অভিযােগ করা হয় ঘরােয়া সংঘাত, বহুগামিতা এবং আরও অনেক কিছু নিয়ে। জানিয়ে বাের্ডের প্রশাসকদের কমিটি মহম্মদ সামির সঙ্গে কেন্দ্রীয় চুক্তি আটকে দিয়েছিল এবং বাের্ডের অ্যান্টি কোরাপশন ইউনিট ক্লিয়ারেন্স দেওয়ার পর সামির সঙ্গে কেন্দ্রীয় চুক্তি করে বাের্ড।

যখন সামির সঙ্গে আইনগত লড়াই চলছে এবং ক্রিকেট সমাজ তারই পাশে দাঁড়িয়েছে তখনও বিষয়টি বিচারাধীন এবং এই নিয়ে তদন্ত শেষ হয়নি। জাতীয় পুরস্কারের জন্য নীতিগত গাইড লাইন হল যেমন অর্জুন পুরষ্কারের জন্য বাধ্যতামুলক হচ্ছে যে, নমিনীদের যে কোনও ধরনের ফৌজদারি অপরাধ থাকা চলবে না। যারা অৰ্জুন পুরস্কারের জন্য সুপারিশ করেন তাদের এই বিষয়টা সার্টিফাই করতে হয় যে নমিনীর কোনও রকমের ভিজিলেন্স অথবা শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত দৃষ্টিকোণ থেকে কোনও কিছুর সঙ্গে যুক্ত নন অথবা তাদের বিরুদ্ধে কোনও ফৌজদারী অভিযােগ নেই।

যদি সংশ্লিষ্ট ক্রীড়াবিদ কেন্দ্রীয় অথবা রাজ্য সরকার অথবা কোনও পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিংয়ের অথবা কোনও বেসরকারি সংস্থার কর্মচারী হন তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ওই ক্রীড়াবিদের নিয়ােগ কর্তার কাছ থেকে প্রয়ােজনীয় রিপাের্ট সংগ্রহ করতে হবে তবেও এই ধরনের সার্টিফিকেট দেওয়া সম্ভব যে সংশ্লিষ্ট ক্রীড়াবিদ সমস্ত রকম বিতর্ক থেকে মুক্ত।

ঘটনা হল প্রশাসকদের কমিটি অর্জুন পুরষ্কারের জন্য এই সমস্ত নিয়ম আদৌ অনুসরণ না করেই মহম্মদ সামির নাম সুপারিশ করে দিয়েছে যেটা মহম্মদ সামিকে আরও বিড়ম্বনায় ফেলতে চলেছে।