মোহনবাগানের নির্বাচন নিয়ে বর্তমান শাসক গোষ্ঠী এবং বিরোধী পক্ষ জোরদার তৎপরতা দেখাতে শুরু করেছে। দফায় দফায় তারা বিভিন্ন জায়গায় নির্বাচনী সভার আয়োজন করছে। শুধু কলকাতায় নয়, শহর ছাড়িয়ে বিভিন্ন জেলায় সভায় তাঁরা বক্তব্য রাখছেন, কেন তাঁদের ভোট দেবেন এই বিষয়ে যুক্তি খাড়া করছেন কর্মকর্তারা। রাজনৈতিক নেতাদের মতো ভোটপ্রার্থীর সমর্থনে ইস্তাহার প্রকাশ করা হয়েছে।
শাসক গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে শনিবার দুর্গাপুর মোহনবাগান ফ্যানস ক্লাবের পক্ষ থেকে সবুজ-মেরুন বিজয় উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে ‘আনন্দে পার্বণ’ অডিটোরিয়ামে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে শাসক গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে সচিব দেবাশিস দত্ত বক্তব্য রাখেন। দুর্গাপুরে মোহনবাগানের সমর্থকরা বর্তমান শাসক গোষ্ঠীকে সমর্থন করবেন বলে পাশে দাঁড়ান। আগামী দিনে যাতে মোহনবাগান ক্লাবকে আরও আধুনিকীকরণ করা যায়, সেই বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।
Advertisement
অন্যদিকে মোহনবাগান নিয়ে আগামীদিনে কী পরিকল্পনা এবং নির্বাচনে জয়ী হলে কীভাবে ক্লাবের উন্নয়নে তাঁরা এগিয়ে আসবেন, এ বিষয়ে প্রাক্তন সচিব সৃঞ্জয় বসুর সমর্থনে একটি ইস্তেহার প্রকাশ করা হয়েছে। এই ইস্তেহার শনিবার বিধাননগরে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে সদস্যদের সামনে তা প্রকাশ করেন প্রাক্তন সচিব সৃঞ্জয় বসু। ইস্তেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন একাধিক প্রাক্তন ফুটবলার, ক্রিকেটার ও সৃঞ্জয়ের প্যানেলে সম্ভাব্য প্রার্থীরা। এই ইস্তেহারে প্রাক্তন সচিব বলেছেন, ক্লাবের প্রতি তাঁদের দায়বদ্ধতা তেমনই ক্লাবের সম্মানকে কীভাবে অটুট রাখতে হয়, তার ছবি স্পষ্ট করবেন। তবে এই ইস্তেহারে সৃঞ্জয় ও টুটু বসুর ছবি ছাপা হয়েছে।
Advertisement
ইস্তেহারে বলা হয়েছে, প্রবীণদের জন্য আজীবন সদস্যপদের ফি মুকুব করা, ৫০ বছর যাবৎ যাঁরা সদস্য রয়েছেন, তাঁদের বার্ষিক চাঁদা মুকুব করা। কোনও সদস্য প্রয়াত হলে সেই সদস্যপদ পরিবারের স্ত্রী বা সন্তানের নামে হস্তান্তরিত করা। আারও বলা হয়েছে, মেম্বার্স গ্যালারি, ক্যাফেটেরিয়া-সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সুবন্দোবস্ত করা, এ ছাড়া ক্লাব প্রাঙ্গণের মধ্যে সভ্যরা যাতে আরও নিজেদের মতো করে সময় কাটানোর পরিসর পান, সে-ব্যবস্থা করাই হবে লক্ষ্য। ক্লাবের ব্র্যান্ডিং এবং মার্কেটিংয়েও বাড়তি গুরুত্ব দেবে নতুন কমিটি।
আন্তর্জাতিক স্তরে মোহনবাগান ক্লাবের নাম যাতে আরও ছড়িয়ে পড়ে, সেই লক্ষ্যে সর্বতভাবে চেষ্টা করবে নতুন কমিটি। মোহনবাগান দিবস থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ ট্রফি জয়ের মুহূর্ত অর্থাৎ মোহনবাগানের ইতিহাস তুলে ধরা হবে অত্যাধুনিক কায়দায়।
Advertisement



