• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

মুর্শিদাবাদে রক্তদান শিবিরের মাধ্যমে শহিদ স্মরণ দিবস পালন যুব কংগ্রেসের

নিজস্ব সংবাদদাতা, বহরমপুর, ২১ জুলাই:  রবিবার মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের মধ্য দিয়ে শহিদ স্মরণ দিবস পালন করল জেলা যুব কংগ্রেস৷ জেলা প্রশাসনিক ভবনের ঠিক উল্টোদিকে যুব কংগ্রেসের কার্যালয় রাজীব ভবনে দিনটি পালন করেন যুব কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা৷ যুব কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তহিদুর রহমান সুমনের নেতৃত্বে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা

নিজস্ব সংবাদদাতা, বহরমপুর, ২১ জুলাই:  রবিবার মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের মধ্য দিয়ে শহিদ স্মরণ দিবস পালন করল জেলা যুব কংগ্রেস৷ জেলা প্রশাসনিক ভবনের ঠিক উল্টোদিকে যুব কংগ্রেসের কার্যালয় রাজীব ভবনে দিনটি পালন করেন যুব কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা৷ যুব কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তহিদুর রহমান সুমনের নেতৃত্বে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা প্রাক্তন বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী, প্রাক্তন বিধায়িকা ফিরোজা বেগম, কংগ্রেস নেতা তুহিন দাস, আমিনূল ইসলাম প্রমুখ ৷ ১৩জন শহিদের বেদীতে মাল্যদানের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির সূচনা হয়৷ প্রায় ৮০ জন যুব কংগ্রেস কর্মী এদিন রক্তদান করেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে৷ প্রত্যেক রক্তদাতার হাতে বিশেষ স্মারক, শংসাপত্র এবং একটি করে গাছের চারা তুলে দেওয়া হয়৷ সেই সঙ্গে ২১ জুলাইয়ের তাৎপর্য এবং যুব কংগ্রেসের ভূমিকাকে সামনে রেখে বক্তব্য রাখেন উপস্থিত নেতৃবর্গ৷

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তহিদুর রহমান সুমন বলেন, “নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনার জন্য সচিত্র পরিচয়পত্রের মাধ্যমে ভোটাধিকার প্রয়োগের দাবিতে ১৯৯৩ সালের আজকের এই দিনটিতে কলকাতার ধর্মতলায় আন্দোলন সংগঠিত করেছিল রাজ্য যুব কংগ্রেস৷ সেদিন ১৩ জন তরতাজা প্রাণ শহীদ হয়েছিলেন৷ তাঁরা প্রত্যেকেই যুব কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থক ছিলেন৷ তাঁদের স্মরণ করার জন্য প্রতি বছর এই দিনটিতে সারা রাজ্য জুডে় যুব কংগ্রেসের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়৷ এবছরও তার ব্যতিক্রম নয়৷ শহীদদের স্মরণে আজ মুর্শিদাবাদ যুব কংগ্রেসের উদ্যোগে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে৷ সেই সঙ্গে গাছ লাগান, প্রাণ বাঁচান-এই শ্লোগানকে সামনে রেখে প্রত্যেক রক্তদাতার হাতে আমরা একটি করে গাছের চারা তুলে দিয়েছি৷”

Advertisement

তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে ধর্মতলায় শহিদ দিবস পালিত হচ্ছে৷ এ নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে, তহিদুর রহমান বলেন, “এটা অনেকটা কাকের বাসায় কোকিলের ডিম পাড়ার মতো অবস্থা৷ ১৯৯৩ সালে ঘটনাটি ঘটে৷ সে সময় তৃণমূল কংগ্রেসের জন্ম হয়নি৷ এটা জাতীয় কংগ্রেসের আন্দোলন৷ সে সময় যুব কংগ্রেসের নেতৃত্বের মাধ্যমে আন্দোলনটা সংগঠিত হয়েছিল৷ এটা যুব কংগ্রেসের আন্দোলন ছিল৷ তাই প্রতিবছর এটা যুব কংগ্রেস পালন করে থাকে৷ আর ধর্মতলায় শহিদদের স্মরণ করা হয় না৷ ওখানে নায়ক-নায়িকারা পাগলু ড্যান্স করে৷ সেখানে আনন্দ-উৎসব করা হয়৷ আমাদের কাছে এটা আবেগের দিন৷ শহিদদের স্মরণ করার দিন৷”

Advertisement

Advertisement