নিজস্ব প্রতিনিধি, দিল্লি: “দিল্লিতেই কেন জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে?”, এবার জোরালো প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের আইনজীবী কপিল সিব্বল। উল্লেখ্য, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদ সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল বৃহস্পতিবার। সেখানে অভিষেকের আইনজীবী কপিল সিব্বল প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট বা পিএমএলএ -এর একাধিক দিক নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদের ক্ষেত্রে কোনও কুসংস্কার কাজ করছে ইডির? অভিষেক অভিযুক্ত নাকি সাক্ষী, কি হিসেবে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাও কেন ইডি স্পষ্ট করছে না?” তাঁর আরও বক্তব্য, “১৬০ নম্বর ধারায় দু’টি ক্ষেত্রেই তলব করা যায়। আমি তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। কিন্তু কাল আমার কোনও স্টেটমেন্ট আমার বিরুদ্ধেই ব্যবহার করা হতে পারে। সিবিআইয়ের ক্ষেত্রে তাও প্রভিশন রয়েছে যে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে রাজনৈতিক কারণে বা উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে ব্যবহার করা হলে তাঁর কর্মী আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার। কিন্তু ইডির ক্ষেত্রে তো সেটাও নেই।”
Advertisement
উল্লেখ্য, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বারবার ইডি কেন দিল্লিতে ডাকছে, কেন কলকাতার তলব নয়, তা নিয়ে অনেকদিন ধরেই বিতর্ক চলছে। অভিষেকও প্রশ্ন তুলেছিলেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাঁকে কলকাতায় কেন ডাকে না? কেন দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়? এই সংক্রান্ত একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিয়েছিল, অভিষেককে কলকাতায় ডেকে পাঠানো হোক। সে সময় ইডির আপত্তি ছিল এ নিয়ে। পাল্টা ইডির বক্তব্য, তাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। কেন্দ্রীয় এজেন্সির উপর বিভিন্ন জায়গায় হামলার প্রসঙ্গও তুলে ধরেছিল তারা।
Advertisement
আদালতের বক্তব্য, সমস্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তী নির্দেশের উপর ফের শুনানি শুরু হয়েছে। বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও এই মামলার শুনানি হয়। যে পদ্ধতিতে অভিষেককে তলব করা হচ্ছে এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, তা নিয়ে এদিন জোরালো সওয়াল সিব্বল। কলকাতায় ইডি-র পূর্বাঞ্চলীয় অফিস থাকা সত্ত্বেও কেন তাঁকে দিল্লিতে তলব করা হচ্ছে, তাই স্পষ্ট জানতে চান আইনজীবী। বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চে বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি হয়। আদালত ৭ অগষ্টের পর ফের এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করেছে।
Advertisement



