প্রশান্ত দাস: অধীর গড়ে দাঁড়িয়ে অধীর চৌধুরীকেই কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়৷ আক্রমণের পাশাপাশি দিলেন ‘মাথা ঠান্ডা’ রাখার পরামর্শও৷ ‘পরাজয়টাও যেন সম্মানের হয়’, পরামর্শের সুরে পরোক্ষ আক্রমণ অধীরকে৷ বুধের দুপুরে রবীন্দ্রজয়ন্তীর দিনে বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী তথা প্রখ্যাত ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানের সমর্থনে বহরমপুর টেক্সটটাইল মোড় থেকে জামতলা মোড় পর্যন্ত রোডশো করেন অভিষেক৷ সেই রোডশো থেকেই দফায় দফায় আক্রমণ শানান ইউসুফের প্রতিদ্বন্দ্বী অধীর চৌধুরীকে৷ প্রথমেই নাম না করে ‘ডামি প্রার্থী’ বলে কটাক্ষ করেন অধীরকে৷ অভিষেক বলেন, ‘বহরমপুরে আমাদের লড়াই বিজেপি এবং তার ডামি প্রার্থীর বিরুদ্ধে নয়, বিজেপির এজেন্টের বিরুদ্ধে৷
বিগত পাঁচ বছর ধরে যখন বাংলার মানুষ কেন্দ্র সরকার কর্তৃক অপমানিত বঞ্চিত হয়েছেন তখন এখানের সাংসদ তাঁর প্রতিবাদের ভাষা নিয়ে রাস্তায় নামেননি, আন্দোলনে পা মেলাননি৷ অধীর চৌধুরী তথা বাংলার কংগ্রেস, সিপিএমের কোনো নেতা একটা চিঠি লিখেও কেন্দ্রের বিমাতৃসুলভ আচরণের প্রতিবাদ করেননি৷ বরং মমতা বন্দোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে বিজেপির হাত শক্তিশালী করেছে৷”
Advertisement
অধীর ছ’মাস আগে বলেছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলী যদি ভোটে দাঁড়ান, তাহলে সবার আগে তাঁকেই ভোট দেবেন অধীর৷ আবার তিনিই বলেছিলেন, তৃণমূলের চেয়ে বিজেপিকে ভোট দেওয়া ভালো৷ এই প্রসঙ্গ টেনেই কড়া ভাষায় আক্রমণ অভিষেকের৷ অধীর বিজেপিকে ভোট দিলে জনসাধারণ কেন কংগ্রেসকে ভোট দেবেন? প্রশ্ন তোলেন সেনাপতি৷ একই আক্রমণের তীরে অভিষেক কংগ্রেসের সাথে বিঁধেছেন সিপিএমকেও৷ তাঁর ভাষায়, “যে অধীর চৌধুরীকে আপনারা দিল্লিতে পাঠিয়েছিলেন বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে, তিনিই বলছেন তৃণমূলের থেকে বিজেপিকে ভোট দেওয়া ভালো৷ আমি কংগ্রেস সমর্থকদের জিজ্ঞেস করতে চাই, যারা এতদিন ধরে সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন তারা কি দেখছেন? সিপিএমের হার্মাদদের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসা সেই কংগ্রেসের নেতা অধীর চৌধুরী আজ মহম্মদ সেলিমের সাথে কাস্তে হাতুড়ির পতাকা নিয়ে মিছিল করছেন৷ কাস্তে হাতুড়ি, তারার সাথে মিশে গেছে অধীর চৌধুরীর কাটা হাত আর আদর্শ বিসর্জন দিয়ে অধীর খাচ্ছেন সাঁইবাড়ির রক্তমাখা ভাত৷”
Advertisement
Advertisement



