মোল্লা জসিমউদ্দিন: গেরুয়া সাংসদ সৌমিত্র খাঁ’র পর আরও একজন গেরুয়া বিধায়ক কলকাতা হাইকোর্ট থেকে আইনী স্বস্তি পেলেন। এদিন কলকাতা হাইকোর্টে স্বস্তি পেলেন বিজেপি নেতা নীলাদ্রিশেখর দানা, বঙ্কিমচন্দ্র ঘোষ। কল্যাণী এইমসে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় স্বস্তি বিজেপি নেতাদের।
প্রসঙ্গত কল্যাণী এইমস হাসপাতালে প্রভাবশালীদের আত্মীয়স্বজনদের বেআইনিভাবে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ দায়ের হয়। এই ঘটনায় বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা ও তাঁর মেয়ে, বঙ্কিম ঘোষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এরপরই মামলা খারিজের আবেদন করে হাইকোর্টে পাল্টা মামলা হয়। সোমবার সেই মামলার শুনানি ছিল। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্ত মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন। আদালত জানিয়েছে, ‘কোনও জনপ্রতিনিধি ও সরকারি অফিসারের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির মামলা শুরু করতে হলে সংশ্লিষ্ট সরকারের অনুমোদন নিতে হয়। কিন্তু এই ক্ষেত্রে কোনও অনুমোদন না নিয়েই পুলিশ ওই ধারায় মামলা শুরু করায় মামলা খারিজ করা হয়েছে।’
Advertisement
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২০২২ সালে এ বিষয়ে অভিযোগ সামনে আসে। চাকদহের বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ ও বাঁকুড়ার বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানার ভূমিকা উল্লেখ করে অভিযোগ তোলা হয়। পরে মুর্শিদাবাদের এক বাসিন্দা কল্যাণী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি ঘটনার তদন্ত শুরু করে। নীলাদ্রিশেখর দানার মেয়ের পাশাপাশি চাকদহের বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ ওঠে।
Advertisement
অভিযোগ ওঠে, ‘যোগ্যতার ভিত্তিতে নয়, প্রভাব খাটিয়ে কল্যাণী এইমসে নিয়োগ করা হয়েছে।’ বঙ্কিম ঘোষ প্রভাব খাটিয়ে তাঁর পুত্রবধূ অনসূয়া ঘোষকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় বিধায়কের পুত্রবধূকেও তলব করে সিআইডি। পরপর দু’বার নোটিস দেওয়া হয় সিআইডির তরফে। এরপর কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অভিযুক্তরা। সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট সেই মামলাটি খারিজ করে দিয়েছে। এর আগে কলকাতা হাইকোর্ট থেকে মামলা খারিজ হয় গেরুয়া সাংসদ সৌমিত্র খাঁ’র।
Advertisement



