• facebook
  • twitter
Saturday, 2 November, 2024

জমি দখলের টাকায় ৮৭ লাখের সোনা, ৪টি গাড়ি কেনে শাহজাহান, চার্জশিটে দাবি করল ইডি

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা– লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই সন্দেশখালি ইস্যু নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। ইডি-র আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনার পর থেকেই শিরোনামে উঠে এসেছে শেখ শাহজাহানের নাম। এরপর তৎকালীন এই তৃণমূল নেতা ও তাঁর শাগরেদদের বিরুদ্ধে উঠেছে একাধিক অভিযোগ৷ উঠেছে জমি দখল, মহিলাদের ওপর শ্লীলতাহানির মতো গুরুতর অভিযোগও৷ টানা কয়েকদিন পলাতক থাকার পর ধরা পড়ে এইসব

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা– লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই সন্দেশখালি ইস্যু নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। ইডি-র আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনার পর থেকেই শিরোনামে উঠে এসেছে শেখ শাহজাহানের নাম। এরপর তৎকালীন এই তৃণমূল নেতা ও তাঁর শাগরেদদের বিরুদ্ধে উঠেছে একাধিক অভিযোগ৷ উঠেছে জমি দখল, মহিলাদের ওপর শ্লীলতাহানির মতো গুরুতর অভিযোগও৷ টানা কয়েকদিন পলাতক থাকার পর ধরা পড়ে এইসব অভিযোগের ‘মাস্টারমাইন্ড’ শেখ শাহজাহান৷ সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট৷ সেই চার্জশিট অনুয়ায়ী, জমি দখলের টাকায় ৮৭ লাখ টাকার সোনা কিনেছিল শেখ শাহজাহান৷ সোনার পাশাপাশি ৪টি বিলাসবহুল গাড়িও কিনেছিলেন প্রাক্তন এই তৃণমূল নেতা ৷ এছাড়াও ৪ জনের নামে মোট ১ কোটি ১০ লাখ টাকার সম্পত্তি কেনা হয়েছিল ৷ জমি দখলের টাকায় শাহজাহানের সম্পত্তি ও টাকা লেনদেনের পরিমাণ ১৯৯ কোটি ৭৬ লাখ টাকা৷ এই সব তথ্যের উপর ভিত্তি করে ইডির আধিকারিকদের দাবি, শাহজাহানের মোট সম্পত্তির মূল্য ২০০ কোটি ২৬ লাখ টাকা৷

শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগিরের ২০ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ মিলেছে৷ শিবু হাজরা ও অন্য এক সঙ্গীর সম্পত্তির পরিমাণও কয়েক কোটি টাকা বলে জানতে পেরেছেন ইডি আধিকারিকরা৷ জমি দখল করে টাকা আদায়ের জন্য শাহজাহান ও তাঁর সঙ্গীরা বেআইনি অস্ত্র দিয়ে খুন, খুনের চেষ্টা করত বলে উঠেছে অভিযোগ ৷ পাশাপাশি নিজের এবং তাঁর ভাই ও সঙ্গীদের নামে হওয়া একাধিক মামলা প্রভাব খাটিয়ে শাহজাহান পুলিশের খাতা থেকে সরিয়ে ফেলেছে৷ জেলা ও পঞ্চায়েতস্তরের বিভিন্ন পদে নিজের পছন্দমতো লোকেদের বসানোয় এভাবে সে প্রভাব খাটাতে পারত বলে জানা গেছে৷

একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে তনুশ্রী, জয়ন্তী, চন্দ্রদীপ সহ ৪ জনের নামে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে ৪টি অ্যাকাউন্টের সন্ধান পায় ইডি৷ তাঁরা শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ বলে জানা গেছে৷ ৪টি অ্যাকাউন্টের মধ্যে দুটিতে ৩৫ লাখ টাকা করে ৭০ লাখ টাকা ও বাকি ২টি অ্যাকাউন্ট থেকে ২০ লাখ টাকা করে ৪০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে৷ মোট ১ কোটি ১০ লাখ টাকা খরচ করে এই ৪ জনের নামে শাহজাহান সম্পত্তি কেনে বলে অভিযোগ উঠেছে৷