প্রার্থী না করায় অভিমান হলেও পদত্যাগ করেননি সায়ন্তিকা

Written by SNS March 11, 2024 12:05 pm

কলকাতা, ১১ মার্চ: গতকাল লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের ২৪ ঘন্টা পার হতে না হতেই দল ছাড়লেন অভিনেত্রী তথা নেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ সোমবার সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে দল ও পদ ছাড়লেন তিনি। অভিমানে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদক থেকে ইস্তফা দিলেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনই এক গুঞ্জন ছড়িয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এরপরই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয় শোরগোল। গুজব ছড়ায়, তাঁকে লোকসভায় প্রার্থী না করায় দল ছেড়েছেন অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে সায়ন্তিকা মঞ্জুষার ডিরেক্টর এবং রাজ্য পর্যটন দপ্তরের ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকেও ইস্তফা দিতে চলেছেন বলেও গুজব ছড়ায়।

আজ, সোমবার এই পদ থেকে সরে দাঁড়াতে পারেন বলেও গুজব ছড়ায় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে। এই খবর সামনে আসতেই জোর চর্চা শুরু হয় রাজ্য–রাজনীতিতে। যদিও সমস্ত জল্পনাতে জল ঢেলে দিয়েছেন নেত্রী তথা অভিনেত্রী সায়ন্তিকা। তিনি বলেন, আমি কাজ করে কেন টিকিট পেলাম না, এবিষয়ে আমার একটা অভিমান হয়েছে সত্য। কিন্তু, তার অর্থ এই নয় আমি পদত্যাগ করেছি। এটা সম্পূর্ণ সামাজিক মাধ্যমের গুজব বলে দাবি করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তিকা। এপ্রসঙ্গে আজ সোমবার একটি বৈদ্যুতিন মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় একথা বলেন সায়ন্তিকা।

জানা গিয়েছে, গতকাল প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর ব্রিগেডের সভা থেকে বেরিয়ে আসেন সায়ন্তিকা। তারপরেই দল ছাড়ার গুজব ছড়ায়। আজ, সোমবার সামাজিক মাধ্যমে একটি ইস্তফাপত্র ভাইরাল হয়। সায়ন্তিকার নামে সেই ইস্তফাপত্র প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়। সেই ইস্তফাপত্রে লেখা ছিল, ‘আমি গত ৩ বছর ধরে দলের সামগ্রিক রাজনৈতিক প্রতিবাদ ও উন্নয়ন কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত ছিলাম। দলের সুনির্দিষ্ট আদ‌র্শ অনুসরণ করে সমস্ত কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছি। এই পর্যায়ে, আমি দলের সমস্ত রাজনৈতিক দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দিচ্ছি।’

ইতিমধ্যে সায়ন্তিকা তাঁর এই ইস্তফাপত্র তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীকে পাঠিয়ে দিয়েছেন বলেও দাবি করা হয় সামাজিক মাধ্যমে। যদিও এই ইস্তফাপত্র তাঁর লেখা নয় বলে দাবি করেন তৃণমূলের রাজ্য নেত্রী। সূত্রের খবর, অভিনেত্রী বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া থেকে হেরে যান সায়ন্তিকা। সেজন্য ওই আসনে জয়লাভের জন্য তিনি সেখানকার সাংগঠনিক কাজে মন দেন। কিন্তু সেখানে দেখা যায়, বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তীকে প্রার্থী করা হয়েছে।