কুমারস্বামী আস্থা ভোট চাইলেন সোমবার

কর্নাটক বিধানসভার অধ্যক্ষ রমেশ কুমারের আর্জির শুনানির সময় বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের ইস্তফার দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিল সুপ্রিম কোর্ট।

Written by SNS New Delhi | July 13, 2019 1:46 pm

চলছে কর্নাটক বিধানসভার অধিবেশন (Photo: IANS)

কর্নাটক বিধানসভার অধ্যক্ষ রমেশ কুমারের আর্জির শুনানির সময় বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের ইস্তফার দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল বিধায়কদের ইস্তফার ফয়সালা হবে মঙ্গলবার।

ততদিন পর্যন্ত রাজ্য রাজনীতিতে স্থিতাবস্থা বজায় থাকবে। বিদ্রোহী বিধায়কদের ইস্তফার সিদ্ধান্ত রমেশ কুমারকে নিতে হবে না বলে জানিয়ে দিল প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বেঞ্চ।

কর্নাটকে ১০ বিক্ষুব্ধ বিধায়কের ইস্তফা নিয়ে শুক্রবারের মধ্যে অধ্যক্ষ রমেশ কুমারকে সিদ্ধান্ত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পর অধ্যক্ষের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বেঞ্চকে জানান, ‘শুক্রবারের মধ্যে বিধায়কদের ইস্তফার সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। তাছাড়া, ওই বিধায়করা আদৌ স্বেচ্ছায় ইস্তফা দিয়েছে, না কি তাঁদের ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে সময় লাগবে’।

আদালতকে নির্দেশ বদলের আর্জি জানান সিংভি। সেই সময় বেঞ্চ জানায়, বৃহস্পতিবার যেহেতু নির্দেশ দেওয়া হয়ে গেছে সেহেতু শুনানি হবে শুক্রবার। অধ্যক্ষের আবেদনের ভিত্তিতে এদিন বিধায়কদের ইস্তফার চুড়ান্ত ফয়সালার দিন পিছিয়ে দিয়ে মঙ্গলবার করা হয়।

আজ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের সামনে ভৎসিত হতে হয় কর্নাটক বিধানসভার অধ্যক্ষ রমেশ কুমারকে। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে শুনানির সময় অধ্যক্ষের আইনজীবী জানান, অধ্যক্ষ এখনও ইস্তফাপত্রগুলি ভালাে করে দেখে উঠতে পারেননি। তবে বিধায়করা যে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন সে কথা শীর্ষ আদালতকে জানিয়েছেন সিংভি

অধ্যক্ষ রমেশ কুমারের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘অধ্যক্ষ কী মনে করেন বিধায়কদের ইস্তফাপত্র গ্রহণ করার অধিকার শুধু তারই আছে, আদালতের নেই’।পরবর্তী মামলা শুনানি হবে মঙ্গলবার। অর্থাৎ এদিনই কুমারস্বামীসন্ধার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাচ্ছে কিনা স্পষ্ট হয়ে যাবে।

রাজনৈতিক ডামাডােলের মধ্যে শুক্রবার থেকে কর্নাটক বিধানসভায় ১১ দিনের বাদল অধিবেশন শুরু হল। বিধানসভার অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী সরকার পড়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেন।

তিনি জানান, ‘কয়েক জন বিধায়কের ইস্তফা দিতে চাওয়ায় এই মুহুর্তে রাজ্য রাজনীতি সঙ্কটের মুখে। এখন যা পরিস্থিতি তাতে সােমবার আস্থাভােটের আর্জি জানাচ্ছি আমি। অধ্যক্ষের অনুমতি পেলে যেকোনও মুহুর্তে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে প্রস্তুত সরকার’।

বিধানসভায় বাদল অধিবেশন সুষ্ঠভাবে হবে বলে আশা করছেন জেডি (এস) ও কংগ্রেসের জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী। তাঁর দাবি, ‘বর্তমান সরকারকে গদিচ্যুত করা সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছে বিরােধীরা। কংগ্রেস-জডি (এস) জোট মজবুত বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চাইলে সরকার তার মােকাবিলা করতে প্রস্তুত।

রাজ্যে শাসক দলের বিধায়কদের ভাঙিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিজেপিকে দায়ী করছে কংগ্রেস ও জেডি (এস)। ১৮ জন বিধায়ক ইস্তফা দেওয়ায় সতর্ক রয়েছে দুই দলই। বেঙ্গালুরুর বাইরের একটি হােটেলে বিধায়কদের বন্দি করে রেখেছে জেডি (এস)। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বও বিধায়কদের সঙ্গে সমানে যােগাযােগ রেখে চলেছে।