• facebook
  • twitter
Monday, 2 December, 2024

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে বারাসতের মিছিলে হাঁটলেন কাকলি, রথীন

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রবিবারের মধ্যে সিবিআইয়ের তদন্ত শেষ করতে হবে কারণ ৯০% তদন্ত আমাদের কলকাতা পুলিশ করেই রেখেছিল

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে শুক্রের বিকেলেই কলকাতার রাজপথে নেমেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এবার আরজি করের ঘটনায় দোষীদের ফাঁসি চাই ও কবে দোষীদের ফাঁসি হবে- এই স্লোগান ও প্রশ্ন তুলে বারাসতে আয়োজিত হলো এক প্রতিবাদ মিছিল। এই মিছিলে নেতৃত্ব দিলেন বারাসাত সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা সাংসদ ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। শনিবার বিকেল চারটে থেকে শুরু হয় এই প্রতিবাদ মিছিল। বারাসতের ডাকবাংলো মোড় থেকে মধ্যমগ্রাম চৌমাথা পর্যন্ত এই মিছিলে হাঁটলেন কাকলি, মিছিলে নেতৃত্ব দিলেন অসংখ্য মহিলারা। কাকলি ছাড়াও এদিনের মিছিলে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, দেগঙ্গার তৃণমূল নেতা তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মফিদুল হক শাহজি, বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায়, মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান নিমাই ঘোষ, বারাসাত এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হালিমা বিবি সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতৃত্বগণ। কাকলির স্পষ্ট দাবি, আরজি করে সিপিএম আমল থেকেই পড়ুয়াদের উপর অকথ্য অত্যাচার হয়ে আসছে। কাকলি জানিয়ে দেন, দোষীদের ফাঁসির দাবিতেই তিনি মিছিল করছেন। এদিনের মিছিলের অগ্রভাগে থেকেই ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ -এর স্লোগান তোলেন কাকলি, রথীনেরা। মিছিলে ছিল তৃণমূলের মহিলা ব্রিগেড। হাতে প্ল্যাকার্ড, সাথে চিৎকার ‘নির্যাতিতার বিচার চাই।’

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আরজি কর কাণ্ডে দুদিন আগেই ‘মেয়েদের রাত দখল’ -এর লড়াইয়ে বারাসত থেকে সামিল হয়েছিলেন হাজারো মহিলা। মধ্যরাতে রাস্তায় নেমে হাতে মোমবাতি নিয়ে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ এর দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন তাঁরা। এবার ফের কাকলির নেতৃত্বে বারাসতের রাজপথে নামলেন মহিলা ব্রিগেড। এ প্রসঙ্গে কাকলি এদিন বলেন, “আরজি করের ঘটনা অত্যন্ত বেদনাদায়ক, মর্মান্তিক! মৃতার পরিবারকে সমবেদনা জানাই।তাঁদের লড়াইয়ে আমরাও একশো ভাগ সঙ্গে আছি। প্রকৃত দোষীদের ফাঁসির দাবিতে এদিন আমরা পথে নেমেছি।”

তিনি আরও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রবিবারের মধ্যে সিবিআইয়ের তদন্ত শেষ করতে হবে কারণ ৯০% তদন্ত আমাদের কলকাতা পুলিশ করেই রেখেছিল। আমরা দোষীদের মৃত্যুদণ্ড চাই।” এরপরই তিনি এই ঘটনায় বামপন্থীদের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। আরজি করের একজন প্রাক্তনী হিসেবে কাকলি এদিন বলেন, “এখনকার ঘটনা নিয়ে বামপন্থীরা যাঁরা সরব হয়েছেন, তাঁদের দাদা, কাকাদের সময়ে আরজি করের পড়ুয়াদের উপর অকথ্য অত্যাচার হয়েছিল। সে ঘটনা হয়তো তাঁদের জানা নেই! তাপসী মালিকের হত্যাকান্ড তাঁরা নিশ্চয়ই জানেন। তৎকালীন আরজি করের ফরেন্সিকের প্রফেসর ছাত্রীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করতেন। বামফ্রন্ট সরকারের আমলে বামফ্রন্ট বিরোধী পরিবারের উপর অকথ্য অত্যাচার চলেছে।”

এদিন রথীন ঘোষ বলেন, “আমাদের একটাই দাবি – ধর্ষক ও খুনিদের ফাঁসি চাই। আমাদের ঘরের মেয়ের উপর পাশবিক অত্যাচার চলেছে, এটি মেনে নেওয়ার নয়। সিবিআই যতদিন পর্যন্ত ন্যায় বিচার না দিতে পারবে ততদিন আমাদের আন্দোলন চলবে।”