পৃথক উত্তরবঙ্গ, পৃথক জঙ্গলমহলের দাবি অযৌক্তিক, এমনই দাবি করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘােষ। যা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
দিলীপ ঘােষের অভিযােগ, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে উত্তরবঙ্গের কোনও উন্নতি হয়নি। চিকিৎসা, শিক্ষা, চাকরি, স্বাস্থ্যের জন্য অন্যত্র হয় উত্তরবঙ্গবাসীকে। কোনও হাসপাতাল, ভাল স্কুল নেই সেখানে? জঙ্গলমহলের অবস্থাও এক। শালপাতা, কেন্দুপাতা নিয়ে মা-বােনেরা সেখানে জীবিকা নির্বাহ করেন। কেন তাঁদের চাকরির জন্য রাঁচি, ওড়িশা, গুজরাতে যেতে হচ্ছে? দেশের স্বাধীনতা , উন্নয়নের লাভ পাওয়ার অধিকার নেই তাঁদের?
Advertisement
উল্লেখ্য, এর আগে জন বালা যখন পৃথক উত্তরবঙ্গ রাজ্যের দাবি জানিয়েছিলেন তখন দিলীপ ঘােষ চড়া গলায় যেমন তার বিরােধিতা করেননি, তেমনই আবার সমর্থনও করেননি এভাবে। স্বাভাবিকভাবে তাই তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে জোর চর্চা। শনিবার সকালে উত্তরবঙ্গে পা রেখে তৃণমূলকে তােপ দাগেন তিনি।
Advertisement
পুরুলিয়ায় তৃণমূলের জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের বন্দুক হাতে ভাইরাল ভিডিওর প্রসঙ্গ তুলে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে তালিবানের সঙ্গে তুলনা করে কটাক্ষ বলে বলেন, একটা গণতান্ত্রিক দেশে কোনও পার্টি কর্মসূচি করতে পারবে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিদর্শন করতে পারবেন না। এটা হতে পারে না। কাল দেখেছেন একজন সভাধিপতি বন্দুক উচিয়ে সকলকে চমকাচ্ছেন। নব্য তালিবানি শাসন চলছে। যে দলের নেতা সেই দলের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কিন্তু নেওয়া হচ্ছে না। কারণ, এরাই দলকে ক্ষমতায় আসতে সাহায্য করেছে।
দিলীপ ঘােষের এই মন্তব্যের তীব্র বিরােধিতা করে দার্জিলিং জেলা তৃণমূল সভাপতি পাপিয়া ঘােষ বলেন, দিলীপ ঘােষের কোনও কাজ নেই তাই ভােটের আগেও এমন নানা কথা বলেছেন। মানসিকভাবে অসুস্থ। অবসাদগ্রস্ত মানুষ।
দিলীপ ঘােষের কথা শুনে বিভ্রান্ত হলে চলবে না। যারা ভােটের আগে মানুষকে ধর্মের নামে ভয় দেখিয়েছিল তারাই তালিবান, আমরা নয়। মানুষ তার জবাব ইতিমধ্যেই দিয়ে দিয়েছে।
Advertisement



