গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের কাবুল দখলের মধ্য দিয়ে তালিবান দ্বিতীয় পর্যায়ে ক্ষমতায় আসতে চলেছে। তবে এবার তারা অনেকটাই পরিণত। তাই শাসন ক্ষমতায় সরকারি কাউন্সিল গড়ছে তারা। তবে সেনার পুরাে রাশ থাকবে তালিবান যােদ্ধাদের হাতে।
গত বুধবার আফগানিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি হামিদ কারজাই এর সাথে তালিবানদের প্রথম সারির নেতা তথা হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রধান আনাস হাক্কানির সাথে সরকার গঠন নিয়ে বৈঠক হয়।
Advertisement
পরবর্তী আফগান রাষ্ট্রপতি হিসাবে তালিবান নেতা মােল্লা আব্দুল বরাদর এবং পূর্বতন সরকারের অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রী আলি আহমেদ জালালির নাম উঠে আসছে। আর লুকোচুরি নয়, এবার জনসম্মুখে আসবেন তালিবান নেতৃত্ব।
Advertisement
গত মঙ্গলবার এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে তালিবান নেতা জাবিউন্না মুজাহিদ জানিয়েছেন, তাদের নেতারা এবার প্রকাশ্যে আসবেন। সংগঠন আর গােপনীয়তার লেশমাত্র থাকবে না।
সমগ্র আফগানিস্তান জুড়ে দীর্ঘমেয়াদি শাসন ক্ষমতা আনতে আগেকার তুলনায় অপেক্ষাকৃত নরম অবস্থান নিয়েছে তালিবান। ন্যাটো বাহিনী এবং আফগান সরকারের মিত্র সহ সকলের জন্য ক্ষমা প্রদর্শন, মহিলাদের সমান অধিকার, সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পক্ষে সওয়াল করতে দেখা যাচ্ছে নয়ের দশকে উগ্ন তালিবানদের।
এমনকি মন্ত্রিসভায় মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব করার সুযােগ নাকি তারা দেবে। গত ১৫ আগস্ট কাবুল দখল করার পর তালিবান নেতৃত্ব জানায়, কোন রক্তপাত হবে না। বিজয় উল্লাসে মাতবে না তালিবান’। এগুলি সংবাদমাধ্যমে বললেও বাস্তকি ছবি আলাদা।
গত ১৯৯৫ সালে বামিয়ানে হাজারাে জনজাতির নেতা আব্দুল আলি মজজারির মূর্তি তারা ভেঙে দেয় গত সপ্তাহে। তাখাড় প্রদেশে এক মহিলা বােরখা না পরায় খুন করে তালিবানরা। বিভিন্ন রাস্তায় ভিড় সামলাতে হাতে লাঠি-চাবুক নিয়ে দেখা যায় তালিবানদের।
এমনকি বিমানবন্দরে অপেক্ষারত আফগানদের গুলি করে মারে তালিবানরা। গত ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানে যে চরম উগ্রবাদ দেখিয়ে ছিল তা এবার অনেকটায় কম দেখাতে চাইছে তালিবান।
সকলের জন্য ক্ষমা প্রদর্শন, মহিলাদের সমান অধিকার, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা কথাগুলি তালিবানদের নিছক আশ্বাস না বাস্তৰ্কি পদক্ষেপ তার উত্তর দেবে সময়, বলছে ওয়াকিবহাল মহল।
Advertisement



