জনতার আদালতে কী নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারবেন প্রাক্তন বিচারপতি?

Written by SNS April 11, 2024 12:34 pm

বরুণ দাস: বহুকাল বাদে যে মানুষটিকে ঘিরে কলকাতা মহামান্য উচ্চ আদালতে এক সময় জন-উচ্ছ্বাসের সুনামি বইয়ে গিয়েছিল, আদালতের ওপর সাধারণ মানুষের বিশ্বাস-নির্ভরতার ব্যাপক স্ফূরণ ঘটেছিল, প্রশাসন নয়, একমাত্র মহামান্য আদালতই ফিরিয়ে দিতে পারে বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের প্রাপ্য অধিকার-যে অধিকারের কথা উল্লেখ আছে আমাদের পবিত্র সংবিধানে-সেই মানুষটিইউ সদ্য স্বেচ্ছাবসর নেওয়া মাননীয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ আরও পাঁচ মাস বাকি ছিল যাঁর কার্যকালের মেয়াদ৷

কিন্ত্ত বিচারপতি হিসাবে কর্মজীবনের নির্দিষ্ট মেয়াদ উত্তীর্ণের আগেই তিনি তাঁর গৌরবময় পদ থেকে সরে গেলেন৷ এরফলে স্বেচ্ছাবসর জীবনে তাঁর আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হবে না৷ কিন্ত্ত সবকিছু মেনে নিয়েই তিনি তাঁর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন একথা বলাই বাহুল্য৷ সিভিল সার্ভিস থেকে সরে এসে আইনকে পেশা হিসেবে বেছে নেওয়া কম ঝঁুকির ব্যাপার নয়৷ একটানা পঁচিশ বছর আইনি পেশা চালিয়ে যাওয়ার পর কলকাতা উচ্চ আদালতে অস্থায়ী বিচারপতি পদে নিযুক্ত হন এবং পরে স্থায়ী বিচারপতি৷

পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি, ব্যক্তিগত সততা, কাজের প্রতি নিষ্ঠা, মানুষের প্রতি ভালোবাসা, সামাজিক দায়বদ্ধতা, মানসিক সংবেদনশীলতা-সবকিছু মিলিয়ে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নিজেকে এক অন্য মাত্রায় তুলে ধরতে পেরেছিলেন৷ বিশেষ করে রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় তাঁর পর্যবেক্ষণ এবং রায় নিয়ে কালঘুম ছুটেছিল রাজ্য সরকারের৷ শাসকদলের মাথারা তাঁকে নিয়ে বেশ বিপাকে পড়ে গিয়েছিলেন নিঃসন্দেহে৷ প্রতিদিনই প্রায় নিয়ম করে তার মুন্ডুপাত করা হচ্ছিল৷

সংবাদমাধ্যমের সামনে দলের মনোনীত মুখপাত্র একজন সম্মাননীয় বিচারপতি সম্বন্ধে যা নয়, তাই বলে যাচ্ছিলেন৷ যে বক্তব্য অনায়াসেই আদালত অবমাননার দায়ে চিহ্নিত হতে পারে৷ তাঁর এজলাসের সামনে বিক্ষোভ-অবস্থানের বে-নজির কর্মসূচি নিয়েচেন রাজ্যের সরকারি আইনজীবীরা৷ এমন কি, তাঁকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার জন্যেও আদালতের সরকার-মুখি বার অ্যাসোসিয়েশন কড়া অভিযোগ জানিয়েছেন মহামান্য শীর্ষ আদালত সহ অন্যান্য কর্তৃপক্ষের কাছে৷ একই সঙেঅগ সমাজমাধ্যমে চলেছে কটাক্ষ৷
কিন্ত্ত কোনও বিরূপ মন্তব্যেই তিনি কর্ণপাত করেননি, বরং নিজের সিদ্ধান্তে অবিচল থেকে একের পর এক মামলায় দুঃসাহসিক সিদ্ধান্ত দিয়ে গেছেন৷ যে সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারকে হয় ডিভিশন বেঞ্চ নয়তো শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়েছে. কখনও-সখনও তাঁর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে, আবার কখনও-সখন তাঁর সিন্ধান্তকেই মান্যতা বা স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে. বিচারপতি হিসেবে তাঁর ছয় বছরের কার্যকালের মধ্যে দু’বছর ছিল বেশ বিড়ম্বনাময়৷ ঝড় বয়ে গেছে তাঁর কার্যাবলীকে ঘিরে৷
আসলে নিয়োগ-দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়ে মৌচাকে ঢিল ছঁুড়েছিলেন তিনি৷ গোটা শিক্ষাদফতরকেই গরাদে পুরে দিয়েছিলেন৷ রাজ্য শিক্ষাপর্ষদেপর সঙ্গে যুক্ত মন্ত্রী-বিধায়ক-আমলা-আধিকারিক-সভাপতি-উপদেষ্টা-অধ্যক্ষ- উপাচার্য থেকে প্রভাবশালী নেতাদেরও৷ ‘কান টানলে মাথা আসে’ এমন একটা গড়পরতা ধারণাও তিনি জাগিয়ে দিয়েছিলেন আমাদের মতো সাধারণ মানুষের মনে৷ মানুষ বিচার-ব্যবস্থার ওপর আস্থা রাখতে শুরু করেছিলেন৷ ‘পারলে তিনিই পারেন’ জাতীয় ধারণার জন্ম দিয়েছিলেন৷

একথা ঠিক, বিভিন্ন সময়ে তাঁর কড়া পর্যবেক্ষণ এবং নানা মন্তব্য নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক তৈরি হয়েছে৷ শাসকদলের পাশাপাশি আপাত-নিরপেক্ষ মানুষেরাও প্রবল আপত্তি তুলেছেন৷ মাননীয় বিচারপতির আসনে থেকে ওই সব ‘আপত্তিকর মন্তব্য’ করা যায় না বলে তারা স্পষ্টতই জানিয়েছেন৷ এমন কি, কতিপয় বরিষ্ঠ আইনজীবী তাঁকে নিয়ে অবস্থিত মন্তব্যও করেছেন৷ তিনি ‘আইনের কিছুই জানেন না’ বলেও প্রকাশ্যে মন্তব্য করেছেন এঁদের কেউ কেউ৷ আদালতের ভিতরে ও বাইরে প্রবল বিরোধিতার মধ্যে চলতে হয়েছে তাঁকে৷
রাজ্যের জনপ্রিয় বেসরকারি নিউজ চ্যানেল এবিপি আনন্দে সাক্ষাৎকার দেওয়া নিয়েও জল কম ঘোলা হয়নি৷ বিচারপতির আসনে থেকে এমন সাক্ষাৎকার দেওয়ার ‘আইনি বৈধতা’ নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছিল৷ প্রকাশ্যে তীব্র সমালোচনার পাশাপাশি নালিশ পেঁৗছে দেওয়া হয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালতেও৷ এরই পরিপ্রেক্ষিতে দু’টি মামলার শুনানি সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাঁর এজলাস থেকে৷ যদিও যাঁদের এজসাসে ওই মামলা সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তাঁরাও অত্যন্ত দক্ষতা এবং নিরপেক্ষতার সংগে তা সামাল দেন৷

এমন একজন কড়া ধাতের মানুষ তথা ব্যতিক্রমী বিচারপতির স্বেচ্ছাবসর নিয়ে রাজনীতিতে প্রবেশের খবরে চারদিকে শোরগোল পড়ে গেছে. মিডিয়া জুড়ে তাঁরই কথা৷ কেউ কেউ বাহবা দিচ্ছেন, কেউ বা রীতিমতো হতাশ তাঁর এই সদ্ধান্তে৷ কেন বাহবা দিচ্ছেন আর কেনই বা হতাশ৷ তাও তারা সংবাদমাধ্যমের সামনে বলছেন৷ মিডিয়ার সৌজন্যে সেসব মন্তব্য মাননীয় প্রাক্তন বিচারপতির কানেও পেঁৗছচ্ছে৷ প্রয়োজনে তাঁর ‘ব্যক্তিগত ব্যাখ্যা’ ও দিচ্ছেন তিনি৷, যা বলছেন স্পষ্ট বলছেন৷ লুকোচুরির ব্যাপার নেই৷
কোন দলে তিনি যোগ দেবেন তা তাঁর একান্তই নিজস্ব ব্যাপার৷ দেশের নির্বাচন কমিশন স্বীকৃত যেকোনও দলকেই বেছে নেওয়ার পূর্ণ অধিকার তথা স্বাধীনতা তাঁর আছে৷ আমার পছন্দের দল তাঁর ভালো না লাগতেও পারে, আবার আমার অ-পছন্দের দল তাঁর ভালো লাগতেই পারে৷ কিন্ত্ত আমার ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ বা মতাদর্শ নিয়ে অন্যকে বিচার করতে না যাওয়াই ভালো৷ অথচ সেটাই হয়ে চলেছে সর্বত্র৷ ভাজপা-কে বেছে নেওয়ার জন্যে ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে সমালোচনার তীব্র ঝড় উঠেছে৷

এবার আসা যাক তাঁর গোটা সিদ্ধান্ত নিয়ে দু’-চারকথা পর্যালোচনায়৷ বাস্তবের প্রেক্ষাপটে বিষয়টা তুলে ধরা যাক৷ তাহলেই স্পষ্ট হবে রাজনীতিতে যোগ দেওয়া জনিত তাঁর সিদ্ধান্ত কতটা ঠিক কিংবা বেঠিক৷ আগেই বলা হয়েছে, যে কোনও নাগরিকই রাজনীতিতে আসতে পারেন এবং সেটা তার সাংবিধানিক বা মৌলিক অধিকার৷ তা নিয়ে মন্তব্য করা সমীচীন নয়৷ কিন্ত্ত তাহলে তাঁর সিদ্ধান্তের বিষয়ে আমরা এতটা অনৈতিক আগ্রহ দেখাচ্ছি কেন? কারণ তিনি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেই৷ অন্য কেউ হলে নিশ্চয়ই নয়৷
রাজনীতিতে সভ্য-শিক্ষিত-ভদ্র-সংবেদনশীল লোকজনের আসা দরকার একথা ঠিক৷ তা না হলে দুষ্কৃতীদের দখলে চলে যাবে রাজনীতি৷ যেমন আজকে চলে গেছেও৷ এখন রাজনীতির আড়ালে চলেছে বেলাগাম দুষ্কৃতীরাজ৷ গোটা দেশেরই প্রায় একই পরিস্থিতি৷ কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন স্বীকৃত জাতীয় ও রাজ্যস্তরের রাজনৈতিক দলগুলোর দিকে তাকালে একথা কোনওভাবেই অস্বিীকার করা যায় কী? মতবাদ যতোই মহৎ হোক না কেন, তার ধারক-বাহকরা তা মেনে চলতে অনিচ্ছুক৷ একন রাজনীতি নয়, দলীয়করণের রমরমা৷

সরকারপক্ষ এবং বিরোধিপক্ষ (বা অপেক্ষমান সরকারপক্ষ) সবার চরিত্রই আজ জনগণের সামনে পরিষ্কার. স্বচ্ছতার কথা বলে সরকারে আসে এবং ক্ষমতায় আসার পাঁচবছরের মধ্যেই আদ্যন্ত দুর্নীতিতে ডুবে যায়৷ নদীপ স্রোতে খড়কুটোর মতো ভেসে যায় যাবতীয় স্বচ্ছতা৷ গত সাতাত্তর বছরে একথার উজ্জ্বল নজির স্থাপন করেছেন এদেশের রাজনৈতিক দলগুলো৷ সাধারণ মানুষের সামনে বিকল্প কোনও পথ নেই, তাই তারা ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে ওই বিতর্কিত ও দুর্নীতিগ্রস্থ দলগুলোকেই নির্বাচনের মাধ্যমে মান্যতা দিতে বাধ্য হন৷
বিভিন্ন রাজ্যে এবং কেন্দ্রে অধিষ্ঠিত ভাজপা-ও এর বাইরে নয়৷ এদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস তাই বলে৷ রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, ‘ভালমন্দ যাহাই আসুক, সত্যেরে লও সহজে৷’ কিন্ত্ত আমরা সেকথার গুরুত্ব দিচ্ছি কোথায়? সার্বিক ও নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে নয়, একান্ত ব্যক্তিগত ও এক-কোণিক দৃষ্টিতে দেখছি পছন্দের রাজনৈতিক দলকে৷ তাই বোধহয় সভ্য-শিক্ষিত-ভদ্র-সংবেদনশীল লোকজনেরও এই আপাত-বিভ্রান্তি৷ ভাজপা দেশ থেকে দুর্নীতি উৎপাটন করবে একথা শুনলে ঢাকাইয়া কুট্টির কথায় বলতে হয়, ‘ঘুড়ায়ও যে হাসবে৷’

রাজনীতিতে সভ্য-শিক্ষিত-ভদ্র-সংবেদনশীল-সেবাব্রতী লোকজনের আসা দরকার৷ কিন্ত্ত অতন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে, যাঁরা ওইসব তকমা নিয়ে আসছেন, তাঁরাও অচিরেই অসভ্য-অশিক্ষিত-অভদ্র্য-অসংবেদনশীল হয়ে গেছেন৷ বিধানসভা কিংবা সংসদের উভয় কক্ষের কথাবার্তা কিংবা সান্ধ্যকালীন চ্যানেল বিতর্কের আসরে উপস্থিত দলের প্রতিনিধিদের অশালীন ও অসংবেদনশীল আচরণ ও কথাবার্তা শুনলে আমাদের চমকে যেতে হয়৷ এঁরা কারা? এঁরা কী শাসক কিংবা বিরোধিদলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি?

নাকি অন্যকিছু? দলীয় নেতৃত্বের অকারণ বন্দনা কিংবা তোষামদ ছাড়া কিছুই জানেন না৷ নিজস্ব সত্তা নেই৷ সাদাকে সাদা বলার সাহস নেই৷ দলীয় রাজনীতিতে ডুবে মেরুদণ্ড টান টান করে চলতে অপরাগ৷ উদাহরণ হিসেবে অনেক নামই করা যায়, কিন্ত্ত তা করতে গেলে এই উত্তর সম্পাদকীয় নিবন্ধের কলেবরই শুধু বৃদ্ধি হবে মাত্র৷ ‘পরিবর্তিত’ নেতা-মন্ত্রীদের নামের তালিকা শেষ হবে না৷ এই উপমহাদেশের রাজনীতিক বৈশিষ্ট্যকে অস্বীকার করবেন কিভাবে? এদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে মানুষের জন্য ভালো কাজ করবেবন?

সংসদের উভয় কক্ষে কিছু বলতে গেলেও আপনাকে দলের চিফ হুইপের অনুমোদন লাগবে৷ তার অনুমোদনের বাইরে কিছু বলতে পারবেন না৷ তাহলে আপনার স্বাধীনতা কোথায় থাকলো? এমন কি, দলের দুর্নীতির স্বপক্ষেও আপনাকে সাফাই গাইতে হবে৷ জনগণের জন্যে ‘ভালো কাজ’ তো অএনক পরের কথা৷ কোনও দলে নাম লেখানো মানে আপনার ব্যক্তিসত্তাকে বিসর্জন দেওয়া৷ নিজস্ব মতামত বলে কিছু থাকবে না৷ মেনে নিতে পারবেন তো? দলই প্রথম এবং দলই শেষ কথা৷ এর বাইরে ভাবার চেষ্টা করা বাতুলতা মাত্র৷

ন্যায়-নীতি-আদর্শ-বিবেক ভুলে ‘জো হুজুর’ হয়ে থাকলে আপনার ‘সবকিছু’ মিলবে৷ হয়তো ‘সাজাহান’ হয়েও থাকতে পারবেন৷ কিন্ত্ত মন চাইলেও অসহায় মানুষের জন্য ভালো কিছু করতে পারবেন না৷ তাহলেই বিপদ৷ আপনি তো তা পারবেন না স্যার৷ একসময় আপার মনে হবে, আপসই যদি করবেন তো রাজনীতিতে কেন? আপনার কিছু পাওয়ার নেই স্যার, আছে শুধু দেওয়ার৷ হয়তো আক্ষেপ হবে, বাকি পাঁচমাস বিচারপতির আসনে থাকলে বরং আরও কিছু অসহায়-বঞ্চিত মানুষকে সুবিচার দিতে পারতাম৷
আপনি তো সার সিনেমা ভালবাসেন, হয়তো স্মরণে আছে চিত্রপরিচালক অজয় করের ‘অতল জলের আহ্বান’ চলচিত্রের কথা৷ সুজাতা চক্রবর্তীর কণ্ঠে তন্দ্রা বর্মণের লিপে ওই সিনেমার একটি বিখ্যাত গান-‘ভুল সবই ভুল, এই জীবনের পাতায় পাতায়…৷’ রাজনীতির গোলকধাঁধায় পড়ে নিজেকে সামলে রাখতে পারবেন তো? তবে ‘যে যায় লঙ্কায়/সেই হয় রাবণ’ এই প্রবাদবাক্যকে মিথ্যে প্রমাণ করে আপনি হয়তো সরে যেতে পারেন; তার বেশিকিছু নয়৷ আসলে ‘তালপাতার সিপাই’দের কাছে বিপ্লবী গণেশ ঘোষও কিন্ত্ত হেরে যান৷