• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

টাকা ধার নিয়ে শোধ করতে পারেনি, মালদহে সালিশি সভায় চলল অত্যাচার

নিজস্ব প্রতিনিধি– ঠিকাদারের কাছে টাকা ধার নিয়েছিলেন পরিযায়ী শ্রমিক। টাকা ফেরত না পেয়ে পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতে ডেকে মারা হল চার ভাইকে।অভিযোগ, চারজনের উপর ধারালো অস্ত্র, লাঠি, রড দিয়ে হামলা চালানো হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় চারজনকেই ভতির করা হয়েছে হাসপাতালে। অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্য়েই তদন্তে নেমেছে পুলিশ।বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে মালদহের হরিশচন্দ্রপুর ২ ব্লকের মালিওর ১ গ্রাম

প্রতীকী চিত্র

নিজস্ব প্রতিনিধি– ঠিকাদারের কাছে টাকা ধার নিয়েছিলেন পরিযায়ী শ্রমিক। টাকা ফেরত না পেয়ে পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতে ডেকে মারা হল চার ভাইকে।অভিযোগ, চারজনের উপর ধারালো অস্ত্র, লাঠি, রড দিয়ে হামলা চালানো হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় চারজনকেই ভতির করা হয়েছে হাসপাতালে। অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্য়েই তদন্তে নেমেছে পুলিশ।বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে মালদহের হরিশচন্দ্রপুর ২ ব্লকের মালিওর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, গ্রামের এক পরিযায়ী শ্রমিক আকবর আলি স্থানীয় এক ঠিকাদার মনিরুল ইসলামের থেকে মাসখানেক আগে টাকা ধার নিয়েছিলেন। টাকা নিয়ে নির্মাণ কাজের জন্য় মুম্বাই যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। সেই মতো কাজ করতে মুম্বাইও গিয়েছিলেন ওই শ্রমিক। তবে মাঝপথেই বাড়ি চলে আসেন আকবর। তার পর থেকেই বারবার টাকা ফেরত চেয়ে হুমকি দিতে থাকেন ঠিকাদার মনিরুল।

Advertisement

অভিযোগ, গত সোমবারও টাকা নিয়ে বচসা বাধে দুইজনের মধ্য়ে। তখন নির্মাণ শ্রমিক আকবরের মোবাইল এবং দশ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে আসেন মনিরুল। সেই নিয়ে পরে থানাই অভিযোগও জানিয়েছিলেন তিনি। ঘটনার পরে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতে বৃহস্পতিবার রাতে ডাকা হয় সালিশি সভা। সেই সভাতেই গিয়েছিলেন আকবর আলি এবং তাঁর তিন ভাই। অভিযোগ, সেই সভাতেই চার ভাইয়ের উপর চড়াও হন ঠিকাদার এবং তাঁর লোকজন। চালানো হয় এলপাথারি মার। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
এ বিষয়ে আক্রান্ত আকবর বলেন, “আমি টাকা ধার নিয়েছিলাম। কিন্তু ফেরত দিতে পারিনি। সেই জন্য় আমার মোবাইল এবং দশ হাজার টাকা নিয়ে গিয়েছিল। ঝমেলার নিষ্পত্তি করতেই সালিশি সভা ডেকেছিলেন প্রধান। তাঁর বাড়িতেই আমাদের উপর হামলা চলে।”
প্রসঙ্গত, বিগত বেশ কিছুদিন ধরে রাজ্য়ের একাধিক প্রান্তে ঘটছে সালিশি সভার মতো বর্বরেচিত প্রথা। কোথাও সালিশি সভার নামে কেটে দেওয়া হচ্ছে মাথার চুল, আবার কোথাও চলছে মারধর। তবে চোপড়া, সোনারপুরের পর এবার মালদহ, সমস্ত ঘটনাতেই নাম জড়াচ্ছে শাসক দলের।

Advertisement

Advertisement