বিজেপির অভূতপূর্ব সাফল্যের সম্ভাবনা: পিকে

Written by SNS April 9, 2024 2:14 pm

দিল্লি, ৮ এপ্রিল– ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন নিয়ে চাঞ্চল্যকর ভবিষ্যদ্বাণী করলেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর৷ মূলত বাংলা ও ওড়িশা সহ পূর্ব ও দক্ষিণ ভারত নিয়ে আগাম যে আভাস দিয়েছেন, তা রাজনৈতিক মহলে যথেষ্ট জল্পনা বাড়িয়েছে৷ গতকাল রবিবার সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, এবারের লোকসভা নির্বাচনে অভূতপূর্ব ফল করতে পারে বিজেপি৷ এমনকি বাংলা ও ওড়িশাতে আসনের নিরিখে এক নম্বরে চলে আসতে পারে গেরুয়া শিবির৷

শুধু তাই নয়, তেলেঙ্গানা ও তামিলনাড়ুতে যেখানে বিজেপি-র এক সময়ে অস্তিত্ব ছিল না, সেইসব রাজ্যেও আশাতীত ফল করবে৷ এইসব রাজ্যে আসনের সংখ্যায় দুই ডিজিটে পৌঁছতে পারে মোদি অমিত শাহের অশ্বমেধের ঘোড়া৷ এমনকি তেলেঙ্গানাতে প্রথম বা দ্বিতীয় স্থান দখল করতে পারে গেরুয়া শিবির৷ শুধু তাই নয়, বিজেপি-র মূল ঘাঁটি উত্তর পশ্চিম ভারতেও তাঁদের আসন সংখ্যা ধরে রাখতে পারবে৷

আর মোদি অমিত শাহের এই বিজয়রথ অব্যাহত থাকার জন্য মূলত কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলিকেই দায়ী করেছেন৷ পি কে-র দাবি, বিরোধী দলগুলি ঠিকভাবে জনসংযোগ করতে পারলে মোদি অমিত শাহের অশ্বমেধের ঘোড়া থামিয়ে দেওয়া যেত৷ কারণ, বিজেপি অপরাজেয় নয়৷ কিন্ত্ত দক্ষিণ পূর্ব ভারতে যেখানে গেরুয়া শিবিরের সংগঠন নেই, সেখানে মোদি অমিত শাহ যতবার গেছেন, রাহুল সোনিয়া বা অন্যান্য বিরোধী নেতারা ততবার গেছেন কিনা তার পরিসংখ্যান নিলেই ছবিটা স্পষ্ট হয়ে যাবে৷ তিনি বলেন, গত পাঁচ বছরে মোদি অমিত শাহ যতবার তামিলনাড়ুতে গেছেন, রাহুল বা সোনিয়া গান্ধীরা সেই তুলনায় কিছুই সফর করেন নি৷

এদিকে রাহুল গান্ধী আমেথিতে হয়তো প্রার্থী হচ্ছেন না, এই প্রশ্ন করতেই আই প্যাকের প্রতিষ্ঠাতা প্রশান্ত কিশোর জবাবে বলেন, যদি উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ ও বিহারের মতো রাজ্যে জয়লাভ করা না যায়, তাহলে ওয়েনাড়ে আসন জিতে কোনও লাভ হবে না৷ তিনি বলেন, মূল লড়াইয়ের জায়গা উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ ও বিহার৷ সেই জায়গা ছেড়ে মণিপুর, মেঘালয় সফর করে কাজের কাজ কিছুই হয়নি৷

এদিকে প্রশান্ত কিশোর এর আগেও পশ্চিমবঙ্গের ভোট ফলাফল নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন৷ গত বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর ভবিষ্যৎবাণী মিলে গিয়েছিল৷ তিনি বলেছিলেন, বাংলায় বিজেপি-র আসন সংখ্যা দুই ডিজিট ক্রস করবে না৷ ভোটের রেজাল্ট বেরনোর পর দেখা যায়, সেই আশঙ্কায় সত্যি হয়৷ বিধানসভায় ৭৭ আসনে থেমে যায় দিলীপ, সুকান্ত, শুভেন্দুদের বিজয়রথ৷ তবে লোকসভা নির্বাচন প্রসঙ্গে পিকে-র করা মন্তব্যে সহমত নন রাজ্যের শাসকদলের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এবিষয়ে তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পিকে এখন রাজ্যের সমীক্ষার দায়িত্বে নেই৷ তিনি এখন রাজ্যের মানুষের সংস্পর্শ থেকে অনেকটা দূরে৷ সেজন্য তাঁর পক্ষে এরাজ্যের জনমত নিয়ে সঠিক পরিসংখ্যান দেওয়া সম্ভব নয়৷