বিপর্যয়ে বিজেপি পাশে থাকে না, উত্তরবঙ্গে বললেন মমতা

Written by SNS April 3, 2024 11:31 am

নিজস্ব প্রতিনিধি— প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার মিলিয়ে মোট পাঁচ হাজার বাড়ির ক্ষতি হয়েছে৷ চাষের জমিও ক্ষতির শিকার৷ কিন্ত্ত বিপর্যয়ের সময় বিজেপি মানুষের পাশে থাকে না৷ সাম্প্রতিক ঝড়ে উত্তরবঙ্গের বিপর্যয়ের পরে কেন্দ্রীয় সরকারের উদাসীনতার কথা এভাবেই সামনে আনলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে আবহে মমতার এই মন্তব্য যথেষ্ট প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে৷

রবিবার রাতে আচমকা প্রাকৃতিক দুর্যোগে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছিল উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চল৷ খবর শোনামাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে চলে যান৷ তারপর থেকে সেখানেই রয়েছেন তিনি৷ আগামী বৃহস্পতিবার থেকে উত্তরবঙ্গে প্রচার শুরু করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ওইদিন মাথাভাঙা হয়ে কোচবিহারে তৃণমূলের সভায় যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর৷ শুক্রবার জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে কর্মসূচি রয়েছে তাঁর৷ শনিবার দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর এবং উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে সভা করার কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ তারপর বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে কলকাতায় ফেরার বিমান ধরবেন তিনি৷

মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির চালসায় গৌরীগ্রাম এলাকার মার্সি ফেলোশিপ চার্চের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তার আগে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সুপ্রিমো অনিত থাপা৷ চার্চে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে বৈঠক ছিল মমতার৷ কর্মসূচি শুরুর আগেই আদিবাসীদের নাচের তালে তালে পা মেলালেন তিনি৷ মাদলও বাজালেন৷ এদিন ফের চেনা মেজাজে দেখা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷

এদিন চার্চের অনুষ্ঠানের পরে মেটেলিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেখানেই তিনি বলেন, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার– এই তিন জেলায় সব মিলিয়ে পাঁচ হাজারের মতো বাড়ি নষ্ট হয়েছে৷ কোনও বাড়ি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে৷ কোনও বাড়ি অর্ধেক ভেঙেছে৷ আবার কোনও বাড়ির অল্প ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷ মমতা বলেন, এই দু’দিন ধরে সেটাই দেখছিলাম৷ তিন জেলা নিয়েই প্রশাসনিক স্তরে আলোচনা হয়েছে৷ এখন নির্বাচনী আচরণিবিধি চালু রয়েছে৷ যা করবার প্রশাসনই করবে৷ বাড়ি ঘরদোর মেরামতির বন্দোবস্ত তারাই করে নেবে৷ ময়নাগুড়িতে ত্রাণের কোনও সমস্যা নেই৷
এদিন চা বাগানের কর্মীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের অসহযোগিতার অভিযোগ করেন মমতা৷ বলেন, এখানে বহু চা বাগান রয়েছে, যেখানে ওরা ছোট ছোট ফার্মিং করেন৷ কেন্দ্র সেগুলি বন্ধ করে দিয়েছে৷ মমতা বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি কেটে গেলে শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটককে এখানে এসে বৈঠক করার কথা বলেছি৷ চা শ্রমিকদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের কথা ভাবা হচ্ছে৷ চা ছাড়াও পাট শিল্পে বাংলা এক নম্বর৷ মমতা বলেন, সেটাও বন্ধ হতে দেওয়া যাবে না৷ এই বিষয়ে অনিত থাপার সঙ্গে প্রাথমিক কথাবার্তাও হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী৷

উত্তরবঙ্গে রেলের উন্নয়ন নিয়ে বিজেপি প্রায়ই প্রচার চালায়৷ মমতা বলেন, উত্তরবঙ্গের এইসব রেল প্রকল্পগুলি তিনি রেলমন্ত্রী থাকাকালীনই অনুমোদন দিয়েছিলেন৷ এখন শুধু রঙের প্রলেপ দেওয়া হচ্ছে মাত্র৷