বহরমপুরে নির্বাচনী জনসভায় শুভেন্দু অধিকারী, লক্ষ্য সংখ্যালঘু ভোট, দিলেন বার্তা

Written by SNS April 4, 2024 1:12 pm

নিজস্ব সংবাদদাতা, বহরমপুর, ৩ এপ্রিল— বুধবার মুর্শিদাবাদের বহরমপুর টেক্সটাইল কলেজে নির্বাচনী জনসভা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ দলীয় প্রার্থী ডা. নির্মলকুমার সাহার সমর্থনে তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে একদিকে তৃণমূল কংগ্রেস, সিপিএম এবং কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন৷ ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পরে সংখ্যালঘুদের উপর এই রাজ্যের পুলিশ এবং তৃণমূল কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের আক্রমণের কথা তুলে ধরে সংখ্যালঘু ভোটারদের কাছে চাইলেন ভোট৷ বার্তা দিয়ে জানালেন, একমাস হল সিএএ কার্যকরী হলেও, একজন মুসিলিমেরও নাগরিকত্ব যায়নি৷ কোভিডের সময় বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরীকে দেখা যায়নি এবং তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রীকে নর্দমার সঙ্গে তুলনার প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দুবাবু কংগ্রেস প্রার্থীকে আক্রমণ করেন৷ অন্যদিকে সিপিএম এবং তৃণমূল কংগ্রেস তোষণের রাজনীতি করে বলেও উল্লেখ করেন৷ সভায় মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো৷ আগামীতে তিনি দু’ থেকে তিনবার আসবেন এবং নাম উল্লেখ না করে জানান নরেন্দ্র মোদি বা অমিত শাহরাও প্রচারে আসতে পারেন৷

এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী সিপিএম এবং দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমকে আক্রমণ করে বলেন, ‘ওদের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের বাড়ি কোথায়? কলকাতাতে৷ উত্তর বা দক্ষিণ কলকাতায় দাঁড়ায় না৷ সংখ্যালঘু ভোট কম৷ বেছে বেছে শতাংশ দেখে দাঁড়ায়৷ মুর্শিদাবাদে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা সত্তর শতাংশ৷ তাই মহম্মদ সেলিম এখানে দাঁড়ায়৷ আর সিপিএমের লোকেরা বক্তৃতা করে ইনকিলাব জিন্দাবাদ৷ ধর্মনিরপেক্ষতা জিন্দাবাদ৷ এই হচ্ছে সেকুলারিজিম৷ এরা তোষণের রাজনীতি করে৷ এটা কেউ সমর্থন করে না৷’ এর পরেই সংখ্যালঘুদের উদ্দেশ্যে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘সংখ্যালঘু প্রধান এই জেলা৷ আপনারা বলুন, এর আগে এনআরসি’কে সিএএ বলে ভয় দেখিয়েছিল৷ একমাস হল সিএএ কার্যকর হয়েছে৷ কার কার নাগরিকত্ব গিয়েছে? উত্তরপ্রদেশ, আসাম বিজেপি একটা মুসলিমকে তাড়িয়েছে, নাম বলতে পারবেন? পারবেন না৷ ভোটের রাজনীতি বন্ধ করুন৷ আজকে যারা পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে মুর্শিদাবাদের লোক গুজরাট, মধ্যপ্রদেশে চাকরি করে, তাদের কাছ থেকে শুনে নেন, কিভাবে ভারতীয় জনতা পার্টি তাদেরকে সেখানকার সরকার কাজের ব্যবস্থা করেছে৷ নরেন্দ্র মোদি একশো পঁচাত্তরটা প্রকল্প করেছে৷ একটাও কোনও ধর্ম বা সম্প্রদায়ের নামে নয়৷ সবার জন্য৷ ভারতবাসীর জন্য৷’

তিনি আরও বলেন, ‘সংখ্যালঘু মুসলিম কতদিন আর আপনারা তৃণমূলের হাতে তামাক খাবেন? আপনাদেরকে তেজপাতা বলে মনে করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তরকারিতে লাগে৷ কিন্ত্ত খাওয়া যাবে না৷ আপনারা ২০২১-এর নির্বাচনে লাইন দিয়ে ভোট দিয়েছেন৷ কি কি পেয়েছেন? আনিস খানকে আমতায় ধাক্কা দিয়ে মেরে ফেলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ. রামপুরহাটের বাগটুইতে সাতজন মুসলিম মহিলা, চারজন বাচ্চাকে বাইরে থেকে শিকল তুলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মেরেছে কারা? তৃণমূলের গুণ্ডারা৷ বদলা নেবেন না চাকরি চুরির? চাকরিগুলো বেচে দিয়েছে৷ নবগ্রামের—কানাই, ডোমকলের—জাফিকুল, পুকুরে মোবাইল ফেলা—জীবন৷’