উধমপুর, ১৪ এপ্রিল— জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে এবং খুব শীঘ্রই সেখানে বিধানসভা নির্বাচন করা হবে৷ শুক্রবার জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুরে এক নির্বাচনী জনসভায় গিয়ে এমনই আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মোদি অনেক এগিয়ে চিন্তা করেন৷ তাই এখনও পর্যন্ত যা হয়েছে, তা শুধুই ট্রেলার৷ নতুন জম্মু ও কাশ্মীরের একটি ছবি তৈরী করতে আমাকের ব্যস্ত থাকতে হবে৷ সেই সময়ও আর বেশি দূরে নয়, যখন জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের মর্যাদা পাবে৷’ জনসভায় উপস্থিত জনতার উদ্দেশে মোদির আর্জি, “আমার উপরে বিশ্বাস রাখুন, আমি গত ৬০ বছরের সমস্যা থেকে জম্মু ও কাশ্মীরকে বার করে আনব৷”শুক্রবার জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তথা সেখানকার বিদায়ী সাংসদ জিতেন্দ্র সিংহের সমর্থনে সভা করেন মোদি৷
কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদালোপ নিয়ে বিরোধী দলগুলিকে আক্রমণ করেন মোদি৷ তিনি বলেন, “আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, কোনও রাজনৈতিক দল যদি ৩৭০ অনুচ্ছেদ ফিরিয়ে আনতে পারে৷ না, তারা পারবে না৷” দীর্ঘ সময় পর জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ এবং সীমান্ত সন্ত্রাসের ভয় ব্যতিরেকেই ভোট হচ্ছে বলে দাবি মোদির৷
জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা সরিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছিল৷ সেই মামলায় কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের উপরই সিলমোহর দেয় সুপ্রিম কোর্ট৷ গত ডিসেম্বরে মাসে সুপ্রিম কোর্ট অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিল অসাংবিধানিক নয় বলে রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট৷ তবে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত৷ একই সঙ্গে শীর্ষ আদালত জানায়, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন করাতে হবে৷ জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে এই নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূডে়র নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ৷
২০১৯ সালের ৫ আগস্ট কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা খর্ব করার পাশাপাশি উপত্যকার পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদাও কেড়ে নেওয়া হয়৷
