মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে নাটক এখনও জারি রয়েছে। বিধানসভার মেয়াদ শেষ হয়ে এলেও এখনও সরকার গঠন নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। এরই মধ্যে মধ্যরাতে হােটেলে গিয়ে আচমকা বৈঠক সেরে এলেন আদিত্য ঠাকরে।
ঘােড়া কেনাবেচা হতে পারে এমন আশঙ্কা করেই একটি হােটেলে শিবসেনা সব বিধায়ককে সরিয়ে রেখেছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সেখানেই হাজির হন আদিত্য । রাত ১টা নাগাদ সেখানে যান তিনি। প্রায় ২ ঘণ্টা বৈঠক করেন শিবসেনা বিধায়কদের সঙ্গে।
Advertisement
আগামী দু’দিন ওই হােটেলেই থাকবেন শিবসেনা বিধায়কা। শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বৈঠকের পরই তাদের ওই হােটেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ক্ষমতার সমান সমান ভাগ ছাড়া কোনওভাবেই একচুল জমি ছাড়তে রাজি নয় শিবসেনা। অর্থাৎ আড়াই বছরের মুখ্যমন্ত্রিত্বেই বিশ্বাসী তারা।
Advertisement
বৃহস্পতিবার রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন বিজেপি নেতারা। বিজেপি নেতৃত্বের উদ্দেশে উদ্ধব ঠাকরে সাফ জানিয়ে দিলেন, আড়াই বছরের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর পদ দিতে চাইলে, তবেই যেন ডাকা হয়, নাহলে নয়।
রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সে রাজ্যের বিজেপি প্রধান চন্দ্রকান্ত পাটিল বলেন, ‘মহারাষ্ট্রের মানুষ চান বিজেপি ও শিবসেনা সরকার গড়ুক। রাজ্যপালকে গােটা পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত করেছি। এই পরিস্থিতি না বদলালে আইনত কোনও পদক্ষেপ করা যায় কিনা, সে ব্যাপারে কথা হয়েছে। এরপর আমরা দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে জানাব’।
এদিন বিজেপি নেতা নীতিন গড়করি বলেন, ‘শিবসেনার সঙ্গে আমরা আলােচনা চালাচ্ছি। ওদের সমর্থন নিয়েই মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ব’।
বুধবার সকালে শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত বিজেপিকে বার্তা দেন, ১০৫ জন বিধায়ক নিয়ে সরকার গড়ে ফেলুন। পরে কোর কমিটির বৈঠকের পর বিজেপি সিদ্ধান্ত নেয়, বৃহস্পতিবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবে তারা।
অন্যদিকে শরদ পাওয়ারের এনসিপি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, তারা বিরােধী দলের আসনেই বসতে চায়। শিবসেনার সঙ্গে কোনও জোটে তারা যাবে না। সব মিলিয়ে শিবসেনা বিজেপি টানাপােড়েন অব্যাহত।
Advertisement



