• facebook
  • twitter
Thursday, 13 February, 2025

শুধুই মার্কেটিং, যোগীকে তোপ অভিষেকের

মৌনি অমবস্যার রাতে অমৃতস্নানকে ঘিরে কুম্ভমেলায় পদপিষ্টের ঘটনায় মৌনব্রত পালন করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার, এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের।

ফাইল ছবি

মৌনি অমবস্যার রাতে অমৃতস্নানকে ঘিরে কুম্ভমেলায় পদপিষ্টের ঘটনায় মৌনব্রত পালন করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার, এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের। দুর্ঘটনার প্রায় ১৫ ঘণ্টা পরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যোগী প্রশাসন জানায়, পদপিষ্ট হয়ে মৃতের সংখ্যা ৩০। তবে আদতে সংখ্যাটা যে আরও বেশি, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মৃতের সংখ্যা ১০০ পেরিয়ে গেলেও তা অস্বাভাবিক নয় বলে দাবি করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কুম্ভ মেলায় দুর্ঘটনা সম্পর্কে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো অভিষেকও গঙ্গাসাগর মেলার নাম উল্লেখ করলেন।

শুক্রবার দিল্লি যাওয়ার পথে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মহাকুম্ভের ব্যবস্থাপনা নিয়ে কার্যত ক্ষোভপ্রকাশ করেন অভিষেক। এই ঘটনাকে মর্মান্তিক বলে ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা নিশ্চিত করতে পারেনি প্রশাসন। তবে যেটুকু শুনেছি, মৃতের সংখ্যা ১০০ পেরিয়ে গেলেও অবাক হওয়ার কিছুই নেই।’ এরপর কুম্ভ মেলা প্রসঙ্গে যোগী রাজ্যের প্রশাসনিক প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিষেক। তাঁর দাবি, এত মানুষ কুম্ভ মেলায় যাচ্ছেন, কিন্তু মেলায় সঠিক ব্যবস্থাপনা নেই। পাশাপাশি প্রস্তুতি ও পরিকল্পনার অভাব রয়েছে। অব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও মেলা নিয়ে ঢাক ঢোল পিটিয়ে প্রচার হয়েছে বেশি। অভিষেকের কথায়, ‘শুধুই মার্কেটিং! এই একই দুর্ঘটনা যদি তামিলনাড়ু, বাংলার মতো কোনও অবিজেপি শাসিত রাজ্যে ঘটত তাহলে এতক্ষণে বিজেপি রাষ্ট্রপতি শাসন জারির পক্ষে আওয়াজ তুলে দিত।’

যোগী রাজ্যের প্রশাসনের প্রতি একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অভিষেক। তাঁর দাবি, মানুষ জীবদ্দশায় একবারই কুম্ভমেলায় যায়। অথচ সেখানে গরিব মানুষের জন্য কোনও ব্যবস্থা নেই। বড় উদ্যোগপতি, নেতা-মন্ত্রী সহ ভিআইপিদের জন্য সুসজ্জিত ব্যবস্থা রয়েছে। তবে সাধারণ মানুষ উপেক্ষিত। পুলিশও ভিআইপিদের খাতিরে ব্যস্ত। ভিআইপিদের জন্য রাস্তা খালি করে দেওয়া হচ্ছে, সঙ্গম পর্যন্ত গাড়িও যাচ্ছে। এসবের অনুমতি দেওয়া যায় না বলে দাবি করেছেন অভিষেক। কুম্ভমেলায় এতগুলো প্রাণ যাওয়ার পিছনে বিজেপি সরকারকেই দায়ী করছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে বাংলার সফল গঙ্গাসাগর মেলার কথাও মনে করিয়েছেন সাংসদ। তিনি জানান, গঙ্গাসাগর মেলায় প্রথম থেকেই মানুষের নিরাপত্তার উপরে জোর দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।