• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

কবিতা গুচ্ছ

শিশির যেন মুক্তোদানা ঘাসের ’পরে ঝরে তুতু মিতু হাঁটছে সেথা সেই যে কোন ভোরে। শিউলি তুলে আনন্দেতে গাথঁছে ওরা মালা দুর্গা মায়ের গলায় সেটা পরিয়ে দেবার পালা।

কাল্পনিক চিত্র

ব্যাঙের আসর
সুজন দাশ

ব্যাঙের মাসি গাইছে গানা
নাতি পুতি সঙ্গে ছানা!
বৃষ্টি ঝমাঝম,
মাতছে সবাই খেয়াল রাগে
ফুল ফুটেছে মনের বাগে!
নিচ্ছে সুখে দম।

Advertisement

বর্ষা বাদল আসলে তারা
গান গেয়ে বেশ মাতায় পাড়া
চলে ঘ্যাঙর গান,
তাল মিলিয়ে গাইলে ঝিঁঝিঁ
শুনতে লাগে হিজিবিজি
চায় না নিতে কান।

Advertisement

হাঁটলে একা নিঝুম রাতে
শুনবে কেমন গানে মাতে!
যখন নামে বান,
পুকুর ডোবা বিলের বাঁকে
কান পাতা দায় ওদের ডাকে
চাঁদ হাসে সুনসান।

 

রংবেরং
উৎপলকুমার ধারা

মাঠ বলছে খেলবি আয়
বলছে পাখি মেল ডানা
মিষ্টি ছড়ার ছন্দটায়
নাচতে কারুর নেই মানা!

চোখ কেন তোর ফেসবুকে
মুখ কেন তোর গোমড়া রে
মিষ্টি হাসি নেই মুখে
বুকটা বোঝাই কান্না রে!

ফুল কী বলে শুনতে চাস
বলছে কী ওই নদীর জল
ফুল হয়ে তুই ফুটতে চাস?
মন খুলে তুই বলরে বল!

কষ্ট যতোই থাক না রে
দিস না কাজে আর ফাঁকি
সেই ছবি তুই আঁক না রে
গাছ মাটি জল ফুল পাখি!

টেলিফোনের রিংটোনে
খুশির ভোরাই বাজুক রে
সকল কুঁড়ি, ফুলবনে—
রংবেরং-এ সাজুক রে!!

 

পরির খুশি
সৌমেন্দ্র মুখোপাধ্যায়

ঘুমঘুমাঘুম রাত্রি নিঝুম
ফুলপরিদের জোছন সাজ,
একটি পরি বলল ডেকে,
আয় লো তোরা অনেক কাজ।

জিয়নকাঠি ছুঁইয়ে দিয়ে
ফুল ফোটাবো কুঁড়ির ’পর
ফুলকলিদের ফিসফিসানি
সইছে না আর ফোটার তর।

ফুটলে ফুলে গন্ধমধুর
জুটবে ভোরে অলির দল,
সেই ফুলেতে ধরবে আবার
হরেক রকম রসের ফল।

ফলপাকুড়ে পেট ভরাবে
পাখির ঝাঁক আর মানুষ সব,
ফিনফিনিয়ে চলল পরি
কাজের বেলা খুশির রব।

 

হুলোর কীর্তি
দীপ্র দাসচৌধুরী

রোজ দুপুরে পেটুক হুলো
মাছ করে নেয় চুরি,
রান্নাঘরে চলছে হুলোর—
মিথ্যে বাহাদুরি।

ধরতে তাকে কেউ পারে না
যতই আসুক পুলিশ,
গতিতে তার তুফান নামে—
মিস হয়ে যায় গুলি।

তাই তো ঋভু ফাঁদ পেতেছে
ধরবে বেড়াল আজ।
মাছ সাজিয়ে আছে বসে—
নজর রাখাই কাজ।

কিন্তু হঠাৎ ঘুমের ঘোরে
চোখ এল যেই বুজে,
অমনি হুলো দৌড়ে এসে
মাছ নিল ঠিক খুঁজে।

 

নৌকো ভাসাই চল
উত্তমকুমার মণ্ডল

আকাশ মেঘে ছায়
বৃষ্টি এলো গাঁয়
হাওয়া ঝিরিঝিরি বয়
পাতার কিনারায়…

জল পড়ে টুপ টুপ
বাঁওড়ের জলে ঝুপ
পানকৌড়ির ডুব
আমরা জানালায় চুপ

আকাশ ভাঙা জল
ব্যাঙের কোলাহল
বন্ধু যাবি তো বল
নৌকো ভাসাই চল…।

 

শিউলি ঝরা ভোরে
পাপড়ি ভট্টাচার্য

শিউলি ঝরে কোন সকালে
উঠোন হলো সাদা
শরৎকালের সোনা রোদে
লুটিয়ে আছে গাঁদা।
শিশির যেন মুক্তোদানা
ঘাসের ’পরে ঝরে
তুতু মিতু হাঁটছে সেথা
সেই যে কোন ভোরে।
শিউলি তুলে আনন্দেতে
গাথঁছে ওরা মালা
দুর্গা মায়ের গলায় সেটা
পরিয়ে দেবার পালা।

 

Advertisement