ছড়া হবে
বাসুদেব খাস্তগীর
ছড়া হবে হাতের পুতুল
করতে পারো মশকরা
তার আগে ঠিক খুব প্রয়োজন
ছন্দটাকে বশ করা।
Advertisement
তখন ছড়া দিচ্ছে ধরা
দেখবে নিজের গণ্ডিতে
ধীরে ধীরে তুমি হবে
ছড়ার মহাপণ্ডিতে।
Advertisement
ঋদ্ধ করো শব্দকোষ আর
ছন্দ করো আয়ত্ত
ছন্দগুণে লাগবে ভালো
নয়তো ছড়ার নাই অর্থ।
ছড়া হলো ইচ্ছে যেমন
বলবে তেমন তার কথা
রাখ ঢাক নয় ঘোমটা ছেড়ে
বলতে হবে সারকথা।
বিনির দাদু
সোমা সাহা
বিনির দাদু, জানে জাদু,
মনের কথা সব বোঝে,
কখন বিনির সত্যি পড়া—
কখন বিনি ফাঁক খোঁজে।
লালু, ভুলু, পুষি, মিঠু,
কার যে কখন পেট ভরা—
কোনটা ওদের আসল খিদে,
কোনটা খিদের ভান করা।
পিসির কখন মিথ্যে অসুখ,
কাকুর কখন পয়সা চাই—
মায়ের বেলায় কেবল দাদুর
মোটেই কোনো শাসন নাই।
সূর্য মামার হাসি
কাজল নিশি
পাকা ধানের ম-ম ঘ্রাণে
কৃষক মুখে হাসি
ভাটিয়ালি সুর তুলে যায়
রাখালিয়া বাঁশি।
বাঁশির সুরে হেসে ওঠে
আকাশ থেকে রবি
মুগ্ধ হয়ে লেখে ছড়া
পল্লী গাঁয়ের কবি।
ছন্দ ছড়া সুরের তালে
নাচে ফড়িংছানা
দারুণ দৃশ্য আঁকা হলো
খুকুর ষোল আনা।
গাছ
সুখেন্দু নস্কর
গাছ দেয় ফুল ফল
গাছ দেয় বায়ু
ছায়া দেয় মায়া দেয়
দেয় পরমায়ু!
সুরে সুরে কত কথা
পাখিদের গান
সবুজে রেখেছি চোখ
ভরে ওঠে প্রাণ!
মায়ের আঁচল দেয়
বুকে টেনে নিয়ে
সারাদিন কিচিমিচি
কাক বক টিঁয়ে।
আশা নিয়ে বাসা বাঁধে
শাখে খেলা করে
গাছ পাতা ছাতা হয়
রোদ জল ঝড়ে।
গাছ তো পরম প্রিয়
কেন কাটো তাকে?
আসলে প্রতিটি কোপে
কাটো আপনাকে!
রুটিন
টুম্পা মিত্র সরকার
আয় তাতু এইবার
মন দিই খেলাতে
খুব করে হুটোপুটি
করি এই বেলাতে৷
খেলা শেষে বাড়ি ফিরে
পড়া করি সন্ধেয়
মা কেন বলবে তোকে
পড়াতেই মন দে!
লেখাপড়া শেষ হলে
কাজ আছে অন্য
আরে বাবা এসময়
গল্পেরই জন্য৷
ঠাম্মার রূপকথা
মুছে দেবে ক্লান্তি
রোজকার কাজটুকু
সারলেই শান্তি !
Advertisement



