তবেই তো দীপাবলি
প্রদীপ আচার্য
মন ভরে আছে, প্রাণ ভরে আছে
আর ভরে আছে বুক,
সবাই আনন্দে মেতে থাকে যদি
সেটাই প্রকৃত সুখ।
Advertisement
সবারই হাতে জ্বলছে প্রদীপ
আলোর এ উৎসবে
বুকের ভেতর প্রাণের প্রদীপ
সেটাও জ্বালতে হবে।
Advertisement
সবারই হাতে-হাতে মোমবাতি
আলোর গল্প বলি,
মনে-প্রাণে যদি জ্বলে ওঠে দীপ
তবেই তো দীপাবলি।
একলা আমি
কেতকী বসু
দোল ফাগুনের আবীর রঙে
হৃদয় মাতাল করে
মায়ের কথা তখন আমার
ভীষণ মনে পড়ে
হারিয়ে যাওয়া ছোট্ট বেলা
মায়ের হাত ধরা
অ-কার, আ-কার লেখাপড়া
মায়ের হতেই গড়া।
নিত্যনতুন গল্প শোনা
গানের ভুবন পাড়ি
সুরে সুরে খুশি হত
অজানা সুখ সারি
মায়ের হাতের রান্না ভালো
বেজায় খুশি মন
আনন্দের সাথে আমার
কাটত সারাক্ষণ।
এখন আমি একলা আছি
বন্ধ ঘরের মাঝে
মা আছেন ওই আকাশে
লক্ষ তারার সাঁঝে।
চাঁদ
সুচন্দ্রিতা ঘোষাল চক্রবর্তী
এক ফালি চাঁদ তার
বহুমুখী রূপ।
ফালাফালা দেহখানা
দেখে লাগে সুখ।
মেঘে ভরা গ্রহ তারা
নিভু নিভু প্রায়।
আকাশের এক কোণে
ভঙ্গি দেখায়।
চুপচাপ উৎপাত
দোর খোলো ভোর।
চাঁদ মুখ ভারি হয়
রূপে তার জোর।
পাখি ডাক কোলাহল
আলসেমি গায়,
ঘুম চোখে চাঁদ মামা
আদর বিলায়।
স্নেহ
সায়নী সাহা
চাই না মা গো হতে আমি
মস্ত বড়ো, ভীষণ দামী,
ঠিক করেছি তাই—
রইবো তোমার কোলে পিঠে।
তোমার স্নেহের মতন মিঠে
আর যে কিছু নাই।
হঠাৎ যদি ভীষণ জ্বরে,
কিংবা কোনো দামাল ঝড়ে
হারাই দেহের বল।
কে বাঁচাবে আগলে বুকে?
আদর দেবে গাল-চিবুকে
মুছিয়ে চোখের জল।
এই যে আমি ছোট্ট বলে
রই গো তোমার আঁচল তলে
বিপদ দেখি যেই।
বড়ো হতে চাই না মোটে
ওদের জীবন কী বিদঘুটে,
হারাই যদি খেই।
চাই না হতে তোমার মতো
লুকিয়ে রেখে কষ্ট শত
মেটাও সকল সাধ।
দুঃখ পেলে কাঁদবো জোরে,
রাখবে স্নেহের বাহুডোরে
ভাঙবে খুশির বাঁধ।
Advertisement



