• facebook
  • twitter
Saturday, 14 December, 2024

আজ যমুনার বিয়ে

লেকমার্কেটের নামকরা ফুলের দোকান ‘পুষ্পসম্ভার’ থেকে একগোছা লম্বা স্টিকওয়ালা নাম-না-জানা বিদেশি টাটকা ফুল কিনে ফেলল অংশু। ফুলওয়ালা যত্ন করে ফুলের গোছা মুড়ে দিল সেলোফেন কাগজে।

কল্পিত চিত্র

মুক্তি দাশ

সেই কখন থেকে বাসস্টপে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে…। বাসের আর দেখা নেই। কত বাসই তো যাচ্ছে আসছে। তবে অংশুর বাস আসবে না কেন? অথচ অফিস থেকে আজ সে হাতে সময় নিয়ে একটু তাড়াতাড়িই বেরিয়ে পড়েছিল। এসপ্ল্যানেড থেকে মেট্রোয় চেপে সোজা কালীঘাট স্টেশন। সেখান থেকে রাসবিহারী অ্যাভিনিউ ধরে দু’মিনিট পায়ে হেঁটে লেকমার্কেট।

লেকমার্কেটের নামকরা ফুলের দোকান ‘পুষ্পসম্ভার’ থেকে একগোছা লম্বা স্টিকওয়ালা নাম-না-জানা বিদেশি টাটকা ফুল কিনে ফেলল অংশু। ফুলওয়ালা যত্ন করে ফুলের গোছা মুড়ে দিল সেলোফেন কাগজে। তারপর সেইথেকে বাসের অপেক্ষায়। এখন তাকে যেতে হবে সেই রুবির কাছাকাছি রাজডাঙা মেইন রোডে। এখানেই ‘মাল্যদান’ নামে একটা ম্যারেজহল নাকি ভাড়া করা হয়েছে। অন্তত নিমন্ত্রণপত্রে সেরকমই তো লেখা ছিল, রুট ডিরেকশনসহ। সন্ধে সাড়ে সাতটার নাগাদ পৌঁছোতেই হবে। যমুনা ফোনে বলে দিয়েছে। আজ যমুনার বিয়ে।
অবশ্য তাড়াহুড়োর কিছু নেই। মোবাইলে ঘড়ি দেখল অংশু। সবে সাড়ে পাঁচ। এখনো ঢের সময় আছে। যমুনার বিয়ের নেমতন্ন চিঠিটা আজ সকালে মা-ই নিয়ে এসে ওর হাতে দিয়ে বলেছিল, ‘তোর বাবটুকে মনে আছে?’

ভুরু কুঁচকে খানিক ভেবে অংশু বলল, ‘কোন বাবটু? যমুনার ভাই তো? মনে থাকবে না কেন? বাঃ!’
নেমন্তন্ন চিঠিটা মুখের সামনে ধরে মা বলেছিল, ‘কাল এইটা বাবটু এসে দিয়ে গেছে। যমুনার আজ বিয়ে। আমাদের সব্বাইকে যেতে বলেছে…তুই যাবি?’

‘যাব, তবে অফিস ছুটির পর…’ একটু থেমে অংশু বলল, ‘কেন, তোমরা যাবে না?’
অভিমানী গলায় মা বলল, ‘আমি তো যাবই না…তোর বাবা যাবে কিনা সেটা ওর ব্যাপার!’ বলে মুখ ঘুরিয়ে রান্নাঘরের দিকে চলে গেল। অংশু বাবার দিকে তাকাতেই তিনি অসহায় ভাবে বলে উঠলেন, ‘আমাকে এই শরীর নিয়ে আবার টানাটানি কেন? আমার তো এমনিতেই খাওয়া-দাওয়া খুব রেস্ট্রিক্টেড…তুই কি সত্যিই যাবি?’

আসলে যমুনার বিয়েতে অংশু যাক, এটা ওর মা বা বাবা কেউই চান না। অনেককাল আগে টালিগঞ্জে অংশুদের পাশের বাড়িতে যমুনারা ভাড়াটে হয়ে এসেছিল। তখন ওরা খুবই ছোট। দু’জনেরই তখন ক্লাস ফোর-টোর হবে হয়তো। সেইথেকে যমুনাদের বাড়ির সংগে তাদের পারিবারিক হৃদ্যতার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। সেসব কবেকার কথা। মনখারাপ করা স্মৃতির ঝাঁপি! ওদের বাড়িতে যমুনার ছিল অবাধ যাতায়াত। তেমনি যখন-তখন অংশুও গিয়ে হাজির হতো যমুনার মায়ের কাছে হরেক বায়না নিয়ে। অংশু যমুনার শুধু পড়াশুনোর সঙ্গীই নয়, খেলাসঙ্গীও।

সবচেয়ে বড় কথা, অংশুর মায়ের বড় পছন্দের ছিল যমুনা। ওদের যখন হায়ার সেকেন্ডারি, তখনই মায়ের সুপ্ত ইচ্ছেটা আর গোপন থাকেনি। ঠারেঠোরে জানিয়ে দিয়েছে, যমুনাকে সে নিজের ছেলের বউ করে নিতে চায়। কিন্তু যমুনার বাবা বা মা-কে একথা জানানোর ফুরসুৎই হলো না। অংশুর মা ভেবেছিল, সবে তো হায়ার সেকেন্ডারি, স্কুলের গন্ডিটা আগে দু’জনে পেরোক তো! তারপর না হয় যমুনার বাবা-মাকে প্রস্তাবটা দেওয়া যাবে। কিন্তু তার আগেই…

কসবার দিকে হালতুতে নিজেদের বাড়ি তৈরি করে যমুনারা শিফট করে চলে গেল। ভাড়াবাড়ির পুরোনো স্মৃতির সংগে ছেলেবেলার সেই মধুর স্মৃতিজারিত দিনগুলির মেদুরতা পেছনে ফেলে। মাঝেমাঝে অংশু এখন দেখতে চায়, তার বুকের ভেতর যমুনার জন্যে ঠিক কতখানি জায়গা ছিল। মায়ের না হয় খুব পছন্দের ছিল যমুনা। অংশুও কি তাই চায়নি? নিজেকে বিশ্লেষণ করে দেখতে এখন তার বড় ভয় হয় যে!
পুরো সংসারটা যখন ম্যাটাডোরে চাপিয়ে ওরা চলে যাচ্ছে, তখনও একনিমেষের জন্যেও যমুনার সঙ্গে তার নিভৃত এবং অর্থপূর্ণ কোনো দৃষ্টিবিনিময় হয়নি। শুধু একেবারে অন্তিম মুহূর্তে গাড়িতে বসে হাত নেড়ে ফরম্যালি যমুনা বলেছিল, ‘বাই…ফোন কোরো…’
হ্যাঁ, তখন থেকে দু’জনের মধ্যে কারণে-অকারণে ফোনালাপই চলতো। বড়জোর মাস ছয়েক। তারপর আস্তে আস্তে তাও কমে এলো। যে সম্পর্কের মধ্যে, তা সে যতই মধুর হোক না কেন, যদি কোনো অঙ্গীকার না থাকে, তাহলে তার দায়বদ্ধতাও নেই। এটা ভালো করে বুঝতে পেরেছে অংশু।

আরও বুঝতে পেরেছে, কেন মায়ের এত অভিমান! শুধুই কি অভিমান? মায়ের মনে একটা ভয়ও বাসা বেঁধে আছে। ভয় অংশুকে নিয়েই। মা-তো একরকম ভেবেই নিয়েছে যে, যমুনার প্রতি কোথাও না কোথাও অংশুর একটা দুর্বলতা ছিল। এবং যমুনার বিয়ের খবরে সে নিশ্চয়ই মানসিক দিক দিয়ে একেবারে ভেঙে পড়বে। তছনছ হয়ে যেতে বসেছে তার ছেলের জীবনটা।

কিন্তু মা-কে সে কীকরে বোঝাবে যে, ভালোবাসার জন্যে ইদানীং আর কারো জীবন তছনছ হয়ে যায় না। বরং এই জেনারেশনের ছেলেমেয়েরা মানসিক দিক থেকে অসম্ভব শক্তিশালী। অহেতুক ভাবপ্রবণতাকে তারা বিন্দুমাত্র প্রশ্রয় তো দেয়ই না, উপরন্তু এটাকে স্নায়ুবৈকল্য বলে মনে করে। তাই ব্যর্থ-প্রেমিকদের এখন আর দেবদাস হবার কোনো নিয়ম নেই।


কিন্তু বাস কি আসবে না? কাঁহাতক এভাবে দাঁড়িয়ে থাকা যায়! দেরি হয়ে যাচ্ছে যে! একবার ভেবেছিল, ট্যাক্সি বা ওলা-উবের নিয়ে চলে যাবে। কিন্তু মাসের শেষ। তার মতো মা-বাপ-পোষা তুচ্ছ কেরানির ক্ষেত্রে তা মানায় না। আচ্ছা, একটা কাজ করলে কেমন হয়? অংশু যেন এক মতলব বার করল। স্টপেজ থেকে সামান্য পিছিয়ে ফুটপাথের ওপর পানের দোকান থেকে একটা সিগারেট কিনল। কিনে দড়ির আগুনে ধরাল। দোকানের আয়নায় চুলে চিরুণি চালিয়ে নিজেকে একটু ভদ্রস্থ করে নিল। আসলে সিগারেট খেতে এখন তার ইচ্ছেই করছে না, তবু জেনেশুনেই এটা করল। কিছুদিন আগে অফিস যাবার সময় এমনি একদিন বাসের জন্য দাঁড়িয়ে হা-পিত্যেশ করছিল। বাসের টিকিটিরও দেখা নেই। এদিকে নির্ঘাৎ অফিসে লেট। এমনিতে নাকে-মুখে গুঁজে পড়িমরি করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। খাওয়ার পর একটা সিগারেট পর্যন্ত ধরাতে পারেনি। এদিকে আবার বাস-টাসও আসছে না। নাহ্! আজ নির্ঘাৎ বসের ঝাড় খেতে হবে! হাল ছেড়ে দিয়ে অংশু একটা সিগারেট ধরাল। এতক্ষণ যখন বাস এল না, মিনিট পাঁচেকের মধ্যে কি আর আসবে? সেই ফাঁকে সে প্রাণভরে দিব্যি সিগারেট টেনে নিতে পারবে।

কিন্তু যাব্বাবা! সবে দু’টো টান দিয়েছে কি দেয়নি, বাস এসে গেল। মনের দুঃখে পুরো সিগারেটটাই ফেলে দিতে হয়েছিল সেদিন। সিগারেটের সংগে বাস পাওয়া-না-পাওয়ার সত্যিই কোনো গুহ্য সম্পর্ক আছে নাকি?

আজকেও, অংশু ভাবল, সে এরকমই একটা এক্সপেরিমেন্ট করবে। এই মুহূর্তে, বাস্তবিক সিগারেটে অংশুর ঘোর অনীহা। তবু সে সিগারেট ধরিয়ে বাসস্টপে ফিরে গিয়ে যেদিক থেকে বাস আসবে, সেদিকে ষড়যন্ত্রকারীর মতো তাকিয়ে থাকল। এবং কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সত্যিই দূরে বাস দেখা গেল। যেন বাসটা অংশুর সিগারেট ধরানোর অপেক্ষাতেই ছিল। চুলোয় যাক সিগারেট! স্টপেজে বাস আসতে না আসতেই তৎক্ষণাৎ অংশু সিগারেট ছুঁড়ে ফেলে রীতিমতো ডাইভ দিয়ে বাসে উঠল। সেদিন আস্ত সিগারেট ফেলে দিতে হয়েছিল বলে বড় আফশোস ছিল মনে। আজ সেসব কিছুই হলো না।


ডানহাতে বাসের রড, বাঁ-হাতে সেলোফেন কাগজে মোড়া ফুলের স্টিক বুকের কাছে সতর্কভাবে ধরে রেখে অংশু প্রায় ঝুলছিল। যা ভিড়! পা-দুটো যে কোথায় কিভাবে আছে অথবা আদৌ আছে কিনা কে জানে! ফুলের গোছাটা নিয়েই হয়েছে সমস্যা। অংশু ঠিক ফ্রি হতে পারছে না। এমন উপচানো ভিড়ের ভেতর নিজের শরীরটাকে হয়তো কোনোমতে কায়দা করে গলিয়ে নেওয়া যেত, কিন্তু তাহলে ফুলগুলোর আর কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না! কিন্তু এভাবেও তো আর পারা যায় না। কম করে চল্লিশ-পঁয়তাল্লিশ মিনিটের জার্নি। এতটা সময় এভাবে ঝুলতে ঝুলতে যাওয়া…পাগল নাকি?

অংশু ওই অবস্থাতেই ফুলের গোছাসুদ্ধু বাঁ-হাতটা বাইরের দিক থেকে একটা জানলা দিয়ে গলিয়ে দিতে পারল, ‘কাইন্ডলি একটু ধরুন না!’
বলার সঙ্গে সঙ্গেই অংশু অনুভব করল, তার বাঁ-হাতটা খালি হয়ে গেল। ফুলের গোছাটা সিটে-বসা কোনো সহৃদয় ব্যক্তি ধরে নিয়েছে। যাক বাবা! একগুচ্ছ ফুলকে বাঁচানো গেল তাহলে! আজকাল পৃথিবীর যাবতীয় নোংরামির মধ্যে সুন্দর কিছুকে বাঁচিয়ে রাখাটাই তো এক সমস্যা। অংশু সেই  না-দেখা সহৃদয় ব্যক্তির উদ্দেশে মনে মনে এক লক্ষবার ধন্যবাদ জানালো।

এখন সে অনেকখানি নির্ঝঞ্ঝাট। ফ্রি। এবার সে শরীরকে কাত করে পেঁচিয়ে ভেতরে ঢোকার জন্যে তৎপর হল। সামনেই পর্বতসদৃশ এক স্থূলকায় ব্যক্তি অনড় দাঁড়িয়ে। অংশু তাকে সবিনয়ে বলল, ‘একটু রোগা হন না দাদা, ভেতরে যাব!’ ভদ্রলোক ঘাড় ঘুরিয়ে অগ্নিদৃষ্টিতে তাকে একবার দেখে নিল। অংশু সেসব গ্রাহ্যই করল না। এবং কিছুসময় বাদে দেখা গেল, অংশু মহিলা-সিটের মুখোমুখি মাথার ওপর রড ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। চারদিক থেকে ভিড়ের চাপ। তা হোক। নিজেকে এতখানি ভেতরে ঢোকাতে পেরেছে— এই যথেষ্ট!

সামনের দিকে নজর যেতেই অংশু দেখল, ঠিক ওর সামনাসামনি বসা মেয়েটির হাতে ওরই কেনা ফুলের স্টিক। ও, তাহলে এই সেই ‘সহৃদয় ব্যক্তি’! মেয়েটির বয়েস কিন্তু খুব বেশি না। কত— তা অবশ্য অংশুর ধারণার বাইরে। এ-ব্যাপারে সে বিশেষজ্ঞও নয়। কিন্তু বেশ সুশ্রী দেখতে। চেহারায় কোনোরকম উগ্রতা বা ঔদ্ধত্য নেই। কেমন একটা মাদকতা মাখানো। দেবী-প্রতিমার মতো সুডৌল মুখখানিতে চুম্বকের মতো আকর্ষণশক্তি যা দৃষ্টিকে ফেরাতে দেবে না।

বুকের ওপর আড়াআড়িভাবে একগুচ্ছ ফুলকে কী সুন্দরভাবে ধরে রেখেছে লতার মতো দু’টি হাত। অনেকটা সরস্বতীমূর্তির বীণা ধরে রাখার মতো। বাসে অনিয়মিত ঝাঁকুনিতে মাঝে মাঝে ফুলের পাপড়িগুলো ওর গাল ছুঁয়ে যাচ্ছে। বাহ্! ফুল হাতে মেয়েটিকে দারুণ মানিয়েছে তো!
অংশু আচমকা প্রচন্ড দুঃসাহসিকতার সঙ্গে ভাবল, এই ফুলগুলি পৃথিবীর শুধু এই মেয়েটির জন্যেই সৃষ্টি হয়েছিল! নিশ্চয়ই তাই। এবং অংশু এই ব্যাপারে একরকম নিঃসংশয় হল। মেয়েটি সামনের দিকে চোখ মেলে বসে আছে। কিন্তু সেই চোখে কোনো দৃষ্টি নেই। অথবা সেই দৃষ্টি অনুবাদ করার সাধ্য অংশুর নেই। একেবারে পরিপূর্ণ নিখুঁত, নিটোল একটি ছবি। এই বাস, এই ভিড়— সবই যেন মিথ্যে। কোনোকিছুর অস্তিত্বই যেন নেই। সামনে ফুলের গোছা হাতে একটি সুন্দরী যুবতীর ছবিই কেবল এই মুহূর্তে অংশু দেখতে পাচ্ছে। আর কিচ্ছু না। যেন অনন্তকাল ধরে এই ছবি এখানে এইভাবে টাঙানো ছিল। এবং থাকবে। অংশু অনেক সময় নিয়ে ছবিটি তারিয়ে তারিয়ে দেখল। উপভোগ করল।

আচ্ছা, মেয়েটি কি জানে, ওই ফুলের মালিক সাক্ষাৎ ওর সামনেই দাঁড়িয়ে রয়েছে? বোধহয় না। কিংবা হয়তো জানে। কিন্তু মেয়েটি জানুক বা জানুক— অংশু জানে, ওই ফুলের মালিকানা আর ওর নেই। পৃথিবীর এই মহত্তম ছবিটি নষ্ট করে ফেলার মতো নৃশংসতা বুঝি আর কিছু নেই। তাছাড়া নষ্ট করার অধিকারও কেউ তাকে দেয়নি। আর একমুহূর্ত সময় অপচয় না করে অংশু প্রায় চোরের মতো চুপিসারে অনেক ঘেমো শরীরের গন্ধ পেরিয়ে দরজার কাছে এসে দাঁড়াল। তারপর একসময় বাস থামতে টুপ করে নেমে পড়ল।

নেমে একটা মুক্তির নিঃশ্বাস ফেলল সে। যেন কেউ তাকে একটা মস্ত বড় খুনের দায় থেকে খুব জোর বাঁচিয়ে দিয়েছে। আহ্! বুকের মাঝে কী গভীর প্রশান্তি, কী তৃপ্তি! পাগলের মতো সে শুধু বিড়বিড় করে বলে চলেছে, ‘তোর বিয়েতে শেষ অব্দি যেতে পারলাম না রে যমুনা। ক্ষমা করে দিস।’

একছুটে রাস্তা পার হয়ে অংশু উল্টোদিকের স্টপেজে এসে দাঁড়াল। ফিরতি বাসের জন্যে। সে এখন বাড়ি ফিরবে।