• facebook
  • twitter
Sunday, 28 December, 2025

নামমাহাত্ম্য

যাক গে, তুমি চা করো একটু, খাও আর টিভি দেখো। দিদি হেব্বি চা করে, তোমার আর চা করতে হবে না, দিদি আসুক। আমিও মাঝেমাঝে এসে চা খেয়ে যাব।

কাল্পনিক চিত্র

মঞ্জুশ্রী ভাদুড়ী

ভানুমতীই শখ করে ভীমপ্রসাদ নাম রেখেছিল ভাইপোর, ডাকটা শুনতে শুনতেই ভীমের মতো সাহসী হয়ে উঠবে ছেলেটা এই ভেবে। ভানুমতী চায়নি ভাইপোটা ওর বাবার মতো মানে ওর ভাইয়ের মতো মিনমিনে হোক। ঠাকুরদা ভাইয়ের নামটাই আসলে ঠিক রাখেনি, শুধু ভবানী ছেলেদের নাম হয়? ভীমভবানী হলে ঠিক হত। সারাজীবন প্যানপ্যান করে নাকি-কান্না কেঁদে গেল ভাইটা। চিরকাল তার পেটব্যথা আর অম্বল। একটি কাজও তাকে দিয়ে হতো না।

Advertisement

বিয়ে হবার পর কিছুটা ঠিক হল ভবানী। ওর বউ ছিল পুরুষের বাড়া, ঘর-বার সব সামলাতো। নাম শান্তিবালা। সেই বউ শান্তিবালার নামেই এই বাড়িখানা করেছিল ভাই, শান্তিবিলাস। অবিশ্যি ভাই কিছুই করেনি, করেছিল ওই জাঁদরেল ভাইবউ। এই বাড়িতে সেই ছিল কত্তা, সব দেখেশুনে রাখতো। সত্যি বলতে কী, ভানুমতী বেশ পছন্দই করতো ওর কত্তালি ভাবখানা। ও নিশ্চিন্তমনে দেওয়ানহাটের বাড়িতে থেকে জমিজিরেত দেখাশুনো করতো তখন। ওর শ্বশুরবাড়ির সম্পত্তি। সংসার ভালো করে বুঝে ওঠার আগেই পট করে মরে গেল নিজের মানুষটা।

Advertisement

সেই শোক সইতে না পেরে একেবারে ছেলের পিছুপিছু সগ্গে চলে গেল শ্বশুর-শাশুড়ি দু’জনেই। মা-বাবা তো ছোট থাকতেই গেছে!

বিয়ের দশ বচ্ছর পর ছেলে হল ভাইবউয়ের। সকলে মনে করেছিল বউ বুঝি বাঁজা। শত্তুরের মুখে ছাই দিয়ে ফুটফুটে একটা ছেলের মা হল সে। সংসারে সুখ উথলে উঠল, তা ভগবানের যেন সইল না। ছেলে হবার মাস তিনেক পর থেকে অমন তাগড়া মেয়ে দিনে দিনে শুকিয়ে যেতে লাগল। ওষুধ-পথ্যির কোনও অভাব রাখেনি ভাই, সারাদিন বউয়ের সেবা করত। কিন্তু এত করেও শেষরক্ষা হল না। ভাইপো যখন আটমাসের, দু’দিনের জ্বরে চলে গেল সোমত্ত মানুষটা। ছেলেবেলা থেকেই ভবানীটা ছিঁচকাঁদুনে। যে গেছে, সে তো গেছেই, এখন ছেলেটাকে মানুষ কর, তা নয়, সব ঝামেলা ভানুমতীর ঘাড়ে চাপিয়ে সেও কেঁদে-কেঁদে শান্তিবালার পিছুপিছু সগ্গোবাসী হল বছরখানেক পরেই। সেই থেকে ভানুমতী রয়ে গেছে এখানেই, সেই যে ভাইবউয়ের অসুখে এলো, তার আর ফিরে যাওয়া হয়নি। দেওয়ানহাটের সবকিছু বাবুলাল দেখাশুনো করে এখন। বাবুলাল বহুকালের পুরনো বিশ্বাসী লোক। ভানুমতী মাঝে মাঝে যায়। আজকাল ভীমও কখনো-সখনো ওখানে গিয়ে দেখেশুনে আসে।

সেই আটমাস বয়স থেকে বাপ-মা হারা শিশুটি ভানুমতীর কোলে-কাঁখেই মানুষ। কিছুদিন আগে হাই-ইস্কুলে মাস্টারির চাকরি পেয়েছে। তা এমনিতে ভীম ভালোমানুষ, তার সাত চড়ে রা নেই, তবে বড্ড ভুলো মন। যেমন— এই তো, চাল আনতে বলা হল আজ সকালে, চাল বাড়ন্ত, সে বিকেল গড়িয়ে যাবার পর হাতে করে এককিলো চিঁড়ে নিয়ে হাজির। আবার বলে কিনা, আজ কিছু ভুলিনি পিসি! তখন কার না রাগ হয়?

আগামীকাল সক্কাল-সক্কাল যে ভাত খেয়ে বেরোবি বললি, তার বন্দোবস্ত কী করে হবে? সেই জন্যেই একটু বকাঝকা করেছিল ভানুমতী, তারপর থেকে ভীম গিয়ে তেতলার ছাদে বসে আছে, আর নামেনি। একঘণ্টা হতে চললো প্রায়। এখন ক’টা রুটি গড়ে নেবে সকালের জন্য চালটুকু রেখে, ভেবেছে ভানুমতী। কিন্তু ছেলেটা তো ইস্কুল থেকে ফিরে কিচ্ছুটি মুখে দেয়নি।

এই ভরসন্ধেবেলায় বেতো পায়ে ভানুমতীর পক্ষে তেতলার ছাদে ওঠা সম্ভব নয়। ডাকাডাকি করে সাড়া মিলছে না, অগত্যা পাশের বাড়ির মিচকে ছোঁড়াটা, ভোঁদা, ভবতোষবাবুর নাতি, ওকে রাস্তায় দেখেই ডাকতে হল, ভীমকে ডেকে আনবার জন্যে। মহা শয়তান ছেলে, ভীমকে ওরা যা-তা বলে, জানে ভানুমতী। ভীম ওদের ইস্কুলে ইতিহাস পড়ায়। কিন্তু এখন বিপদের সময়! মিষ্টি হাসি হেসে হাতে একখানা নারকেলের তক্তি গুঁজে দিয়ে ভানুমতী বলে, যা তো বাবা, স্যারকে ডেকে নিয়ে আয় নিচে। দেখতো, ফিরে এসে এককাপ চা পয্যন্ত খায়নি।

ভোঁদা তিন লাফে ছাদে উঠে গেল, প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই নেমে এলো নিচে।
স্যার নাবতে পারছে না। তোমার ঝাড় খেয়ে কলঘর থেকে সোজা ছাতে উঠে গেছে। জামাকাপড় পরার টাইম পায়নি।
সে কী রে ছোঁড়া, স্যারকে ভেজা গামছা পরেই থাকতে দেখলি তুই?
তা কেন! ছাদে বেরোনোর ঘরটাতেই তো তুমি তোমার জামাকাপড় মেলে রেখেচো, সেখান থেকে তোমার একখানা সায়া নিয়ে দিব্যি পরেছে।
অ্যাঁ! কী সব্বোনাশ। এই কাত্তিকের হিমে আদুল গায়ে ছাদে ঘুরে বেড়াচ্ছে বোকাটা!
তা হবে কেন, গায়ে তোমার ফ্লানেলের জামাটা পরে নিয়েছে তো! সে তো বিশাল বড়…
তুই থাম তো, আর বকিসনি। আলনা থেকে ওই খয়েরি পাজামাটা নিয়ে দিয়ে আয় বাবা। কী কাণ্ড, শেষে আমার সায়া পরতে হল হতভাগাটাকে—

ও আমাদের অভ্যেস আছে। গত বছরের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কি হয়েছিল জানো না? সব স্যারই ধুতি-পাঞ্জাবী-শাল গায়ে দিয়ে গিয়েছিল, প্রসাদ স্যারও ধুতি-পাঞ্জাবী পরেছিল, কিন্তু শালের বদলে ভুল করে তোমার সায়াখানাই কাঁধে ফেলে গিয়েছিল। ভাগ্যিস স্টেজে ওঠার আগেই বাপনের চোখে পড়েছিল। নয়তো কেমন কাণ্ড হত ভাবো!
ভানুমতীর মুখে কুলুপ।

দু-তিনদিন পর ভরদুপুরে ব্যাজার মুখে কানু পিওন এসে হাজির। হাতে একখানা প্যাকেট। তখন সবে ভানুমতী লাউপাতা বাটা আর আলুপোস্ত দিয়ে চাড্ডি ভাত মুখে দিয়ে শুয়েছে। চোখটা সবে বুজে এসেছে, তখন কানুর হাঁকডাক শুরু হল। এতো বিরক্ত লাগে! ও সবসময়ই ভানুমতীর ভাতঘুমের সময় হাজির হয়।
এই যে মাসি, এই ঠিকানাটা তো এ বাড়ির?
হ্যাঁ, কিন্তু ভানুপ্রিয়াটা কে? এ নামে তো কেউ নেই! পদবীও তো দেওয়া নেই।
নেই তো নেই! আমি কি করবো? বলিহারি বাবা আপনারা, যতবার চিঠি-পার্সেল আসে, নাম ভুল, ঠিকানা ভুল, ভুলে ভুল! বাড়ির নামটা শান্তিবিলাস বদলে ভ্রান্তিবিলাস রাখুন এবার।

বেশি কথা বোলো না কানু। আদুল গায়ে সিকনি ঝাড়তে ঝাড়তে এ বাড়ির পুকুরে চান করতে আসতে মনে নেই তোমার? কোনোদিন গাছের দুটো ফলপাকুড় পেড়ে নিয়ে যেতে! মা বলতেন, আহা নিক। ছেলেমানুষ, বাড়িতে খাবারের অভাব!
পুরোনো কথা শোনাবেন না। সে দিন গেছে, সে বহুকাল আগের কথা।

গজগজ করতে করতে কানু চলে যায়, থ’ হয়ে যায় ভানুমতী। মুখপোড়াটাকে আচ্ছা করে কানমলা দিতে পারলে রাগটা একটু কমতো। বারান্দায় মোড়া পেতে বসে অনেকক্ষণ ধরে ভাবে ভানুমতী, কিন্তু ভানুপ্রিয়া নামটি কার এটা কিছুতেই আবিষ্কার করতে পারে না। ভীম নেই বাড়িতে, গত সপ্তাহেই বলেছিল, বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে যাবে দু’দিনের জন্য। আজ ভোর-ভোর বেরিয়ে পড়েছে।

আকাশপাতাল ভাবতে ভাবতে অনেক দোনামনা করে শেষে ভানুমতী খুলেই ফেলে প্যাকেটটা। এম্মা গো! টুকটুকে লাল একখানা হাতকাটা ম্যাক্সি। কী তার নকশা! কার যে কে জানে বাপু! কী কাণ্ড! কারুর বদমায়েশি নাকি, ইচ্ছে করে মজা দেখবার জন্য এ বাড়িতে পাঠিয়েছে! তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠলেও মাথাটাকে একটু ঠান্ডা করে হদিশ করার জন্য আবার বারান্দায় এসে দাঁড়ায় ভানুমতী। একটু পরেই দেখে ভোঁদা কোথায় যাচ্ছে। পাকা ছেলে বটে, তবে এই ছেলেটাকে দিয়েই কিছু কাজ হয়।

এই, এদিকে আয় তো ভোঁদা। এই নামটা দেখতো, চিনিস? এ পাড়ার কেউ? প্যাকেটটা ভুল করে খুলে ফেললাম। কী বিচিত্র জামাকাপড় পরে আজকালকার মেয়েরা, ছিঃ!

কথা শোনার টাইম নেই পিসি। বাড়িতে ঝক্কাস ঝামেলা! কই দেখি, এই নামটা? এ তো দিদির নাম। দিদিকে লুকিয়ে চিঠি দেয় তো স্যার, চিঠিতে এই নামেই ডাকে। ছাদে গিয়ে চিঠি চালাচালি করে ওরা। স্যারের ভুলো মন তো, তাই ও বাড়ির ঠিকানা লিখতে গিয়ে এ বাড়ির ঠিকানা লিখে ফেলেছে!
অ্যাঁ, কী বলিস!

খাবি খায় ভানুমতী। চিঠি দেয়? প্রেমের চিঠি? শেষে ওই পাশের বাড়ির পেটুক মেয়েটার সঙ্গে প্রেম? টুসকির সঙ্গে? হায় রে, প্রেমের মায়া-অঞ্জন চোখে লেগেছে, ওই মেয়েটিকেও মনে হচ্ছে সুন্দরী ভানুপ্রিয়া। তবে সত্যি কথা বলতে কি, মেয়েটা এমনিতে ভালো! শান্ত, কাজেকম্মে লক্ষ্মী, সুন্দর গান গায়, মুখশ্রীও ভালো। কিন্তু বিশ্বপেটুক একেবারে।

গত বছর মঙ্গলচণ্ডী ব্রত উদযাপনের দিন ভানুমতী টুসকিকে ডেকে নিয়েছিল একটু পুজোর কাজ এগিয়ে দেবার জন্য। সে এসে ছুটে ছুটে কাজ করতে লাগল। তারপর ঠাকুরের সামনে বসে সুন্দর করে একখানা শ্যামাসঙ্গীত গাইল। খুব ভালো লাগছিল ভানুমতীর। সব মিটে যাবার পর ওকে আদর করে প্রসাদ খাওয়াতে বসাল ভানুমতী, যতবার লুচি সাধে ওর না নেই! শেষে পনেরো নম্বর লুচি পাতে দিয়ে মুখ গম্ভীর করে ভানুমতীকে বলতে হল, এবার ওঠো বাছা, আমি আর নারাণের মা দুটো লুচি মুখে দেব, চারখানাই আছে। একটুও লজ্জা না পেয়ে টুসকি বললো, বোসো পিসি, আমি ক’টা লুচি ভেজে দিই তোমাদের। এট্টু ময়দা মাখতে কতক্ষণই বা লাগবে!

তারপর সত্যিই ময়দা মেখে ঝটপট ফুলকো ফুলকো লুচি করে দিল ওদের। বেশিটুকু আবার বলেকয়ে গুছিয়ে বাড়ি নিয়ে গেল।
ভোঁদু ও পাড়ায় খেলতে গেছে পিসি, এ ক’টা নিয়ে যাই?
কী খাইখাই স্বভাব বাপু!
এত সাহস বেড়েছে তোর স্যারের? দাঁড়া, আজ আসুক বাড়িতে!
আসবে না, পালিয়েছে। সঙ্গে দিদি।
কী বললি? রাগে চোখে অন্ধকার দেখে ভানুমতী।
ওঃ! কিচাইন কোরো না পিসি! চলো চলো, ঘরে চলো। বোসো চেয়ারে। ওদিকে ঠাকমা কেঁদে ভাসাচ্ছে। কিচ্ছুটি মুখে দিতে পারছে না।

হবেই তো! ওঁর যে কী কষ্ট হচ্ছে, তা আমি বুঝতে পারছি। বৃদ্ধ বয়সে এতখানি শোক পেতে হল তাঁকে। নাতনি পালিয়েছে, সঙ্গে আমার ভাইপো। কী লজ্জার কথা! ধরা ধরা গলায় বলে ভানুমতী।

ধুস, তা নয়। হেব্বি সেয়ানা পাবলিক! ঠাকমাই তো চুপিচুপি দিদিকে বলেছিল স্যারকে নিয়ে পালিয়ে যেতে। রাত্তিরে দিদি আর ঠাকমা একসঙ্গে ঘুমোয়। আর আমি ও ঘরেই অন্যদিকে দাদুর চৌকিতে ঘুমোই। পষ্ট শুনেছি।
ওরে, এ কী বলছিস? এসব কী শুনছি! ডুকরে ওঠে ভানুমতী।

আরে রোসো, সবটা না শুনেই কেঁদে উঠো না পিসি। ঠাকমা বলেছে পালিয়ে না গেলে তোদের বিয়েই হবে না ওই খাণ্ডারনি পিসির জন্য। আগে পালিয়ে গিয়ে রেজিস্টিরি কর, তা হলে আর পিসিটা বাগড়া দিতে পারবে না।
আমাকে একটু বললে হত না! কী কষ্ট হচ্ছে! ভানুমতী ফুঁপিয়ে ওঠে।

কে কাকে কী বলবে পিসি! ওদিকে কেলোর কীর্তি হয়েছে। দিদি ঠাকমার নকল দাঁতের বাটিটা কোথায় রেখে গেছে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না! এখন ঠাকমা কিচ্ছু খেতে পারছে না, খিদেয় কোঁকাচ্ছে, তাই রমেশদার দোকানে সাবু আনতে যাচ্ছি। বাবা বাড়ি নেই, কলকাতায় গেছে। মা সকাল থেকে কথা বলছে না, চুপ করে ঘরে বসে আছে। বাবা ফোনে বলল, কাল ফিরে তোমার সঙ্গে দেখা করবে। ব্যাপারটা নিয়ে হইচই না করতে।

আমি এখন কী করি বল তো! এত বড়ো ছেলে যদি এই কাণ্ড করে! চোখের জল মুছতে মুছতে ভানুমতী বলে।
কিচ্ছু করার নেই তোমার। স্যার এখন সত্যিকারের ভীম হয়ে উঠেছে, কিচ্ছুতে ভয় খাচ্ছে না, তোমার ঝাড়কেও না, এটাই আশ্চয্যি কাণ্ড! স্যারকে কেমন হিরো হিরো মনে হচ্ছে গো!

যাক গে, তুমি চা করো একটু, খাও আর টিভি দেখো। দিদি হেব্বি চা করে, তোমার আর চা করতে হবে না, দিদি আসুক। আমিও মাঝেমাঝে এসে চা খেয়ে যাব। আমার এখন একদম টাইম নেই পিসি। নেহাৎ এখন তুমি আমার নতুন কুটুম, তাই একটু দাঁড়িয়ে গেলাম। বাই, কাল থেকে একটু গোছগাছ শুরু করো। আমি কাল সকালে আসবো তোমাকে সাহায্য করতে। আমার ফ্রেণ্ডগুলোকেও একটু ডেকো পিসি, আমার একমাত্র দিদির বিয়ে আর পাত্র তো আমাদের সবার স্যার! স্যারের বিয়েতে আমরা একটু হুল্লোড় করবো না? স্যার আমাদের জামাইবাবু, কী আনন্দ হচ্ছে!

সাবধানে থেকো পিসি। রাতে ভয় পেলে আমাকে ডেকো।
ভানুমতীর আর বাক্যস্ফূর্তি হয় না!

Advertisement