১০ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি। ঠিক কী কী ঘটেছিল ট্যাংরার ‘দে’ বাড়িতে, পুলিশি জেরার মুখে কার্যত দুই ভাইয়ের বয়ান মিলে গেলেও দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে ১৮ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ ঘটনার দিন সকালে দুই ভাইয়ের বয়ানকে ঘিরে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত সোমবার রাত পর্যন্ত কী ঘটেছিল ‘দে’ বাড়িতে তার বিবৃতি দিয়েছেন প্রসূন এবং প্রণয়। তাঁদের কথায় মিলও খুঁজে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তবে ঠিক পরের দিন অর্থাৎ গত মঙ্গলবার সকাল থেকে কী ঘটেছিল তার উত্তরে রয়েছে একাধিক অসঙ্গতি। কখন মৃত্যু ঘটেছিল ‘দে’ বাড়ির কিশোরীর, কখন মারা গিয়েছিলেন পরিবারের দুই বধূ, তার সদুত্তর নেই দুই ভাইয়ের কাছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার রাতে এনআরএস হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে প্রণয় এবং প্রসূনের নাবালকপুত্রকে। অন্যদিকে সেখানেই গত শনিবার চিকিৎসাধীন বড় ভাই প্রসূনও। দুই ভাইকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার এক সপ্তাহ পরেও এখনও পর্যন্ত রহস্যের কিনারা করতে পারেনি পুলিশ।
Advertisement
সূত্রের খবর, বাবা প্রসূনের বয়ানের সঙ্গে মিল রয়েছে নাবালকেরও। পুলিশের কাছে নাবালকের দাবি, তার এবং বাবা প্রসূনের হাত কেটেছিল কাকা প্রণয়। তারপরেই নাবালককে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ‘দে’ বাড়ির তিনতলায়। অন্যদিকে সোমবার নৈশভোজনের পর সকলেই ওষুধ মিশ্রিত পায়েস খেয়েছিলেন, নাবালকের কথায় এমনটাই জানা গিয়েছে। কিন্তু তাতে কিশোরীর মৃত্যু হলে নাবালকের মৃত্যু হল না কেন সেই প্রশ্ন এখনও স্পষ্ট নয়। বস্তুত, পুলিশি জেরার মুখে প্রসূন নিজের স্ত্রী এবং বৌদির হাতের শিরা কেটেছিলেন বলে জানিয়েছে প্রণয়। যদিও প্রসূন সেই দাবি অস্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Advertisement
তদন্তে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, ছয়টিরও বেশি সংস্থা থেকে ১৫ কোটির বেশি ঋণ নিয়েছিল ‘দে’ বাড়ির দুই ভাই। কিন্তু তার পরেও থামেনি বিলাসবহুল জীবন। স্ত্রীদের নতুন গাড়ি উপহার থেকে শুরু করে বিদেশ ভ্রমণ সবকিছুই চলেছিল ঋণের টাকাতেই।
Advertisement



