নিকাশি পরিষ্কার করতে ম্যানহোলে নেমে তলিয়ে যাওয়া তিন সাফাইকর্মীরই মৃত্যু হল। কলকাতা লেদার কমপ্লেক্সের ভিতরে সেক্টর ৬ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট অথরিটির অধীনে সাফাইয়ের কাজ চলছিল। ১০ ফুটের ম্যানহোলে নেমে তলিয়ে যাওয়া তিন শ্রমিকের মধ্যে প্রথমে দু’জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন দমকল কর্মীরা। পরে আরও একজনের দেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে ছিলেন দমকলের কর্মীরাও।
স্থানীয় সূত্রের খবর, কলকাতা লেদার কমপ্লেক্সের ভিতরে সেক্টর ৬ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট অথরিটির অধীনে সাফাইয়ের কাজ চলছিল। ঘটনাটি ঘটে সকাল ৯টা নাগাদ। সংশ্লিষ্ট এলাকায় ট্যানারির বর্জ্য পরিষ্কার করার জন্য প্রথমে এক সাফাইকর্মীকে নামানো হয়, দীর্ঘক্ষণ হয়ে গেলেও তিনি না ওঠায় তাঁর খোঁজে হাইড্রেনে নামেন আরও দু’জন। ওই তিনজনই তলিয়ে যান। তিন সাফাইকর্মীর নাম ফরজেম শেখ, হাসি শেখ ও সুমন সর্দার। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যে ম্যানহোলে তিন শ্রমিক তলিয়ে গিয়েছিলেন, সেটি প্রায় ১০ ফুট গভীর। পাশাপাশি, ম্যানহোল থেকে বিভিন্ন রাসায়নিকের তীব্র দুর্গন্ধ ভেসে আসছে। বিষাক্ত গ্যাসও থাকতে পারে বলে আশঙ্কা। তারই জেরে তিন সাফাইকর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ম্যানহোল বা নিকাশি নালায় মানুষ নামিয়ে পরিষ্কারের ব্যবস্থাকে ২০১৩ সালে নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল সুপ্রিমকোর্ট। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে স্পষ্ট করে বলা হয়েছিল, ম্যানহোল সাফাই, মলমূত্র সাফাইয়ের মতো কাজ কোনও মানুষকে দিয়ে করানো যাবে না। এমনকী পরিস্থিতি বিশেষে কাউকে ম্যানহোলে নামাতে হলেও সংশ্লিষ্ট সাফাইকর্মীর জীবন এবং স্বাস্থ্যের সব রকমের নিরাপত্তাও দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। এক্ষেত্রে এসবের কোনও কিছুই মানা হয়নি বলে অভিযোগ।