‘সাবধান! রাস্তার কাজ চলছে’। রাত হোক বা দিন, রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি থেকে শুরু করে সারাইয়ের কাজ, সমস্ত কিছুতেই এক ধরনের সাবধানবাণী দেখতে অভ্যস্ত সাধারণ মানুষ। আর এই রকমই সাবধানবাণী লাগিয়েই দিনের পর দিন চলছিল মাটির তলার তার চুরির কাজ। তদন্তে নেমে ১০জনকে গ্রেপ্তার করল হরিদেবপুর থানার পুলিশ।
সূত্রের খবর, হরিদেবপুর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বিএসএনএলের তার চুরি যাচ্ছিল। স্বাভাবিক ভাবেই ফোন থেকে শুরু করে বিভিন্ন পরিষেবা জমছিল কর্তৃপক্ষের কাছে। দীর্ঘদিন ধরে একই রকম অভিযোগ পেয়ে সন্দেহ হয় বিএসএনএল কর্তৃপক্ষের। তারপরই নজরে আসে তার চুরির বিষয়। সেই মতো হরিদেবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সংস্থার এক কর্মী। সেই তদন্তে নেমে গ্রেপ্তার করা হয় দশজনকে। তারা সকলেই বিহারের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে লালবাজার। সূত্রের খবর, নিজেদের বিএসএনএলের কর্মী বলে পরিচয় দিত তারা। সেই কারণেই সাধারণ মানুষের সন্দেহ হয়নি খুব একটা। সূত্রের খবর, তারের মধ্যে থেকে তামা বের করে তা বাজারে বিক্রি করত ধৃতেরা।
Advertisement
সম্প্রতি, হায়দ্রাবাদে ঠিক একইভাবে চুরি যাচ্ছিল বিএসএনএলের দামী তার। সেই চক্রের সঙ্গে ধৃতের কোনও ভাবে যুক্ত কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একই সঙ্গে বিএসএনএলের কোনও কর্মী এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত কিনা তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা।
Advertisement
Advertisement



