শহরের পুকুর বাঁধানোর পদ্ধতিতে বড়সড় বদল আনছে পুরসভা। এবার আর ব্যবহার করা হচ্ছে না পুরনো শালবল্লা। তার বদলে জলাশয়ের পাড় বাঁধার কাজে ব্যবহার হচ্ছে পোড়ামাটির টালি। পূর্ব পুটিয়ারির ইটখোলা এলাকার এক ও দু’নম্বর বড় দুটি পুকুরে এই নতুন পদ্ধতিতে কাজ চলছে পুরসভার তরফে।
পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শালকাঠ দীর্ঘদিন জলে থাকলে পচে যায় এবং কাঠামো দুর্বল হয়ে পড়ে। কিন্তু পোড়ামাটির টালি জল সহ্য করতে পারে, এবং সময়ের সঙ্গে আরও শক্তিশালী হয়। ফলে এটি অনেক বেশি দীর্ঘস্থায়ী ও পরিবেশবান্ধব বিকল্প।
প্রায় তিন থেকে চার একরজুড়ে থাকা ওই দুই পুকুর এতদিনে প্রায় মজে গিয়েছিল। নতুন করে মাটি কেটে জলাশয়গুলি সংস্কার করা হচ্ছে। দখলদারির হাত থেকেও রক্ষা করা হয়েছে পুকুরগুলোকে। এখন চলছে টালি দিয়ে পাড় বাঁধানোর কাজ। তিন ধাপে সিঁড়ির মতো করে বসানো হচ্ছে কয়েক লক্ষ পোড়ামাটির টালি। মাঝখানে সামান্য ফাঁক রেখে বসানো টালির ফাঁক মাটি দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে যাতে জল নিঃসরণ স্বাভাবিক থাকে।
পুরসভার নিকাশি বিভাগের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, টালির ভিতর দিয়ে জলের চলাচল বজায় থাকবে। জলজ কারণে এই টালিগুলি আরও শক্ত হবে, যা কাঠের ক্ষেত্রে সম্ভব নয়। পাশাপাশি, পাড়ের মাটি ধস থেকে বাঁচাতে ব্যবহার করা হচ্ছে জিও-টেক্সটাইল ম্যাট। এই বিশেষ ধরনের চাদর মাটি ও জল সংরক্ষণে কার্যকর। সাধারণত রাস্তা, বাঁধ বা রিটেইনিং ওয়াল তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয় এই ম্যাট।
উল্লেখ্য, পুরসভার নিকাশি বিভাগ কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার বিশেষ অনুদান পেয়েছে। সেই অর্থ দিয়ে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব প্রকল্পের কাজ করছে পুরসভা। পুকুর সংস্কারের এই নতুন পদ্ধতি সেই প্রকল্পেরই অংশ।