ইউপিআই-এ লেনদেনের সূত্র ধরে অপহরণের কিনারা করল পুলিশ। পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে ভবানীপুর থানার পুলিশ। পুলিশের একটি সূত্রে জানাচ্ছে, ধৃতেরা ওই ব্যক্তির পূর্বপরিচিত। অপহৃত ব্যক্তি পেশায় লোন এজেন্ট। অপহরণকারীরা কেন তাঁকে অপহরণ করেছিলেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ পাওয়ার মাত্র ৩-৪ ঘণ্টার মধ্যে অপহৃতকে উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি ভালো রয়েছেন।
ধৃতদের নাম – সজল বসু, সুদীপ মজুমদার, সমীরকুমার দেব, সুমন বসু এবং সন্দীপন (চিমা) দাস। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপির বাসিন্দা তাপসী মজুমদারের অভিযোগ, তাঁর স্বামী তিমির মজুমদারকে ভবানীপুর এলাকার নেতাজি ভবনের সামনে থেকে জনাকয়েক ব্যক্তি অপহরণ করেন। মুক্তিপণ হিসেবে তারা পাঁচ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়। অপহরণকারীদের এক জনের নির্দেশে একটি অজানা মোবাইল নম্বরের সঙ্গে সংযুক্ত ইউপিআই মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা পাঠিয়েছিলেন তাপসী। এরপরই সূত্র পেয়ে যায় পুলিশ।
ওই দিন রাতেই যাদবপুর থেকে এক জনকে আটক করে পুলিশ। তাঁকে জেরা করে গোটা চক্রান্ত সম্পর্কে জানতে পারেন তদন্তকারীরা। যাদবপুরের সুকান্ত সেতুর কাছে একটি অভিজাত আবাসনের এগারো তলায় হানা দিয়ে অপহৃতকে উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকেই অন্য অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়। ভবানীপুর থানার একটি সূত্র জানাচ্ছে, ইউপিআই-এ লেনদেনের সূত্র ধরেই দ্রুত দোষীদের চিহ্নিত করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার ঠাকুরপুকুর থেকে এক যুবককে অপহরণের ঘটনায় পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।