• facebook
  • twitter
Wednesday, 26 March, 2025

আরবের ভিসা না পেয়ে মেয়রের দ্বারস্থ যুবক! দাবি পুলিশের

সূত্রের খবর, নিজের ভিসা হারিয়ে ফিয়েছে বলে আবার নতুন করে ভিসার আবেদন করে যুবক। নতুন ভিসা পেতেই আবারও ফিরে যায় আরবে।

মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ফাইল চিত্র

সৌদি আরবে কাজ করতে যাওয়ার জন্য ভিসা প্রয়োজন, তা দিচ্ছে না বেনিয়াপুকুরের এক ভিসা প্রস্তুতকারী সংস্থা। এই অভিযোগ নিয়েই মেয়র ফিরহাদ হামিকের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন চাপড়ার যুবক! সোমবার দুপুরে কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের ঘরের সামনে থেকে আটক হওয়া যুবক রফিকুল ইসলাম বিশ্বাস ওরফে পটলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এমনই তথ্য পেল কলকাতা পুলিশ। সূত্রের খবর, নদিয়ার চাপড়ার বাসিন্দা পটল একটা সময় আরবে কাজ করত। তাঁর দুই দাদাও সেখানেই কর্মরত। সূত্রের খবর, ২০১৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে দুই বছরের ছাড়পত্র নিয়ে আরবে যায় সে। ভিসার মেয়াদ দুই বছর হলেও সেখানেই তিন বছর কাটিয়ে ২০১৯ সালের শেষ দিকে ভারতে ফিরে আসে যুবক।

সূত্রের খবর, নিজের ভিসা হারিয়ে ফিয়েছে বলে আবার নতুন করে ভিসার আবেদন করে যুবক। নতুন ভিসা পেতেই আবারও ফিরে যায় আরবে। তদন্তকারী আধিকারিকরা যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছেন, আবার নতুন করে আরবে কাজের সূত্রে যায় পটল। ফেরে ২০২৩ সালে। তবে ২০১৬ সাল থেকে কেন যুবক একাধিকবার আরব সফর করেছেন, তা নিয়ে ধন্দে কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিকেরা। সূত্রের খবর, সম্প্রতি আবারও আরব যাওয়ার জন্য বেনিয়াপুকুরের এক সংস্থায় ১০ হাজার টাকা জমা করেছিলেন রফিকুল। তবে সেখান থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। আর সেই অভিযোগ জানাতেই মেয়রের কাছে এসেছিলেন তিনি।

বস্তুত, মেয়রের ঘরের সামনে উদ্দেশ্যহীন ভাবে যুবককে ঘোরাঘুরি করতে দেখে সন্দেহ হয় পুরসভার নিরাপত্তারক্ষীদের। সেই মতো যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই অসংলগ্ন কথা বলে যুবক। তারপর পুলিশে খবর দেওয়া হলে, নিউমার্কেট থানার পুলিশ গিয়ে যুবককে আটক করে। অন্যদিকে যুবক মানসিকভাবে অসুস্থ বলে দাবি করেছেন তাঁরই পরিচিত দুই ব্যক্তি। পুলিশ সূত্রে খবর, চাপড়ার ঠিকানা দেখে থানায় ডেকে পাঠানো হয় যুবকের দুই পরিচিতকে। তাঁদের মধ্যে একজন ভারতীয় সেনাবাহিনীতে এবং অপরজন কলকাতা পুলিশেই কর্মরত। তাঁরাও যুবককে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে পুলিশকে জানিয়েছে, এমনটাই দাবি পুলিশের।